বিধু
প্র: পরিচালক না প্রযোজক, কোন দায়িত্ব বেশি কঠিন?
উ: সত্যি কথা বলতে, আমি প্রযোজক নই। আমাকে প্রযোজক বলে, কারণ কোনও একটা নামে তো সম্বোধন করতে হবে! ‘সঞ্জু’তে আইনগত দিক দিয়েও প্রযোজক নই। এক জন প্রযোজকের যা যা করণীয়, তার কিছুই আমি করি না। আমি লিখি, গানের সুর তৈরি করি, সম্পাদনার কাজে সাহায্য করি। আমি ক্রিয়েটর। কলকাতায় যখন লোকে জিজ্ঞেস করছেন, পরের ছবিতে কী নামে ডাকা হবে, সেটা ভেবে দেখতে হবে (জোরে হাসি)।
প্র: আপনি, পরিচালক রাজকুমার হিরানি ও চিত্রনাট্যকার অভিজাত জোশীর রসায়ন অনবদ্য। মতের অমিল হলে কী ভাবে সামলান?
উ: মতের অমিল খুব কম সময়েই হয়। কারণ আমাদের তিন জনেরই লক্ষ্য নিখুঁত কাজ করা। আর হলেও আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হয়।
প্র: সঞ্জয় দত্ত নিজেই কি তাঁর বায়োপিকে অভিনয় করতে পারতেন না?
উ: এটা বায়োপিকের চেয়ে অনেক বেশি কিছু। সঞ্জয়ের কথা কখনও ভাবিনি।
প্র: সলমন খান বলেছেন, শুধু মাত্র সঞ্জয়ই তাঁর চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন, আর কেউ নন।
উ: খুব ভাল। এটা ওঁর মত (জোরে হাসি)। আমার কিছু বলার নেই।
প্র: বলিউড কেন বায়োপিকের পিছনে ছুটছে বলতে পারেন?
উ: ঠিক জানি না। এই ছবিটা করার পরিকল্পনা ছিল না। ‘মুন্নাভাই...’এর সিকুয়েল নিয়ে কথা চলছিল। কিন্তু রাজকুমার ও অভিজাত এল ‘সঞ্জু’র গল্প নিয়ে। আঁতকে উঠেছিলাম। বলেছিলাম, তোমরা কি পাগল হয়েছ? ওর জীবনে দেখানোর মতো কী এমন আছে! যখন গল্পটা শুনতে শুরু করি, তখন মনে হল, এ এক অন্য জীবন। তবে নিজে কখনও বায়োপিক পরিচালনা করব না।
প্র: ‘স়ঞ্জু’র টয়লেট দৃশ্য নিয়ে আপত্তি উঠেছে...
উ: কবে হয়েছে? (ঘটনাটি শুনে বললেন) এটা গণতন্ত্র। ছবি রিলিজ়ের আগে কেউ না কেউ একটা বিষয় নিয়ে তো কথা বলেনই।
প্র: কাশ্মীরে বড় হয়েছেন। পপুলার কালচার কি ওখানকার মানুষের উপরে কোনও প্রভাব ফেলে?
উ: এই বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য গবেষণার প্রয়োজন। যখন ‘মুন্নাভাই’তে গাঁধীগিরি দেখালাম, অনেকে বলেছিল, এটা নাকি গাঁধীবাদকে ফিরিয়ে এনেছে। ‘পরিণীতা’য় রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার করেছি। তাতে সাধারণের মধ্যে পরিবর্তন এসেছে কি না, তা বলতে পারব না।
প্র: আপনার ছবিতে কনটেন্ট ছিল। আবার তা বক্স অফিসেও চলত। এখন বিষয়ভিত্তিক ছবির কথা উঠলে কী মনে হয়?
উ: আমি লোকের কথা অত শুনি না। ফেসবুক-টুইটার কিছুতেই নেই। ফোনও বেশি ব্যবহার করি না।
প্র: বাইরের জগৎ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন মনে হয় না?
উ: আমার মতে, যত বেশি বিচ্ছিন্ন থাকবেন, বুঝবেন ভাল আছেন। পৃথিবীতে এত দুর্নীতি, এত বেশি ইনস্টাগ্রামের ছবি... মনে হয়, বিচ্ছিন্ন থাকাই ভাল। আর সব সময় বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকলে মহৎ কিছু সৃষ্টি করা যায় না। যোগাযোগ রাখা দরকার, শুধু মাত্র শেখার জন্য।
প্র: বাংলা সাহিত্য নিয়ে আর ছবি করার কথা ভাবছেন?
উ: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা নিয়ে ছবি করতে চাই। কোনও চিত্রনাট্য তৈরি থাকলে অবশ্যই জানাবেন কিন্তু (হাসি)!