Ankita Lokhande

Ankita Lokhande: নেটমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানানোটা জরুরি বলে মনে হয়, সোজাসাপ্টা অঙ্কিতা লোখন্ডে

অভিনেত্রী হিসেবে কোনও তফাত অনুভব করিনি। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা আমার কাজ, এখানেও সেটাই করেছি।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৫৬
Share:

অঙ্কিতা

প্র: ওটিটিতে এল ‘পবিত্র রিশতা টু পয়েন্ট ও’ ধারাবাহিকটি। এ রকম একটা প্রস্তাব পেয়ে কেমন লেগেছিল?

Advertisement

উ: এই প্রসঙ্গটা আমিই প্রথমে তুলেছিলাম একতার (কপূর) কাছে। একতা আমাকে অন্য একটা কাজের কথা বলছিল, তখন আমি ‘পবিত্র রিশতা’র কথা বলি। সেটা শোনার পরে একতা এই ধারাবাহিকটি নিয়ে কাজ শুরু করে। বাকিটা এখন দর্শকের সামনেই রয়েছে।

প্র: অভিনেত্রী হিসেবে নিজের মধ্যে কোনও পরিবর্তন অনুভব করেন?

Advertisement

উ: খুব স্বাভাবিক ভাবেই নিজেকে অনেক পরিণত লাগে। আগে সব কিছুর গভীরে যেতাম না, বয়সটাও কম ছিল। এখন চিত্রনাট্য হাতে পেয়ে কাজ শুরু করে দিই না। প্রতিটা লাইন বোঝার চেষ্টা করি। ছবিতেও অভিনয় করেছি, সে অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে।

প্র: ওটিটিতে কাজের অভিজ্ঞতা কী রকম?

উ: অভিনেত্রী হিসেবে কোনও তফাত অনুভব করিনি। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করা আমার কাজ, এখানেও সেটাই করেছি। তবে হ্যাঁ, দর্শক তফাত বুঝতে পারবেন। ওটিটিতে মেকিং আলাদা, যেটা টিভিতে করা হয়তো সম্ভব নয়।

প্র: আপনার আর সুশান্ত সিংহ রাজপুতের দুর্দান্ত কেমিস্ট্রি ছিল। মানবের চরিত্রে সাহির শেখের অভিনয় করা নিয়ে আপনার মনে কোনও সংশয় ছিল?

উ: সাহিরকে দেখেই যাঁদের ‘মানব’-এর কথা মনে হয়েছিল, আমি তাঁদের মধ্যে একজন। সুশান্তের পর কেউ যদি মানবের চরিত্রে অভিনয় করতে পারে, সে সাহির। মানব এবং অর্চনার মধ্যে বেশি কথা হয় চোখের ভাষায়। সাহির সেটা খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। ও একজন বহুমুখী অভিনেতা।

প্র: আপনি এর আগে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সুশান্ত সেটে কী ভাবে আপনাকে সাহায্য করত। এ বার কেমন অনুভূতি হল?

উ: ‘পবিত্র রিশতা’র টাইটেল সং যখনই চলে, আমার নজর তখন খুব স্বাভাবিক ভাবে আকাশের দিকে চলে যায়। আমি জানি সুশান্ত ওখানেই আছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজের মনকে তৈরি করে নিয়েছি সেটে যাওয়ার আগে। সুশান্তের জায়গা কেউ কোনও দিন নিতে পারবে না।

প্র: গত এক বছরে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাকে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। তার জেরে নিজেকে কখনও বদলানোর কথা ভেবেছেন?

উ: না। লোকের জন্য নিজেকে বদলাব কেন বলতে পারেন? আমাকে যাঁরা অপছন্দ করেন, তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাকে ফলো করেনই বা কেন? হ্যাঁ আমি প্রতিক্রিয়া জানাই, কারণ সেটা খুব জরুরি বলে মনে করি। তা না হলে যে যা খুশি বলে চলে যেতে পারবে। এগুলো আমাকে মানসিক ভাবে খুব আঘাত করে। আমার পরিবার এবং খুব ভাল কয়েকজন বন্ধু আমাকে বোঝে, সেটাই আমার বড় সম্পদ।

প্র: নাচ আপনার জীবনের একটা বড় অংশ, এই নিয়ে ভবিষ্যতে কিছু করার ইচ্ছে আছে?

উ: আমার মনে হয় নাচটা ভগবানপ্রদত্ত গুণ। আমার মনের খুব কাছাকাছিও, যা কোনও দিন ছাড়ব না। ইচ্ছে আছে, ভবিষ্যতে নাচ নিয়ে কিছু একটা করব নিজের মতো করে।

প্র: ভিকি জৈনকে আমরা চিনেছি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে। বিয়ে কবে করছেন?

উ: যে দিনই বিয়ে করি লুকিয়ে করব না, সবাইকে জানিয়েই করব। ভিকি আমার জীবনের সবচেয়ে কাছের মানুষ, আমার জীবনসঙ্গী।

প্র: কলকাতার কোনও স্মৃতি আছে?

উ: সুশান্তের সঙ্গে কলকাতায় এসেছিলাম যখন ও ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী’র শুটিং করছিল। আমার খুব প্রিয় শহর কলকাতা। ওখানকার দুটো জিনিস আমার খুব পছন্দের, ফুচকা আর শাড়ি। ‘পবিত্র রিশতা’য় আমি নিজের অনেক শাড়ি পরেছি, যার মধ্যে বেশ কিছু শাড়ি কলকাতা থেকে কেনা। বাংলা ছবিও আমার খুব পছন্দের, যদি কখনও সুযোগ পাই অভিনয় করব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন