সকাল তখন সওয়া এগারোটা।
হোটেলের লবিতে কালো চশমা-টি শার্ট-জিন্স পরা মানুষটা গাড়ির দিকে এগোচ্ছেন।
এক বাণিজ্যিক সংস্থার ফোটোশ্যুটে যেতে হবে তাঁকে। গাড়িতে উঠেই বলে দিলেন, “আমার কোনও ইন্টারভিউ দিতে ভাল লাগে না। শুধু ফুটবল খেলতে ভালবাসি।” যুবভারতী পৌঁছে প্রথমেই ঢুকে পড়লেন লকার রুমে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আটলেটিকো জার্সি পরে সোজা মাঠের দিকে। বলেও দিলেন, “সময় মতো সব হয়ে গেলেই আমি খুশি হই। আশা করছি আজ আনন্দে কাটবে।”
যে মাঠে ফুটবলার হিসেবে তাঁকে দেখে অভ্যস্ত গোটা কলকাতাবাসী, সে দিন সম্পূর্ণ অন্য মেজাজেই পাওয়া গেল চেনা সেই মুখকে। পায়ে ফুটবল নিয়ে আজ তাঁর দায়িত্ব গোলে বল মারা ছিল না। বরং দায়িত্ব ছিল পাঁচ খুদে ফুটবলারকে কয়েক ঘণ্টার জন্য কোচিং করানোর। আটলেটিকো দে কলকাতার অন্যতম সেরা তারকা ফিকরু তেফেরা আজ যে কোচ!
ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল।