Adrija Roy

Adrija Addy Roy: ‘শিল্পী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় উপস্থিতি খুব জরুরি’

অতিমারি পাল্টে দিয়েছে অদ্রিজার ‘বেহিসেবি’ তকমা।

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৮:০৬
Share:

ছবি:ইনস্টাগ্রাম।

অভিনয়ে আসার পরিকল্পনা ছিল না অদ্রিজা রায়ের। ‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিকের নামচরিত্রের সুবাদে তিনি এখন ছোট পর্দার পরিচিত মুখ। ‘‘আমার কাকা আদিত্য রায় ছোট পর্দায় অভিনয় করেন। ওঁর বন্ধুরা বাড়িতে আসতেন। তাঁরাই বলেছিলেন, অডিশন দিতে। কোনও পরিকল্পনা ছাড়া শুরু করেছিলাম বটে। তবে পরে অভিনয়ের মধ্যে ভালবাসা খুঁজে পেয়েছি,’’ বললেন অদ্রিজা। অভিনয়ে আসার আগে লং জাম্প এবং দৌড় প্রতিযোগিতায় রাজ্যস্তরে খেলেছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিকের আগে ‘পটলকুমার গানওয়ালা’ এবং ‘সন্ন্যাসীরাজা’ সিরিয়ালে লাইমলাইট পেয়েছিলেন অদ্রিজা। ধারাবাহিকে কাজ শুরু করেছিলেন রাজ চক্রবর্তীর প্রযোজনায়। ‘‘প্রথম যে চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটা দু’সপ্তাহের ছিল। পরে ফোনে জানানো হয়, আমার অভিনয় ভাল লেগেছে রাজদার। তখন ‘বেদেনি মলুয়ার কথা’ ধারাবাহিকে নেগেটিভ লিডের প্রস্তাব পাই।’’ পরে রাজ পরিচালিত ‘পরিণীতা’ ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।

‘মৌ-এর বাড়ি’ ধারাবাহিকে তুলে ধরা হচ্ছে এখনকার এক মেয়ের গল্প যে চায়, তার নিজের একটা বাড়ি হোক। বিয়ের পরে সে বাড়িতে তার মা-বাবার থাকতে কোনও কুণ্ঠা থাকবে না। ‘‘এই ধারাবাহিকের প্রোমো অন-এয়ার হওয়ার পরে অনেক বিবাহিত মহিলা আবেগঘন মেসেজ করেছিলেন আমাকে। একজন লিখেছিলেন, ‘এটা আমার গল্প।’ আর একজন লিখেছেন, ‘আমার জীবনসঙ্গী যদি এমন সাপোর্ট করত...’ বিষয়টার সঙ্গে কানেক্ট করেছিলাম। অনেক জায়গায় তর্ক করি নারী-পুরুষ সমান বলে। তখন আবার পাল্টা যুক্তিও ধেয়ে আসে,’’ বললেন অভিনেত্রী।

Advertisement

পর্দায় বিবাহিত মহিলার চরিত্রে অভিনয় করলে স্ক্রিন এজ বেড়ে যায় না? ‘‘সত্যি কথা বলতে, অদ্রিজার চেয়ে মৌ এক বছরের ছোট। সিঁদুর পরলে মেয়েদের দেখতে ম্যাচিয়োরড লাগে। তবে আমাকে বিশেষ কিছু করতে হয়নি। এর আগে দু’টি ধারাবাহিকে আমার বিপরীতে ছিলেন সাহেবদা (চট্টোপাধ্যায়), যাঁকে আমি অফস্ক্রিনও ‘বাবা’ বলে ডাকি,’’ হাসতে হাসতে বললেন অভিনেত্রী।

ছোট পর্দার অনেক অভিনেত্রী এখন ইনস্টাগ্রামে রিল ভিডিয়ো করেন। পিছিয়ে নেই অদ্রিজাও। ‘‘আমার রিল ভিডিয়ো করতে খুব ভাল লাগে। অনেক তাড়াতাড়ি বেশিসংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছনো যায়। আর এখন তো শুধু ছোট পর্দায় সিরিয়াল দেখেন না দর্শক। ওটিটিতেও দেখেন। চ্যানেলের তরফে দৃশ্য, শুটিংয়ের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দেওয়া হয়। কাজের সঙ্গে শিল্পীর নিজের ডিজিটাল প্রোমোশন এখন জরুরি,’’ মনে করেন তিনি।

ব্যক্তিজীবনের প্রচার যখন তাঁর পছন্দের, তখন ক্রুশল আহুজার সঙ্গে সম্পর্কের কথা এড়িয়ে যান কেন অদ্রিজা? ‘‘আমরা কখনও বলিনি, সম্পর্কে আছি। আমরা খুব ভাল বন্ধু। আজ যদি আমার মা-বাবার সঙ্গে কয়েক মাস ছবি পোস্ট না করি, তবে কি তাঁদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই?’’ পাল্টা প্রশ্ন অভিনেত্রীর।

অতিমারি পাল্টে দিয়েছে অদ্রিজার ‘বেহিসেবি’ তকমা। ‘‘আমার সব কিছুতেই খরচ হয়ে যায়। আর ঘুরতে খুব ভালবাসি। সপ্তাহান্তে মুম্বই ঘুরে এসে আবার সোমবার থেকে শুট করি। অতিমারির জন্য কোথাও যেতে পারছিলাম না। তখন শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে দু’দিন থেকেছি,’’ বললেন তিনি। অদ্রিজার অবসরের সঙ্গী তার দু’টি পোষ্য কুকুর। ‘‘ওদের সঙ্গে থাকলে পজ়িটিভ এনার্জি পাওয়া যায়।’’

সিরিয়াল, সিরিজ়ের পরে এখন বড় পর্দায় বড় সুযোগের অপেক্ষায় অদ্রিজা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement