যশ
সময়টা বেশ ভালই যাচ্ছে যশ দাশগুপ্তর। গত দু’বছরে ‘গ্যাংস্টার’ ও ‘ওয়ান’-এ অভিনয় করলেও ছবির নিরিখে চলতি বছরে তাঁর স্ট্রাইক রেট আরও ভাল। ‘টোটাল দাদাগিরি’র পাশাপাশি আসছে আরও দু’টি ছবি। স্বভাবতই বেশ তৃপ্ত অভিনেতা। ছবি রিলিজের টেনশন অভিনয়ের চেয়েও কঠিন তাঁর কাছে। ‘টোটাল দাদাগিরি’তে একেবারেই অন্য রকম চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। জন্ম ব্যারাকপুরে হলেও বাবার চাকরিসূত্রে থাকতে শুরু করেন মুম্বইয়ে। সেখানেই শুরু অভিনয়ের। ‘উনিশ কুড়ি গ্ল্যাম হান্ট’-এ অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন যশ। আত্মবিশ্বাসীও হয়ে ওঠেন। অ্যাক্টিং স্কুলেও গিয়েছেন যশ। তাঁর মতে, ‘‘অন্যান্য পেশার মতো অভিনয়ের জন্যও সঠিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। অনেকেই বলে, আর কিছু হল না, এ বার অভিনয়ের চেষ্টা করি।’’ মুম্বই থেকে কলকাতায় এলেন কেন? যশ জানালেন, ‘‘এটা এক অদ্ভুত সমাপতন। বাবার অবসরের পরে আমার পরিবারের সকলেই কলকাতায় ফিরেছিলেন। সে সময়ে মায়ের জোরাজুরিতেই এখানে আসার সিদ্ধান্ত নিই। শ্রীকান্তদাও (মোহতা) আমাকে ‘বোঝে না সে বোঝা না’য় কাজের অফার করেন।’’
ধারাবাহিক শেষ হতেই সিনেমায় কাজ শুরু করেন তিনি। নিন্দুকদের মতে, সংশ্লিষ্ট প্রোডাকশন হাউসের কাস্টিং ডিরেক্টর পুনম ঝায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাই যশের উত্থানের মূল ইউএসপি। যশ জানালেন, ‘‘অনেকেরই এ নিয়ে ভুল ধারণা রয়েছে। পুনম কাস্টিং ডিরেক্টর হলেও ছবির নায়ক-নায়িকা বাছেন প্রযোজক। পুনম তো শ্রীকান্তদার মেয়ে নয় যে, ওঁর ইচ্ছেয় ছবির নায়ক ঠিক করবেন।’’ ইন্ডাস্ট্রির কেউ কেউ তাঁকে উদ্ধত বললেও যশের সাফ জবাব, ‘‘কেউ যদি আমাকে টেকেন ফর গ্রান্টেড ভেবে বসেন অথবা কমিটমেন্ট রাখতে ব্যর্থ হন, তখন আমি রিঅ্যাক্ট করি।’’
অবসর সময়ে ছেলে রেয়াংশ ও বাবা-মায়ের সান্নিধ্যই যশের বেশি পছন্দ। সিঙ্গল পেরেন্ট হওয়ায় ছেলের সমস্ত দেখাশোনা ও আবদার পূরণ করেন তিনিই। তাঁর মতে, ‘‘বাস্তবেই আমি ছেলের চোখে হিরো। তাই পার্টি বা গেট টুগেদারে দেখতে পাবেন না আমাকে।’’ নিজের কেরিয়ারে সম্পূর্ণ ফোকাস করতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মাচা-শো করবেন না তিনি। ‘‘উত্তমকুমার বলেছিলেন, নিজেকে এক্সপোজ করলে স্টারডমে এফেক্ট পড়ে। তাই আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সে সব থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এটা আমার ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ বলতে পারেন,’’ হেসে বললেন যশ।