সানি
জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এর হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন সানি লিওনি। ‘জিসম টু’, ‘এক পহেলি লীলা’, ‘কুছ কুছ লোচা হ্যায়’ এমন অনেক ছবিতে অভিনয় করলেও বক্স অফিস সানির প্রতি খুব একটা সদয় হয়নি। তবে ‘রইস’ ছবিতে শাহরুখ খানের সঙ্গে ‘লায়লা ও লায়লা’ গানটি তাঁর কেরিয়ারে একটি মাইলফলক। সানি এখন ব্যস্ত তাঁর নতুন ছবি ‘তেরা ইন্তেজার’ নিয়ে।
প্র: ‘তেরা ইন্তেজার’ বাছলেন কেন?
উ: অবশ্যই স্ক্রিপ্ট। ন্যারেশন শুনেই স্ক্রিপ্টটা ভাল লেগেছিল। আর একটা বড় কারণ, আরবাজ খান। এই ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। তবে ওঁর উপর ভরসা আছে। আমার কাছে সব কিছু ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট। এর মাঝে আমি কিছু বুঝি না।
প্র: আরবাজও বলেছেন যে, আপনি আছেন বলেই উনি এই ছবিতে ‘হ্যাঁ’ বলেছেন...
উ: আরবাজ ভীষণ খোলা মনের মানুষ। ফান-লাভিং ও পরিশ্রমী। এমন শিল্পীর সঙ্গে কাজ করলে কাজের মানও অনেক বেড়ে যায়।
প্র: পরিবারে নতুন সদস্য এসেছে। সব কিছু সামলে কতটা ব্যস্ত আপনি?
উ: আমি আর ড্যানিয়েল দু’জনেই হ্যান্ডস-অন-পেরেন্টস। ন্যাপি পাল্টানো থেকে নিশাকে খাওয়ানো, ঘুম পাড়ানো, স্কুলে নিয়ে যাওয়া, সব কিছুই করি। সময়ের কোনও সমস্যা হয় না। আমরা দু’জনে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। জন্মের ২১ মাস পরে নিশা আমাদের জীবনে আসে। এখন তাই এক মুহূর্তের জন্যও ওকে আলাদা রাখি না। আমি বা ড্যানিয়েল কেউ না কেউ ওর সঙ্গে সব সময়ে থাকি।
প্র: মেয়ে নিশা জীবন কতটা পাল্টে দিল?
উ: অনেকটাই। বরাবরই একটি কন্যাসন্তান দত্তক নিতে চেয়েছিলাম। আমি আর ড্যানিয়েল আন্ধেরির একটি হোমে গিয়েছিলাম। সেখানে হঠাৎ করে আমি ড্যানিয়েলকে বলি, একটা বাচ্চা দত্তক নিতে পারি না? ড্যানিয়েল সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল। আমি কিন্তু কখনও ভাবিনি, ও একবারে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবে। আজ পর্যন্ত যা যা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ড্যানিয়েলকে পাশে পেয়েছি। ড্যানিয়েলের পরিবারে কোনও কন্যাসন্তান নেই। তাই আমরা চেয়েছিলাম, একটি ছোট্ট ফুটফুটে মেয়ে আমাদের জীবনে আসুক।
‘তেরা ইন্তেজার’ ছবিতে
প্র: নিশার নির্বাচন কী ভাবে করলেন?
উ: নিশার নির্বাচন করিনি, ভগবান ওকে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে একটা ই-মেল পেয়েছিলাম। যার সঙ্গে নিশার একটি ছবি ছিল। জানতে পারি, আর্জি পাশ হয়ে গিয়েছে। ছবিটা দেখা মাত্রই আমার মনে হয়, এই বাচ্চাটি আমার মেয়ে। সেই মুহূর্ত থেকে নিশাকে হাতে পাওয়া পর্যন্ত সময়টা খুব দীর্ঘ ও কঠিন ছিল। একটা সময় ছিল, যখন মনে হত, আর হয়তো নিশাকে পাব না। আমাদের মা-বাবা বলে গ্রহণ করতে নিশারও অনেকটা সময় লেগেছে।
আরও পড়ুন: মাঝ রাস্তায় এমন কাণ্ড করার জন্য পুলিশের ধমক খেলেন বরুণ?
প্র: বড় হলে ওকে কি আপনি বলবেন যে, নিশা আপনার দত্তক সন্তান?
উ: নিশ্চয়ই বলব। তবে আগে ও ইংরেজিতে কথা বলতে শিখুক, বুঝতে শিখুক। তার পর সব বলব। ওর এখনকার সব ছবি, ভিডিয়ো সংগ্রহ করে রাখছি। বড় হলে ওকে দেখাব।
প্র: ইন্ডাস্ট্রিতে যা কাজ পাচ্ছেন, তাতে কি আপনি খুশি?
উ: আমি তাঁদের সঙ্গেই কাজ করেছি, যাঁরা আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছেন। প্রফেশনাল গ্রোথ নিয়ে খুব খুশি। আর নিশা যে দিন থেকে আমার জীবনে এসেছে, আমি উপলব্ধি করেছি, ভারত আমার দেশ ও লস এঞ্জেলেস ছুটি কাটানোর ঠিকানা।
প্র: শোনা যাচ্ছে, আপনি নাকি ‘দবং থ্রি’-তে আছেন?
উ: যদি ‘দবং থ্রি’-তে কাজ করি, আমি খুব খুশি হব। কিন্তু এই মুহূর্তে আমি নিজেও সেটা জানি না। তবে কাজ করি বা না-ই করি, ছবিটা নিশ্চয়ই দেখব। আমি সলমন খানের বড় ফ্যান (হাসি)।