'সম্মান বাঁচিয়ে যে কোনও চরিত্র'

ছোট পর্দায় রিয়্যালিটি শোয়ের ঢল। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়াজ় বেস্ট ড্রামেবাজ়’-এ বিচারক হিসেবে যোগদান করেছেন হুমা কুরেশি। তাঁর জায়গায় আগে ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে। বিচারকের আসনে উপভোগ করছেন হুমা কুরেশি? জানল আনন্দ প্লাস ছোট পর্দায় রিয়্যালিটি শোয়ের ঢল। সম্প্রতি ‘ইন্ডিয়াজ় বেস্ট ড্রামেবাজ়’-এ বিচারক হিসেবে যোগদান করেছেন হুমা কুরেশি। তাঁর জায়গায় আগে ছিলেন সোনালি বেন্দ্রে। বিচারকের আসনে উপভোগ করছেন হুমা কুরেশি? জানল আনন্দ প্লাস

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৮ ০০:৩৪
Share:

হুমা

প্র: সোনালির ক্যানসারের খবরটা কখন জানতে পারলেন?

Advertisement

উ: যখন এই শোয়ের প্রস্তাব পাই, সোনালির অসুস্থতার ব্যাপারে কিছুই জানতাম না। খবরটা শোনার পরে বাকরুদ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। সোনালিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মেসেজ করেছি। আমি জানি, শি উইল ফাইট ব্যাক।

প্র: টেলিভিশনের কাজ কি বেশি ডিমান্ডিং?
উ: ছবির কাজ অবশ্যই প্রথম পছন্দ। তবে টিভি আমাকে আকর্ষণ করত। টেলিভিশনের চাহিদা অনেক বেশি।

Advertisement

প্র: বিচারকের ভূমিকায় কতটা উপভোগ করছেন?
উ: বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটালে চাপমুক্ত লাগে। এখনকার বাচ্চারা খুব ফোকাসড। খেলার সঙ্গে নিজেদের কাজটাও বোঝে।

প্র: আপনার প্রথম মেন্টর কে?
উ: দিল্লিতে থিয়েটার করার সময়ে এন কে শর্মার কাছে অনেক কিছু শিখেছি। পরিচালক ও সহ-অভিনেতাদের কাছ থেকেও রোজ কিছু না কিছু শিখি।

প্র: আপনার ছোটবেলার কিছু গল্প বলুন...
উ: যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি। বাড়িতে অনেক ভাই-বোন। তাদের সঙ্গে এই আড়ি, এই ভাব করেই দিন কেটে যেত। মা পড়াশোনা নিয়ে বেশ কড়া ছিলেন। আমি পড়াশোনায় খুব ভাল ছিলাম। ক্লাসে হেডগার্লও ছিলাম। পাশাপাশি খেলাধুলো, বিতর্ক, প্রতিযোগিতা সবেতেই অংশ নিতাম।

প্র: পরিচালক সুজিত সরকার বলেছিলেন, রিয়্যালিটি শো বন্ধ হয়ে যাওয়া উচিত। আপনার কী মত?
উ: আমি জানি, দাদা কী ভেবে এই মন্তব্য করেছিলেন। কিন্তু আমাদের শোয়ে জোর দেওয়া হয় ব্যক্তিত্বের বিকাশের উপরে। অযাচিত প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব যেন বাচ্চাদের মধ্যে না বাড়ে। ওদের কনফিডেন্স বাড়ানোই লক্ষ্য।

প্র: রজনীকান্তের সঙ্গে কাজ করে কেমন লাগল?
উ: এত বড় স্টার হয়েও কত বিনয়ী উনি! এটা শেখার বিষয়। প্রতিটি শট দেওয়ার আগে অ্যালার্ট থাকতেন।

প্র: টিভির পরে আপনি কি ওয়েব সিরিজ়ে কাজ করবেন?
উ: কেন করব না? ‘সেক্রেড গেমস’ দেখেছি। ভীষণ ভাল লেগেছে। মনমতো চরিত্র পেলে করব।

প্র: কিন্তু ওয়েব সিরিজ়ে সেন্সরশিপ নেই। এটা নিয়ে কী বলবেন?
উ: ছবিতেও এখন এমন কনটেন্ট থাকে, যা সেন্সরে পাশ হয়ে যায়। আইটেম সং কথাটা আমার খুব খারাপ লাগে। এমন কথায় নারীর অপমান হয় না? আসলে আইটেম সং দিয়ে দর্শককে প্রলোভন দেখানো হয়। আমার সম্মান আমার কাছে সবচেয়ে দামি। সেটা বাঁচিয়ে যে কোনও চরিত্র করতে রাজি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন