সুহাসি
অভিনেত্রী সুহাসি ধামি ‘ইয়হাঁ ঘর ঘর খেলি’ ধারাবাহিকে আভার চরিত্রে দর্শকের মন জয় করে নিয়েছিলেন। মা হওয়ার পর কিছু দিনের ব্রেক নিয়েছিলেন। সন্তানের বয়স তিন বছর হওয়ার পর আবার পরদায় ফিরলেন, নতুন ধারাবাহিক ‘আপ কে আ যানে সে’-তে। এখানে সুহাসিকে এক চল্লিশোর্ধ্ব মহিলার ভূমিকায় দেখা যাবে। আর এক জনপ্রিয় অভিনেত্রী দ্রষ্টি ধামি এবং সুহাসি কিন্তু একই পরিবারের। দ্রষ্টির ভাই জয়শীল ধামির স্ত্রী সুহাসি।
সংসার, সন্তান, পেশা... সব কিছু একসঙ্গে আজকাল অনেক মহিলাই সামলান। তবে ব্যালান্স রাখাটা কিন্তু সহজ নয় এবং সেটা এক একজন এক এক ভাবে করেন। সুহাসির রহস্যটা কী? ‘‘আমি তো রান্নাঘরে ঢুকি না। আমার ছেলে কবীর যখন এক বছর পূর্ণ করল, তখন জয়শীল বলল, আমি কাজ শুরু করতে পারি। কিন্তু আমিই একটু সময় নিই। কারণ কবীর আর একটু বড় হলে কাজ শুরু করব বলে ঠিক করেছিলাম।’’ তার মানে রান্নাঘরে নো এন্ট্রি? ‘‘ছেলে কেক খেতে খুব ভালবাসে। মাঝেমাঝে ওর জন্য কেক বেক করি বইকী।’’
ব্রেকের পর ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরে কী রকম ফিডব্যাক পেলেন? ‘‘ব্রেকের পর যখন কাজ খুঁজতে শুরু করলাম, সেটা একটা স্ট্রাগল ছিল! আমার কনফিডেন্স লেভেল কম ছিল। পরে মানসিকতা বদলে যায়, ফিজিক্যালি অনেক পরিবর্তন আসে। যদিও আমাকে সবাই বলতেন, একই রকম আছি। কিন্তু তাও কাজ পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজার পর ‘আপ কে আ যানে সে’-র অফার পাই।”
‘আপ কে...’র গল্প ৪২ বছরের বেদিকার, যার প্রেমে পড়ে ২৪ বছরের সাহিল। অসমবয়সি প্রেমের ব্যাপারে সুহাসির কী মত? ‘‘দেখুন, আমি আর জয়শীল সমবয়সি, আমাদের মধ্যেও মতের অমিল হয়। তবে মানসিকতার পার্থক্য অনেক কিছু নির্ধারণ করে।’’ স্ত্রীর কেরিয়ার সম্পর্কে কী মনে করেন জয়শীল? ‘‘সব সময় উৎসাহ দেয়। তবে একটা অভিযোগ আছে, জয়শীল আমার একটা শো-ও দেখেনি।’’
ননদ দ্রষ্টির সঙ্গে নিজের সম্পর্ক সহজ ভাবে ব্যাখ্যা করলেন সুহাসি, ‘‘ননদ-বউদির যে রকম স্বাভাবিক সম্পর্ক হয়, আমাদেরও তাই। দু’জনেই অভিনেত্রী বলে পরস্পরকে বুঝতে পারি।’’