জেমস ক্যামেরুন পরিচালিত ‘টাইটানিক’ ছবির সেই দৃশ্য।
এই বৃদ্ধ দম্পতিকে চিনতে পারছেন? একে অপরকে জড়িয়ে শুয়ে রয়েছেন?
ঠিক ধরেছেন। এঁদের আপনি দেখেছেন ‘টাইটানিক’ (১৯৯৭) ছবিতে। জেমস ক্যামেরুনের ওই ছবিতে জাহাজ ডুবে যাওয়ার সময়ও বেরিয়ে আসেননি প্রথম শ্রেণির কেবিনে থাকা এই দুই নাগরিক। বরং একে অপরকে আঁকড়ে ধরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ বার সামনে এল তাঁদের আসল পরিচয়।
১০৫ বছর আগে তলিয়ে যাওয়া ‘টাইটানিক’-এ সত্যিই কি এমন কোনও বৃদ্ধ দম্পতি ছিলেন? নাকি ছবির প্রয়োজনে তৈরি করা চরিত্র তাঁরা? এ জল্পনা দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির অস্তিত্ব বাস্তবেও ছিল।
মিরর ইউকে-র খবর অনুযায়ী, ওই দম্পতির নাম ইসিডর স্ত্রাউস এবং তাঁর স্ত্রী ইডা স্ত্রাউস। ১৮৭১-এ তাঁদের বিয়ে হয়। ‘টাইটানিক’ দুর্ঘটনার ঠিক ৪১ বছর আগে। আমেরিকায় একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের অন্যতম মালিক ছিলেন ইসিডর। ফ্রান্সে ছুটি কাটিয়ে আমেরিকায় ফেরার পথে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন, টাইটানিকে ‘জ্যাক’কে কেন মরতে হয়েছিল? অবশেষে মিলল জবাব
জানা গিয়েছে, প্রথম শ্রেণির যাত্রী হওয়ার কারণে তাঁরা লাইফবোটে ওঠার অধিকার পেতেন। মহিলা হওয়ার কারণে আগে সেই সুযোগ পেতেন ইডা। ইসিডও পেতেন। ইসিড নাকি আগে মহিলা ও শিশুদের যাওয়ার ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। তবে ইডা কোনও ভাবেই লাইফবোটে উঠতে রাজি হননি। মৃত্যু আসন্ন জেনে স্বামীকে ছেড়ে যেতে আর মন চায়নি তাঁর। একসঙ্গে মৃত্যু বরণ করতে চেয়েছিলেন। ইডার ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়েছেন ইসিডর। সে সময় নাকি এক প্রত্যক্ষদর্শীরও খোঁজও পাওয়া গিয়েছিল। তিনি দুর্ঘটনার সময় ওই দম্পতিকে টাইটানিকের ডেকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন।
আরও পড়ুন, ‘ফিরাঙ্গির প্রিমিয়ারে ডেকেছি, কিন্তু সুনীল আসবে না’
তার পরের কাহিনি সকলেরই জানা। ইসিডর-ইডার নাতির ছেলে পল কুর্জম্যান এই ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ইসিডরের দেহও নাকি সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিল। তবে ইডার দেহ পাওয়া যায়নি।