চুন চুনকে মারুঙ্গা! রোম্যান্টিক নায়ক থেকে মারকুটে অ্যাকশন হিরো হয়ে ওঠার দিনগুলি

ধর্মেন্দ্রর কেরিয়ারের শুরুটা রোম্যান্টিক ছকেরই ছিল। পরবর্তী কালে যাঁর ‘চুন চুনকে মারুঙ্গা’ সংলাপ উপমহাদেশের জনগণের লব্জে পরিণতি পাবে, তিনি প্রথমেই ঘুষি বাগিয়ে পর্দায় নামেননি।

Advertisement

অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৫:০৩
Share:

লুধিয়ানার গ্রাম থেকে উঠে আসা তরুণের নাম ছিল ধরম সিংহ দেওল। বলিউড তাঁকে ‘ধর্মেন্দ্র’ বানিয়েছে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

সেই স্কুলকিশোরীর শয়নে-স্বপনে-জাগরণে একটিই পুরুষ। যে কিনা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। সে ভাল মতোই জানে, সেই পুরুষের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক বাস্তবে গড়ে উঠবে না। কিন্তু সে তার স্বপ্নপুরুষটির কাছে আত্মনিবেদন করতে চায় সেই ভাবে, মীরাবাঈ যেমনটি করেছিলেন তাঁর আরাধ্য শ্রীকৃষ্ণের চরণে। হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘গুড্ডি’ (১৯৭১) ছবিতে এই স্বপ্নপুরুষটি ছিলেন ধর্মেন্দ্র। স্বয়ং ধর্মেন্দ্রই অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্রর ভূমিকায়।

Advertisement

বলিউডি ছবির পরম্পরায় এমন ঘটনা তখন ব্যতিক্রম। একজন অভিনেতা নিজের চরিত্রেই পর্দায় অবতীর্ণ হবেন, এ কথা ভাবা বেশ দুরূহ ছিল সেই সময়ে। অথচ ঘটনাটি ঘটেছিল। পর্দা আর বাস্তবের ফারাক বুঝিয়ে সেই কিশোরীকে তার ‘নিজস্ব’ জীবনে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তত দিনে প্রতিষ্ঠিত ‘স্ক্রিন ইমেজ’-কে পাশে সরিয়ে নিজের ভূমিকায় নিজেই অভিনয় করার ‘সাহস’ দেখিয়েছিলেন শিখ-জাঠ বংশোদ্ভূত এই নায়ক।

তিনি কিন্তু প্রথমেই ঘুষি বাগিয়ে পর্দায় নামেননি। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

প্রসঙ্গক্রমে কারও সত্যজিৎ রায়ের ১৯৬৬ সালে তোলা ‘নায়ক’-এর কথা মনে পড়ে গেলে তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। পর্দার অবতারের সঙ্গে বাস্তবের রক্তমাংসের মানুষটির বোঝাপড়া যে খুবই কঠিন, তা-ই বলতে চেয়েছিল এই ছবি। ১৯৬০-এর দশক জুড়ে ধর্মেন্দ্র তাঁর পর্দার অবতারকে যে ভাবে গড়েছিলেন, তা একেবারেই সমসাময়িক বলিউডি ছবির মাপসই। ১৯৬০ সালে অর্জুন হিঙ্গোরানির ছবি ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’-তে পর্দায় আগমন। ১৯৬১-তেই ‘শোলা অওর শবনম’-এ নজর কাড়েন বছর ছাব্বিশের অতি সুদর্শন যুবকটি। মূলধারার হিন্দি ছবি তখনও রোম্যান্সে মশগুল। রোম্যান্টিক ড্রামারই জয়জয়কার। ধর্মেন্দ্রের সিনে-কেরিয়ারের প্রারম্ভ সেই ছকেরই ছিল। পরবর্তী কালে যাঁকে আদ্যন্ত অ্যাকশন হিরো হিসেবে দেখা যাবে, যাঁর ‘চুন চুনকে মারুঙ্গা’ সংলাপ উপমহাদেশের জনগণের লব্জে পরিণতি পাবে, তিনি কিন্তু প্রথমেই ঘুষি বাগিয়ে পর্দায় নামেননি।

Advertisement

ধর্মেন্দ্রের ছায়া-কেরিয়ারকে এক নজরে দখলে দু’টি বিভাজন স্পষ্ট হয়ে ওঠে। প্রথমটি রোম্যান্টিক নায়কের এবং দ্বিতীয়টি অ্যাকশন ছবির রাগী, মারকুটে হিরোর। সে দিক থেকে দেখলে ধর্মেন্দ্র এমনই একজন অভিনেতা, যিনি কালের দাবি মেনে নিজের ইমেজকে ভেঙেছেন-গড়েছেন। যে সময়ে তিনি অভিনয়জগতে পা রেখেছিলেন, সেটি বলিউডের ‘স্বপ্ননির্মাণ’-এর যুগ। পর্দায় ফুটে ওঠা কাহিনি বাস্তবের থেকে দূরবর্তী হয়েও কোথাও যেন ছুঁয়ে থাকবে বাস্তবকে— এমনই দস্তুর ছিল সেই সময়। লম্বা লম্বা সংলাপঋদ্ধ ছবিতে রাজেন্দ্রকুমার বা রাজকুমার যখন হাততালি কুড়োচ্ছেন, তখন ‘বন্দিনী’র (১৯৬৩) মতো নায়িকাসর্বস্ব ছবিতে ধর্মেন্দ্রর প্রায় নিরুচ্চার উপস্থিতির বিষয়টি আশ্চর্য লাগে। ধর্মেন্দ্র তাঁর কেরিয়ারের শুরুতেই এই ঝুঁকিটি নিয়েছিলেন। তথাকথিত সমান্তরাল ছবির যুগ তখনও শুরু হয়নি। বিমল রায়ের মতো অগ্রপথিকেরা বোম্বাই-ফর্মুলায় না হেঁটে বেছে নিচ্ছেন জরাসন্ধের উপন্যাস ‘তামসী’-কে। তখনও বলিউডে কলকাতার হাওয়া। সেই হাওয়ায় একজন জাঠ-শিখ যুবক কী করে নিজেকে গড়ে নিচ্ছেন, এ নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে। কিন্তু কেরিয়ারের শুরুতে ধর্মেন্দ্র যে সে কাজটি সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছিলেন, তা স্বীকার করতেই হবে।

‘পকেটমার’ ছবিতে সায়রা বানুর সঙ্গে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

১৯৬০-এর দশকে এই সামাজিক নাটক চরিত্রের ছবি ছাড়াও আরও একটি ধারা হিন্দি ছবিতে দাপটের সঙ্গে বিরাজ করত। সেটি নাচ-গান এবং কিয়দংশে ‘ফাইটিং’ সংবলিত ফর্মুলা ছবি। শাম্মী কপূর, বিশ্বজিৎ বা জয় মুখোপাধ্যায় যে ঘরানায় বিশেষ সাফল্য পেয়েছিলেন, ধর্মেন্দ্রের পক্ষে সেই সব মিউজ়িক্যাল কমেডিতে সফল হওয়া দুরূহ ছিল। তার অন্যতম কারণ, ধর্মেন্দ্র নাচে কোনও দিনই সুবিধে করতে পারেননি। তার উপরে তাঁর ভারী, পেশল চেহারা, সর্বোপরি ‘পাশের বাড়ির ছেলে’-সুলভ হাসি এই ইমেজে খাপ খাওয়ানোর পক্ষে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ষাটের দশকে ধর্মেন্দ্রের একের পর এক ছবি টক্কর দিয়েছে ‘জংলি’, ‘প্রফেসর’, ‘চায়না টাউন’ বা ‘লভ ইন টোকিয়ো’-র মতো ছবির সঙ্গে। দর্শকের সামনে নিছক বিনোদনের চাইতেও খানিক বেশি কিছু রেখেছিল ‘বন্দিনী’ বা ‘অনুপমা’। আর সেই ছক-বহির্ভূত ছবিগুলিতে ধর্মেন্দ্রের উপস্থিতি ও অভিনয় যেন আরও এক দশক পরের ‘সমান্তরাল’ ছবিগুলির প্রাক্পর্ব ছিল। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁর নিচুগ্রামে স্বরক্ষেপণ বা অনুচ্চকিত অভিনয় অমল পালেকর বা ফারুখ শেখের পুর্বসূরি হিসবে তাঁকে ভাবতে সাহায্য করে।

‘পাপ কো জ্বালা কর রাখ কর দুঙ্গা’ ছবিতে ফারহা নাজ়ের সঙ্গে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

কিন্তু দিন বদলায়। বলিউডও বিমল রায়-গুরু দত্তের পথ থেকে সরতে শুরু করে সত্তরের দশকে। ষাটের দশকের শেষ দিকেই ‘বাজি’ বা ‘আঁখে’-র মতো থ্রিলারধর্মী ছবিতে ধর্মেন্দ্রকে দেখা যেতে শুরু করে। সত্তরের দশকে হিন্দি মূলধারার ছবির জগতে আপাদমস্তক ওলটপালট শুরু হয়। পর্দায় উঠে আসতে থাকেন ‘রাগী যুবকেরা’। স্বপ্ন দেখার বা দেখানোর দিন তখন অতীত। স্বপ্নভঙ্গের কাহিনি দিয়েই বলিউড তার পসরা সাজাতে শুরু করে। ১৯৭১-এর ছবি ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’-এই যে হিন্দি ছবির ঘরানা-বাহিরানা অনেকাংশে বদলে যাবে, তা সেই সময় হয়তো বোঝা যায়নি। সেই ছবির নায়ক ছিলেন ধর্মেন্দ্র। শহুরে খলনায়ক নয়, বরং চম্বল-ছাঁদের ‘ডাকু’-র বিরুদ্ধে গ্রাম বাঁচানোর লড়াই। রাজ খোসলার এই ছবিকে ১৯৭৫-এর ‘শোলে’-এর প্রাগ্ভাস বলে চিহ্নিত করেন অনেকে। রমেশ সিপ্পির ‘শোলে’ অবশ্যই ইতিহাস গড়ছিল। কিন্তু তার আগে ‘মেরা গাঁও মেরা দেশ’-এর কথা স্বীকার করে নেওয়াই ভাল। প্রশ্ন জাগে, ‘মেরা গাঁও...’-এর সাফল্যের কারণেই কি ধর্মেন্দ্রকে সামনে রাখা হয়েছিল ‘শোলে’-তে?

ভারতীয় সিনেমার মোড় ঘোরানো ছবি ‘শোলে’। অমিতাভ বচ্চনের (ডান দিকে) সঙ্গে সেই কালজয়ী দৃশ্যে। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

‘শোলে’ অনেক অভিনেতার জীবনেরই মাইলফলক। এই ছবিতেই বদলায় প্রযুক্তি থেকে পটভূমি, বদলায় ‘নায়ক’ নামক সর্বগুণান্বিতের ধারণাও। বদলে যায় ছবির কাহিনি কাঠামোয় খলনায়কের উপস্থিতির চরিত্রও। ‘শোলে’-র সময় ধর্মেন্দ্র ৪০ ছুঁয়েছেন। ৩৫-এর অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁকে কাঁধে-কাঁধ দিয়ে অভিনয় করতে হচ্ছে। সেখানে পর্দার বেশির ভাগ আলো যেমন ‘গব্বর’-রূপী আমজাদ শুষে নিয়েছেন, ‘জয়’-রূপী অমিতাভ মহিমান্বিত হয়েছেন, ‘ঠাকুর’-বেশী সঞ্জীব কুমার নজর কেড়েছেন, ‘বীরু’ হিসেবে ধর্মেন্দ্র কি ততখানি আলো পেয়েছিলেন? এত দিন পরে মনে হতেই পারে, ‘শোলে’ যেখানে ছিল বাকিদের জন্য সূচনাবিন্দু, একা ধর্মেন্দ্রের জন্য এই ছবি নিয়ে আসে এমন এক দেওয়াল, যাকে তিনি পরবর্তী কালেও তেমন ভাবে অতিক্রম করতে পারেননি।

পরে অগণিত বাণিজ্যসফল ছবিতে দেখা গিয়েছে ধর্মেন্দ্রকে। ১৯৮০-র দশকের ‘রাম বলরাম’ বা ‘ক্রোধী’, কোথাওই কিন্তু আর ছক ভেঙে বেরিয়ে আসেননি ধর্মেন্দ্র। কার্যত ছক ভেঙে বেরিয়ে আসতে পারেনি মূলধারার বলিউডও। ১৯৭০ বা আশির দশকে যখন মধ্যধারা বা সমান্তরাল ছবির উত্থান স্পষ্ট হয়ে উঠছে আর সেই আন্দোলনের পুরোভাগে থাকছেন হৃষীকেশ মুখোপাধ্যায়ের মতো পরিচালকই, তখন কিন্তু আর ‘অনুপমা’-র ধর্মেন্দ্রকে ফিরে পাওয়া যায়নি। ধর্মেন্দ্র পাকাপাকি ভাবেই নিজেকে বসিয়ে ফেলেছেন বাহুবলী নায়কের ভূমিকায়। গলার কাছের বোতামটি পর্যন্ত লাগানো যুবক হারিয়ে গিয়েছে উচ্চকিত উচ্চারণের সিনেমার নতুন ব্যাকরণে।

হেমা মালিনীর শুধু তাঁর পর্দার নায়িকা হয়েই থাকেননি। জীবনেরও নায়িকা হয়েছেন। ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।

দীর্ঘ কর্মজীবন। অগণিত ছবি। নিজের একটি বিবাহ থাকতেও হেমা মালিনীর মতো ‘স্বপ্নসুন্দরী’-র সঙ্গে ঘর বাঁধা। রাজনীতিতে আগমন, সাফল্য। আবার নীরব হয়ে যাওয়া...। ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে তেমন কোনও রসালো গুঞ্জনও ছিল না টিনসেল শহরে। গেঁহু-বাজরার খেতে বয়ে যাওয়া দেশ-গাঁওয়ের হাওয়ার মতোই উন্মুক্ত উপস্থিতি যেন তাঁর। ‘গুড্ডি’ ছবিতেই স্বগত কথনের ভঙ্গিমায় বলেছিলেন নিজের ফেলে-আসা জীবনের কথা। সে সব সংলাপকারের রচনা, এ সত্য মেনে নিয়েও বলতে হয়, ‘ধর্মেন্দ্র’ নামক চরিত্রে কি নিছক ‘অভিনয়’ করেই থেমে গিয়েছিলেন মানুষটি? না কি কোথাও অনুভব করতেন পিছুটান? পরবর্তী কালে তিনি হিন্দি মূলধারার ছবির ‘প্রধান মুখ’ হয়ে থাকেননি। বৃদ্ধাবস্থাতেও অ্যাকশন ছবিতে অভিনয় করে যেতে হয়েছে। ক্লান্ত লেগেছে ১৯৯০-এর দশক ও তার পরবর্তী সময়ের ছবিগুলিতে।

জীবন সায়াহ্নে এসে এক আশ্চর্য কাণ্ড ঘটালেন ধর্মেন্দ্র। ২০২৩-এর ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’। পরিচালনায় কর্ণ জোহর। পারিবারিক কমেডি ঘরানার এই ছবিতে ধর্মেন্দ্র হুইলচেয়ারে বন্দি এক বৃদ্ধ। অ্যামনেশিয়ার রোগী সেই চরিত্রের স্মৃতি প্রায় লুপ্ত। কেবল মাঝেমাঝে মস্তিষ্কে ঝলক দিয়ে যায় ‘যামিনী’ নামের এক নারী। কে এই যামিনী, সন্ধানে নামে বৃদ্ধের নাতি। খোঁজও মেলে তার, বৃদ্ধা যামিনীর কাছ থেকে জানা যায় এক বার এক শৈলশহরে কমল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার হৃদয় বিনিময় ঘটেছিল। সেই কমলই আজকের স্মৃতিভ্রষ্ট বৃদ্ধ। যামিনী তার পরিবার নিয়ে দেখা করে কমলের সঙ্গে। প্রাথমিক অবস্থায় তাকে চিনতে পারেনি কমল। তার পর যখন সে ফিরে যাচ্ছে, হুইলচেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কমল গেয়ে ওঠে সাহির লুধিয়ানভীর লেখা ‘হম দোনোঁ’ ছবির গান— ‘অভী না জাও ছোড় কর/ কে দিল অভী ভরা নহী’। যামিনীরূপী শাবানা আজ়মির কণ্ঠেও ধ্বনিত হয় সেই গানের কলি। কমলরূপী ধর্মেন্দ্রের দুই চোখে ভেসে উঠছে কয়েক যুগ ধরে জমিয়ে রাখা প্রেম, হাসি-অশ্রুর অতীত সেই অভিব্যক্তি। ‘আনন্দ’ শব্দটি মূর্ত হতে হতে এক সময়ে পরিণিত পায় চুম্বনে। এই চুম্বন যেন নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের অভিজ্ঞান। মুহূর্তের মধ্যে আবির্ভূত হন ‘অনুপমা’র ধর্মেন্দ্র, ‘বন্দিনী’র ধর্মেন্দ্র। একটি গান আর তার শীর্ষে জমে থাকা এক চুম্বন যেন ভেঙে দিল অ্যাকশন নায়কের দীর্ঘ যাত্রা। থেমে থাকলেন ধর্মেন্দ্র তাঁর রোম্যান্টিক অবতারেই। তুমুল রোম্যান্সকে কী ভাবে নির্মাণ করতে হয়, তিনি ৮৭ বছর বয়সেও তা ভোলেননি।

ধর্মেন্দ্র থাকবেন। ‘চুপকে চুপকে’-র ‘পেয়ারে মোহন ইলাহাবাদী’ হয়েও থাকবেন, ‘শোলে’-র জয়ের পাশে ‘বীরু’ হয়েও থাকবেন, ‘রকি অউর রানি…’র ‘কমল’ হয়েও থেকে যাবেন। অমিতাভ-জমানায় তিনি হয়তো দ্বিতীয় পুরুষ। কিন্তু এটুকু তো মনে রাখতে হবেই, দ্বিতীয় কেউ থাকেন বলেই ‘প্রথম’ নামক অবস্থানবিন্দুটি তার মহিমা অর্জন করে। ১৯৭০-পরবর্তী ধর্মেন্দ্রের সেখানেই জিত। বলিউডের বেতাজ বাদশা হওয়ার স্বপ্ন সম্ভবত লুধিয়ানার সাহনেওয়াল গ্রাম থেকে উঠে আসা ধরম সিংহ দেওল নামের মানুষটি দেখতে চাননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement