Interview

এসভিএফে দেব নেই, তাই আপনি? অঙ্কুশ বললেন...

এক জন মুম্বই থেকে ফিরেই রাত অবধি শুট করে সক্কাল সক্কাল সাক্ষাৎকারের জন্য রেডি। অন্য জন তাঁর পুজোর ছবি নিয়ে টেনশন করছেন। মিমি চক্রবর্তী আর অঙ্কুশ। এ বার পুজোয় তাঁদের অফলাইন কেমিস্ট্রির জয়জয়কার। মেঘ মেঘ শর্ট ড্রেসে হইচই শুরু করেছেন মিমি। এক বার গরম জল, আর এক বার তাঁর স্পেশাল ‘সঞ্জীবনী বুটি’ খাচ্ছেন।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:৩০
Share:

মিমি চক্রবর্তী আর অঙ্কুশ।

অঙ্কুশ আসছিস না কেন? সাহস কম নয় তো!
মেঘ মেঘ শর্ট ড্রেসে হইচই শুরু করেছেন মিমি। এক বার গরম জল, আর এক বার তাঁর স্পেশাল ‘সঞ্জীবনী বুটি’ খাচ্ছেন।
এ রকম একটা সময় অঙ্কুশের ‘হিরো সুলভ’ এন্ট্রি। মিমির কথায় এক সময় কমলালেবু আর ডিম সেদ্ধ খেয়ে, জিম করে নিজেকে আরও ঝকঝকে স্মার্ট করে ফেলেছেন অঙ্কুশ।
সাক্ষাৎকার শুরু করার আগেই শুরু হল খুনসুটি...(সবটা লেখা যাবে না)

Advertisement

বাজারে একটা গসিপ ছড়িয়েছে। অঙ্কুশ ঐন্দ্রিলাকে ছেড়ে মিমির দিকে। এটা কি আপনাদের ছবি ‘ভিলেন’-এর প্রমোশনের জন্য ছড়ানো হল?
মিমি: আমি তো এই মাত্র শুনলাম। তবে অঙ্কুশ কিন্তু আমায় রোজ না দেখে থাকতে পারে না। আমি আর ও একসঙ্গে থাকি।
অঙ্কুশ: মিমির দিকে তাকিয়ে গান গেয়ে ওঠেন। আরে ওর জন্য গ্যাংটকে বাড়ি কিনেছি আমি। এই গরম মেয়েকে তো ঠান্ডা জায়গায় রাখতে হবে!
( প্রশ্ন করার আগেই অঙ্কুশের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মিমি)
মিমি: আমি নর্থ বেঙ্গলের মেয়ে। তুই গ্যাংটকে বাড়ি কেনার গল্প দিচ্ছিস!

অঙ্কুশ আপনি তো কিছু বলছেন না...
অঙ্কুশ: ইয়েস আই লাভ হার।
তা হলে ঐন্দ্রিলার কী হবে?
অঙ্কুশ: এর মধ্যে ঐন্দ্রিলা কোথায়? আমরা তো ‘ভিলেন’ নিয়ে কথা বলব।

অনেক দিন পর আপনি ‘ভিলেন’-এ এ রকম একটা চরিত্র পেলেন। আপনার এত প্রমিনেন্ট রোলে ফেরার সঙ্গে দেবের এসভিএফ থেকে একটু সরে যাওয়া...কোনও সম্পর্ক আছে?
অঙ্কুশ: আপনি বলতে চাইছেন, দেব আপাতত এসভিএফ-এ নেই তাই আমি এলাম? নাহ্, বিষয়টা তা নয়। এসভিএফ একসঙ্গে অনেক অভিনেতাকে নিয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত। আর দেব নিজে প্রোডাকশন করে ভাল ছবি করছে, এটা সত্যি খুব ভাল বিষয়। এই মুহূর্তে এই ছবির অফার পেয়েছি তাই করেছি। সোজা হিসেব।
(মিমি তত ক্ষণে অঙ্কুশের চশমা কেড়ে নিয়ে নিজে পরে সেলফি তুলছেন।)
মিমি: আরে মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করবে তাই ও ‘ভিলেন’ করছে!

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘আই হেট ইউ’, ঐন্দ্রিলাকে কেন বললেন অঙ্কুশ?

বেশ, আপনি কেন ‘ভিলেন’ করলেন? আবার সেই কমার্শিয়াল ছবি...
অঙ্কুশ: আরে ভাল টাকা পেয়েছে করেছে। আর পুজোর সময় ছবি এলে মাচা থেকে ফিতে কাটা, ভাল টাকা পাওয়া যায়। পকেট ভর্তি। আর কি! হ্যাঁ, অঙ্কুশ ছিল বলে ওর আগ্রহটা বেশি ছিল...
মিমি: আমার উত্তর দেখুন ও দিয়ে দিল!
অঙ্কুশ: আরে ও স্ক্রিপ্টও শোনেনি। হ্যাঁ বলে দিয়েছে। ভাবুন।
মিমি: (চিৎকার করে) আমায় বলতে দিবি? শুনুন পুজো রিলিজ না করব কেন? এই যে এত মাচা করি, সবাই জানতে চায় দিদি তোমার পুজো রিলিজ কী? কোথাও দুর্গাপুজোয় ওপেন করতে গেলাম, অনুরোধ আসে, তোমার পুজোর ছবির গান গাও। আর এই ছবির স্ক্রিপ্টটা ভাল। কমার্শিয়াল ছবির সব মেটিরিয়াল আছে। আর যে যা-ই বলুক একটা কথা আমি সাফ বলতে চাই। প্রত্যেক অভিনেতাই কিন্তু কমার্শিয়াল ছবিতে অভিনয় করতে চায়। সকলের ইচ্ছে হয় একটা শিফন শাড়ি পড়ে বরফের পাহাড়ে নাচতে। এই যে কিছু মানুষ থাকে তারা মুখ বেঁকায়। কমার্শিয়াল ছবি! ও আমার ছেলেমেয়েরা হয়তো দেখে। খুব গর্ব করে বলে, আমরা দেখি না! এদের জন্য বাংলা ছবির এই হাল। আমাকে সবাই বলবে আপনার ‘গানের ওপারে’, ‘পোস্ত’, ‘ধনঞ্জয়’ খুব ভাল। ব্যস! আপনি তামিল ছবির কথা ভাবুন। সমস্ত মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে ছবি দেখার জন্য। বাঙালি হয়ে বাংলা ছবি দেখব না আমরা। আমি কাউকে ছোট করছি না। কিন্তু কমার্শিয়াল ছবি শুট করা কী কঠিন! শহুরে ছবি হয়তো এক দিন একটা জায়গা ঘিরে হল। আমাদের সেখানে এক দিনে ন’টা লোকেশনে ছুটতে হয়। প্লিজ আপনারা হলে গিয়ে বাংলা ছবি দেখুন।
অঙ্কুশ: আর পুজোতে দারুণ সব ছবি আসছে। ‘এক যে ছিল রাজা’, ‘ব্যোমকেশ গোত্র’।
মিমি: বুম্বাদার কিশোরকুমারের লুক দেখে তো আমি অবাক। ওটা দেখবই। ইন ফ্যাক্ট, পুজোর সব রিলিজ দেখব আমি। যিশুদার তো এ বার কী অসম্ভব ভাল কাজ! আবিরদা আছে...
অঙ্কুশ: আমার ‘ভিলেন’ দেখবি না।
মিমি: উফফ! নিজের ছবি তো প্রিমিয়ারেই দেখব।


অঙ্কুশ কি প্রিমিয়ারে ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে যাবেন?
অঙ্কুশ: এখনও জানি না ওর ছুটি আছে কি না।

আচ্ছা এই ‘ফাগুন বউ’ ধারাবাহিকে ঐন্দ্রিলা আর বিক্রমের এত প্রেম...আপনার অস্বস্তি হয় না?
অঙ্কুশ: ধুর! বিক্রম ঐন্দ্রিলার চেয়ে আমার বেশি বন্ধু!

আপনাদের দু’জনের কথায় বোঝা গেল, বাংলা ছবিতে আজও কমার্শিয়াল আর আরবান ভাগ আছে...
অঙ্কুশ: অবশ্যই আছে। মাল্টিপ্লেক্সে ‘ভিলেন’ একটা শো পাবে। অন্য দিকে ‘এক যে ছিল রাজা’ শহরে অনেক বেশি শো পাবে। আর মফস্সলে ‘ভিলেন’-এর শো বেশি থাকবে। এটাই বাস্তব। আমাদের ছবি দেখে লোকে সিটি দেবে, নেচে উঠবে। আর ‘ভিলেন’ তো রহস্যে ভরা। প্রেম নয়, এ ছবির সম্পদ রহস্য। আর মিমি তো আছেই।

মিমি অঙ্কুশের কাজ নিয়ে বলবেন না?
অঙ্কুশ: অসম্ভব সেক্সি দেখিয়েছে আমায় ছবিতে। দারুণ অভিনয়। বল...
মিমি: আমার কথা বলি এ বার? অঙ্কুশ এ ছবির জন্য প্রচুর খেটেছে। ছবিটা দেখলেই বুঝবেন আপনারা।
অঙ্কুশ: আসলটা বলছে না। আরে, ওর-আমার কেমিস্ট্রিটাই, মানে অফ স্ক্রিন কেমিস্ট্রিটাই এখানে ক্লিক করেছে! মিমির ঘন কাজল চোখ...উফ্ফ!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন