প্র: মাস দুয়েক আগে দেব এবং রাজের সঙ্গে আপনার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা গিয়েছিল...
উ: ব্যাপারটা কিছুই না। হঠাৎই এক জায়গায় তিন জনের দেখা হয়, সেখানে ছবি তোলা হয়েছিল। আর রাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করতে ভালবাসে।
প্র: সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? এটা কি ইন্ডাস্ট্রির একটা মেরুকরণ নির্দেশ করে?
উ: আমি এই উক্তিটায় খুব বিশ্বাস করি (জিতের অফিসের ঘরে ফ্রেম করা রয়েছে বিভিন্ন ইন্সপিরেশনাল কোট, তা দেখিয়ে), উই রাইজ় বাই লিফটিং আদার্স। কখনও আমি লিফ্ট করি, কখনও তুমি আমাকে... আমরা তো আগেও অন্য পার্টনারের সঙ্গে কাজ করেছি। এ বার ‘বাচ্চা শ্বশুর’ ছবিতে সুরিন্দরের সঙ্গে করছি। পার্টনারশিপে যেমন কাজ করছি, তেমনই ইন্ডিপেনডেন্ট প্রোডাকশনেরও প্ল্যান রয়েছে।
প্র: ‘উই রাইজ় বাই লিফটিং আদার্স’— জিতের প্রোডাকশন হাউস কাদের সুযোগ দিয়েছে?
উ: এই ব্যাপারে আমার ভাই গোপাল অনেক ভাল বলতে পারবে। নিজের কাজের কথা বলতে আমি পছন্দ করি না। আমি জানি, আমি এখানে এসেছি, টু মেক সাম ডিফারেন্স।
প্র: প্রোডাকশন হাউসের নতুন মুখ লঞ্চ প্রসঙ্গে সাধারণ ভাবে নতুন অভিনেতা বা পরিচালকের নামই আসে...
উ: আমাদের প্রোডাকশন হাউস ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোমোট করতে চায়। তবে প্রোমোট করা মানে শুধু অভিনেতা তুলে আনা নয়। তার চেয়ে অনেক বেশি কিছু। এখানে অনেক টেকনিশিয়ান কাজ করেন। তবে হ্যাঁ, নতুন মুখ লঞ্চ করার প্ল্যান আমাদের রয়েছে। লিড হিরো হতে গেলে অনেকটা সময় লাগে, সেটা রাতারাতি হয় না।
প্র: প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতার হওয়া কি ইন্ডাস্ট্রির সমীকরণ বদলাবে? আপনার কী মত?
উ: যে দিন থেকে শ্রীকান্ত গ্রেফতার হয়েছে, আমার প্রার্থনায় ও আছে। আর একটা কথা আমি চিরকাল বিশ্বাস করে এসেছি, কারও ব্যর্থতা আমার সাফল্যের কারণ হতে পারে না।
প্র: কমেডি ছবি আপনি আগেও করেছেন। ‘বাচ্চা শ্বশুর’ বাকি ছবি থেকে কোথায় আলাদা?
উ: (ভেবে) ছবিটা একটা আইডিয়ার উপর দাঁড়িয়ে আছে। সেই আইডিয়ার একটা অংশ কমেডি। গল্পের ন্যারেটিভ এবং চরিত্রগুলো ছবিটাকে একটা ইন্টারেস্টিং জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে। তবে ছবিতে কমেডির মোড়কে ড্রামাও রয়েছে।
প্র: আপনি নিজেকে যে ভাবে ঘেরাটোপের মধ্যে রাখেন, সে রকম কিন্তু টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আর কাউকে দেখা যায় না!
উ: আমার পরিবার, বন্ধু, কোলিগ, যারা আমাকে ভালবাসে, সকলে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। হ্যাঁ, পেশাগত কারণে কিছু বিভাজন আমি রাখি। ব্যস, সেটুকুই। আমি যৌথ পরিবারে থাকি এবং অনেকটা সময়ই ফ্যামিলির সঙ্গে কাটাই। আর কারণ ছাড়া কোথাও যাই না।
প্র: জিৎ নিজের নামের পাশে কোন শব্দটা পছন্দ করবেন স্টার, অ্যাক্টর নাকি হিরো?
উ: লার্নার। প্রতিনিয়ত শিখছি। জীবনের নতুন নতুন দিক এক্সপ্লোর করতে চাই। প্রযোজনা করছি, ইন্ডাস্ট্রিকে প্রোমোট করতে চাই, বিভিন্ন আইডিয়া নিয়ে ভাবা, যা থেকে ছবি হতে পারে। এমন কিছু আইডিয়া যা শুধু বাংলাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, এমনকি, তা দেশের সীমানাও ছাড়িয়ে যাবে... এ রকম কিছু কাজের অ্যাসপিরেশন রাখি।
প্র: আপনার মেয়ে কি বাবার স্টারডম অনুভব করে?
উ: আমার ছবি টিভিতে চললে কখনও-সখনও দেখে। তবে ওর জগৎ আলাদা। মাত্র ছ’বছর বয়সে ও যে রকম কথা বলে, আমরা হয়তো তখন তা ভাবতেও পারতাম না।
প্র: সে সব ছবি দেখে কী বলে নবন্যা?
উ: ও বলে, ‘বুদ্ধু হ্যায় আপ’ (হেসে)! সেটা অবশ্য সিনেমা দেখে নয়, ও মনে করে পাপা স্টুপিড! অ্যান্ড আই লাভ বিয়িং বুদ্ধু।
প্র: টলিউডের অধিকাংশ তারকাই রাজনীতির মঞ্চে। জিৎ সেখানেও অনুপস্থিত।
উ: আই ডোন্ট আন্ডারস্ট্যান্ড পলিটিক্স।