মোহিত। ইনসেটে তাঁর নতুন লুক।
টেলিভিশনের তারকা মোহিত রায়নাকে দেখা যাচ্ছে ধারাবাহিক ‘২১ সরফরোশ সারাগারহি ১৮৯৭’-এ। এ বার তিনি নতুন ভূমিকায়।
মোহিত বললেন, ‘‘অল্প বয়স থেকে স্বপ্ন ছিল আর্মিতে যাব। মেডিক্যাল টেস্টে গিয়ে সব ভেস্তে গেল। দৃষ্টিশক্তি দুর্বল ছিল বলে নির্বাচিত হলাম না। তাই ‘২১ সরফরোশ...’-এ হাবিলদার ইশার সিংহের চরিত্রটা পেলাম। না বলার কারণ খুঁজে পাইনি।’’ ইশারের চরিত্রটির জন্য মোহিত আলাদা নজর দিয়েছেন নিজের লুকের প্রতি। জানালেন, ‘‘চুল-দাড়ি দুটোই বাড়াতে হয়েছে। গত জুনে শেষ দাড়ি কামিয়েছিলাম! চরিত্রের লুক ঠিক হলে, দর্শক কনভিন্সড হন সহজে। ওজন বাড়াতে হয়েছে। নিজের ভাষা ঠিক করার জন্য ১০০-১৫০টা পঞ্জাবি ছবিও দেখেছি।’’ সম্প্রতি শুটিংয়ে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলেও পড়েন মোহিত। কিন্তু অভিনয়ের টান আর পেশাদারিত্বের কথা মাথায় রেখে কাজ করে যান তিনি।
টিভির অনেক অভিনেতারই একটা সময়ের পর বড় পরদায় যাওয়ার ইচ্ছে থাকে। তবে এ বিষয়ে বেশ স্পষ্ট মোহিত। বললেন, ‘‘কাজ করি সৃজনশীল সত্তার চাহিদা পূরণের জন্য। দ্বিতীয় কারণ টাকা। টিভি থেকে দুটোই পাই। কোনও দিন যদি এমন ছবির অফার আসে, যা থেকে দুটো চাহিদাই পূরণ হচ্ছে, তা হলে নিশ্চয়ই করব। তবে একজন অভিনেতার জন্য টিভিতে এখনকার সময়টা ভাল। ১৫০টা চ্যানেল। কত ওয়েব সিরিজও হচ্ছে!’’
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে মোহিত মুম্বইয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করতে এসেছিলেন। সাফল্য পেলেও তাঁর মাথা ঘুরে যায়নি। ‘‘কাছে এসে দেখলাম, এগুলোর পিছনে অনেক পরিশ্রম জড়িয়ে। আমি যা নই, সেটা দেখানোর চেষ্টা করি না। আর খুব কাছ থেকে জীবনকে দেখেছি বলে সব কিছুর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি,’’ বলছেন অভিনেতা। ধারাবাহিকের একটি চরিত্র থেকে অন্য চরিত্রে যাওয়ার পর পুরনো ইমেজ ভেঙে ফেলতে নতুন কোনও শখের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে নেন।
মোহিতের সঙ্গে বারবার জড়িয়েছে মৌনী রায়ের নাম। তবে দু’জনেই ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবন আলাদা রাখতে পছন্দ করেন। মোহিত বললেন, ‘‘একজন অভিনেতার কাছে ডেডিকেশন, হার্ড ওয়র্ক জরুরি। মৌনীর মধ্যে দুটোই আছে। আমরা একে অপরকে অনেক টিপস দিই। মৌনী আজ যেখানে পৌঁছেছে, সেটা শুধুমাত্র ওর অধ্যবসায় আর বাবার আশীর্বাদে। ওর উন্নতিতে আমি ভীষণ খুশি।’’ আর সম্পর্ক? ‘‘মৌনী প্রথমে সহকর্মী ছিল। তার পর বন্ধু হয়েছে। এখন ও আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। এর বাইরে অন্য সম্পর্ক তৈরি হলে সেটা নিশ্চয়ই সকলের সামনে আসবে,’’ সাফ জবাব অভিনেতার।