'বাকেট লিস্টে অনেক কিছু অপূর্ণ আছে'

প্রথম মরাঠি ছবি ‘বাকেট লিস্ট’ মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। ‘কলঙ্ক’-এর শুটিং করছেন। সব নিয়ে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মাধুরী দীক্ষিতপ্রথম মরাঠি ছবি ‘বাকেট লিস্ট’ মুক্তি পেয়ে গিয়েছে। ‘কলঙ্ক’-এর শুটিং করছেন। সব নিয়ে আনন্দ প্লাসের সঙ্গে আড্ডা দিলেন মাধুরী দীক্ষিত

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ জুন ২০১৮ ০০:০০
Share:

মাধুরী

প্র: ডান্স রিয়্যালিটি শোগুলো আদৌ কোনও ভাবে দেশবাসীকে সাহায্য করছে?

Advertisement

উ: নিঃসন্দেহে। আমাদের সময়ে এই সব তো ছিল না। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক প্রতিভা রয়েছে। এই ধরনের শোয়ের মাধ্যমে আমরা এক সঙ্গে এত ট্যালেন্টকে এক জায়গায় দেখতে পাচ্ছি। এখন অভিভাবকরা নাচকে পেশা হিসেবে দেখার ক্ষেত্রে গোঁড়ামি করছেন না। ডান্সারদের ডিমান্ডও বেড়েছে। কর্পোরেট জগৎ থেকে বিয়ের আসর— সব জায়গায় এঁদেরকে দরকার। রিয়্যালিটি শোগুলো ডান্সারদের একটা প্ল্যাটফর্মও দেয়। আমি যে রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারক হয়েছি, সেখানে এক সঙ্গে তিন প্রজন্মের ডান্সারদের দেখা যাবে, যাঁরা একে অপরের সঙ্গে মোকাবিলা করবেন।

প্র: আপনার পরিবারে তিন প্রজন্মের মধ্যে কেউ নাচ জানতেন?

Advertisement

উ: মা কোনও দিন নাচ শেখেননি। সেই সময়ে নাচকে এত প্রাধান্য দেওয়াও হতো না। তবে মা ঠিকই করে রেখেছিলেন, যদি মেয়ে হয় তা হলে তাকে নাচ শেখাবেন (হাসি)!

প্র: এমন কোনও ডান্স ফর্ম আছে, যেটা আপনি জানেন না?

উ: আমি যখন মাস্টারজির (সরোজ খান) সঙ্গে কাজ শুরু করি, তখন ইন্ডাস্ট্রিতে উনিই ছিলেন সেরা। আমরা বছরের পর বছর একসঙ্গে কাজ করেছি। বোঝাপড়াও খুব ভাল ছিল। পরবর্তী সময়ে যখন প্রভু দেবার সঙ্গে কাজ করেছি, তখন ওঁর স্টাইল বুঝতে আমার সময় লেগেছে। প্রথম প্রথম খুব থতমত খেতাম। কঠিন পরিশ্রম করেছি বলেই সম্ভব হয়েছে।

প্র: ‘কলঙ্ক’ নিশ্চয়ই আপনার কাছে খুব স্পেশ্যাল ছবি?

উ: (হাসি) ‘কলঙ্ক’-এ কাজটা খুব উপভোগ করছি। সেটে বরুণ খুব প্রাণবন্ত। ও ভীষণ ভাল ডান্সার। আলিয়া আমার প্রিয় অভিনেত্রী। তবে ‘কলঙ্ক’-এ আমার এন্ট্রি হয়েছে যে কারণে, সেটা খুবই দুঃখের (প্রয়াত অভিনেত্রী শ্রীদেবীর এই চরিত্রটি করার কথা ছিল)।

প্র: আপনার কেরিয়ারের দুটো মাইলফলক ‘সাজন’ এবং ‘বেটা’। কিছু মুহূর্ত শেয়ার করবেন আমাদের পাঠকদের সঙ্গে?

উ: ‘বেটা’য় অরুণা ইরানির সঙ্গে আমার সব ক’টা দৃশ্যই খুব বলিষ্ঠ ছিল। যে সব দৃশ্যে শাশুড়ি আর বউয়ের রেষারেষিগুলো ছিল, সেগুলোই দর্শক সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেছিলেন। আমার মতে, অরুণাজির যা প্রাপ্য ছিল তা উনি পাননি। ‘সাজন’-এর কাস্টিং আর গল্প জানার পর সকলের মনে হয়েছিল, সঞ্জয় দত্তকে প্রেমিকের ভূমিকায় মানাবে না। সঞ্জয় সেই সময়ে অ্যাকশন সুপারস্টার ছিলেন। কিন্তু ছবিটা মুক্তি পেল, সুপারহিট হল। সবার ধারণা ভুল প্রমাণিত হল। ছবিটা থেকে এ-ও শিক্ষা নিয়েছিলাম যে, স্টিরিওটাইপ থেকে নিজেদের বার করাটা জরুরি।

প্র: আপনার জীবনের উপর ফিল্ম বানানো উচিত? কী মত?

উ: অনেক সময় আছে। বাকেট লিস্টে অনেক কিছু অপূর্ণ আছে। সেগুলো আগে পূরণ করি!

প্র: আপনার ফিটনেস সিক্রেট?

উ: নাচ। তার সঙ্গে ব্যালান্সড ডায়েট। নো ফ্যাট, লেস অয়েল।

প্র: কেরিয়ারের মূল্যায়ন করেন?

উ: আমি খুবই ভাগ্যবান। আমাকে মাথায় রেখে চরিত্র লেখা হতো। নিজের শর্ত অনুযায়ী সব সিদ্ধান্ত নিতাম। আবার যখন বিয়ে করতে চেয়েছি, বিয়ে করেছি। যখন মা হতে চেয়েছি, হয়েছি। মানুষের কাছ থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি, সেটাও খুব মূল্যবান। আর সবটাই হয়েছে আমার মায়ের কারণে। সাফল্য বা ব্যর্থতাকে যে একই ভাবে দেখতে হয়, সেটা মা-ই শিখিয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন