রুক্মিণী মৈত্র। ছবি: দেশকল্যাণ চৌধুরী
প্র: ‘কিডন্যাপ’-এ তো আপনি সাংবাদিকের ভূমিকায়। বাস্তবে সাংবাদিক হলে কার হাঁড়ির খবর বার করতেন?
উ: (অনেক ক্ষণ হেসে) নিজেকে নিয়ে কিছু করতাম। আমাকে নিয়ে তো কোনও গসিপও হয় না। টিমকে প্রায়ই ইয়ার্কি করে বলি, আমার ব্যাপারে র্যান্ডম কোনও গুজব ছড়িয়ে দাও!
প্র: নিজের ব্যাপারে কোন গুজবটা ছড়াতে চান?
উ: (হাসতে হাসতে) অম্বানীদের বিয়েতে রুক্মিণী মৈত্রকে পারফর্ম করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে... এবং বেয়ন্সের তুলনায় রুক্মিণী ডাবল পারিশ্রমিক পেয়েছে!
প্র: বেশ উচ্চাকাঙ্ক্ষী গসিপ কিন্তু। তবে আপনার ব্যাপারে বেশ কিছু জিনিস শোনা যাচ্ছে ইদানীং। যেমন, দেবের সঙ্গে আপনার এনগেজমেন্ট হয়ে গিয়েছে!
উ: আমি একদম জুয়েলারি পরতে পারি না। সরু আংটি, ছোট ইয়ারিং বা স্টাড পরি। আর সোনা একদম পছন্দ নয়। কিন্তু ডায়মন্ড স্টাড বা সলিটেয়ার পরতে ভালবাসি। সেই জন্যই একটা হিরের আংটি কিনেছিলাম। কে কী পরছে, সেটা তো তার নিজস্ব ব্যাপার!
প্র: তা হলে আপনাদের আসল এনগেজমেন্ট কবে?
উ: ‘চ্যাম্প’-এ তো বিয়েটাই করে নিলাম আমরা! ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজ়িক দিয়ে, রাজ চক্রবর্তীকে দিয়ে প্রপার শুট করিয়ে... আর কী চাই!
প্র: দেবের সঙ্গেই ছবি করেন। লোকে বলে, দেবের গার্লফ্রেন্ড বলেই ছবিগুলো পাচ্ছেন। এতে নায়িকা হিসেবে আপনার নিজের পরিচিতি তৈরি করতে সমস্যা হচ্ছে না?
উ: আই অ্যাম আ গার্ল অ্যান্ড আই অ্যাম হিজ় ফ্রেন্ড... সেই হিসেবে গার্লফ্রেন্ড বললে ঠিক আছে। কিন্তু সেই জন্য ছবি পাচ্ছি যারা বলছে, তাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিটা ঠিক নেই। ‘চ্যাম্প’ এক মাত্র ছবি যেটা দেব নিজে থেকে আমাকে অফার করেছিল। কিন্তু ‘ককপিট’, ‘কবীর’ আর ‘কিডন্যাপ’ পরিচালকরাই অফার করেন আমাকে। সকলেই আগে দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমি করব কি না। কিন্তু দেব সকলকে বলেছিল, ‘চ্যাম্প’ করতে বলার জন্য ছ’মাস যে ঝগড়া হয়েছে, তাতে ও অন্তত আমাকে বলবে না! যে চরিত্রগুলো আমাকে অফার করা হচ্ছে, যেমন ধরুন ইয়াসমিনের (কবীর) চরিত্রটা, সে তো বাঙালি না। আমার চেহারাটা কিন্তু ভীষণ কসমোপলিটান। অনেক ধরনের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে যায়। এখন দেবের প্রযোজনায় পরপর ছবি হচ্ছিল বলে লোকে এ সব ভাবতে পারে। কিন্তু ‘কিডন্যাপ’ তো সুরিন্দরের। এর আগে জিতের প্রোডাকশন থেকে ‘বাচ্চা শ্বশুর’ আর ‘শেষ থেকে শুরু’র অফার পেয়েছিলাম। কিন্তু ‘কিডন্যাপ’ আর ‘পাসওয়ার্ড’-এর সঙ্গে ডেটস ক্ল্যাশ করছিল। আই নো ইটস হার্ড টু বিলিভ, কিন্তু এটাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সমস্যা। দেবকে তো কেউ জিজ্ঞেস করছে না, তুমি কেন রুক্মিণী ছাড়া কারও সঙ্গে কাজ করছ না? বা অন্য কোনও প্রোডাকশনে কেন কাজ করছ না? আমি যদি অভিনয়টা এক শতাংশও না পারতাম, তা হলে তো কেউ আমাকে নেওয়ার কথা ভাবত না! প্রতিটা ফিল্ম রিভিউতে অন্তত তিন-চার লাইন লেখা হয় আমার পারফরম্যান্স নিয়ে...
প্র: দেব তো আনন্দ প্লাসেই আপনাদের সম্পর্ক নিয়ে বলেছেন। কিন্তু আপনি বলছেন আপনি গার্ল এবং ফ্রেন্ড?
উ: দেব এ রকম বলেছে? দ্যাট ইজ় দ্য বেস্ট রিউমার হি হ্যাজ় ম্যানেজড টু স্প্রেড অ্যাবাউট হিমসেল্ফ!
প্র: আপনারা লিভ-ইন করছেন বলেও কিন্তু খবর!
উ: আমরা প্রতিবেশী! ওর আগের বাড়িতেই ওর অফিস। তিনটে ছবির জন্য বেশির ভাগ সময় ওখানেই থাকতাম। মেকআপ আর্টিস্টদেরও বলতাম, সাউথ সিটি চলে এসো। সেখান থেকেই এই গুজব।
প্র: দেবের উপরে জোর নজরদারি করেন বলেও শোনা যায়। ‘হইচই আনলিমিটেড’-এর শুটিংয়ে উজবেকিস্তানেও গিয়েছিলেন...
উ: সব সময়ে পুরুষটিকেই কেন বর্ম পরান বলুন তো? কেউ তো বলছে না, দেবই রুক্মিণীকে লাগেজে প্যাক করে নিয়ে গিয়েছিল! যাতে রুক্মিণী এ দিক-ও দিক না যেতে পারে। তবে আসল কথা হল, ‘চ্যাম্প’, ‘ককপিট’, ‘কবীর’ এমন ভাবেই হয়ে এসেছে যে, আই হ্যাভ বিন দেয়ার সিন্স ডে ওয়ান। ছবির অ্যানাউন্সমেন্টে দেবই ইতস্তত করছিল যে, তোমাকে ছাড়া প্রেস মিট করব! তা ছাড়া আমি তো ছবির সহ-প্রযোজনাও করেছি। লোকজন ভাল হ্যান্ডল করি বলে দেবই বলেছিল, আমার জন্য একটু পিপল ম্যানেজমেন্ট করে দাও!
প্র: দেব ছাড়া কোন নায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধতে মুখিয়ে আছেন?
উ: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। দেব ওঁর সঙ্গে ‘সাঁঝবাতি’তে কাজ করছে বলে আমার বেশ হিংসে হয়েছে! আর এক জন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সবাই ওঁকে বুম্বাদা বলে, কিন্তু আমি ডাকি ‘মাই গর্জাস ম্যান’ বলে!
প্র: দেবের সঙ্গে ভোটের প্রচারে যাচ্ছেন?
উ: নাহ্, শুধু ছবির প্রচারে... (গালে টোল ফেলা হাসি)