কর্মবিরতি কি সততই সুখের?

একটা কাজ শেষ অথবা হাতে কাজ নেই, সেই সময় কেমন ভাবে কাটান টলিউডের সেলেবরা? সাইকোলজির বইগুলো আমি এখনও পড়ি। মা প্রত্যেক বার বলে, এ বার বইগুলো কাউকে দিয়ে দে। আমি বারণ করি। ওই সব বই পড়া শেষ হয় না।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৭ ০০:০০
Share:

কোয়েল এবং আবির

কোয়েল মল্লিক

Advertisement

একটা ছবির শ্যুটিং শেষ হওয়ার পর যে ক’টা দিন একটু ফ্রি টাইম পাই, তখন আমার কাজ বই পড়া আর সিনেমা দেখা। কাজের চাপে হয়তো কোনও একটা সিনেমা দেখা হয়নি, শ্যুটিং না থাকলে সেটা দেখে নেওয়ার চেষ্টা করি। আর সাইকোলজির বইগুলো আমি এখনও পড়ি। মা প্রত্যেক বার বলে, এ বার বইগুলো কাউকে দিয়ে দে। আমি বারণ করি। ওই সব বই পড়া শেষ হয় না। আর একটা কাজ আমি করি, আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে দেখা করা। আমার তো দু’দিকের পরিবারই বিরাট। হয়তো ননদ, দিদি বা বউদির বাড়ি চলে গেলাম বা ওদের কাউকে ডেকে নিলাম বাড়িতে, খাবারদাবার আনানো হল... তার পর চলল আড্ডা। আর ভগবানের ইচ্ছেয় একটার পর একটা কাজ আমি করে চলেছি... তাই ডিপ্রেশন বা মনখারাপ আমাকে ছুঁয়ে ফেলেনি।

আরও পড়ুন: বিপাশার কল্যাণে কর্ণের ছবি লাভ

Advertisement

আবির চট্টোপাধ্যায়

টাচ উড! একটা কাজ শেষ হওয়ার পর হাতে কোনও কাজ নেই, এখনও অবধি এমন সময় আসেনি। একটা ছবি করতে করতেই ঠিক হয়ে যায় পরের শেডিউল। দুটো কাজের মাঝে যে সময়টা থাকে, তাকে ঠিক অবসর বলা যায় না। ছবির শ্যুটিং শেষ হলেও সেই ছবি সংক্রান্ত আরও অনেক কাজ থাকে। যেমন ডাবিং, ছবির প্রমোশনাল ইভেন্ট। এখন তো ছবির প্রচারেও গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাতেও অনেকটা সময় কেটে যায়। শ্যুটিং থাকলে নিয়মিত জিমে যাওয়া হয় না। তাই এই সময়টা শারীরচর্চা করি। পরের ছবির স্ক্রিপ্ট পড়া... সুতরাং বুঝতেই পারছেন ব্যস্ততা কমার কোনও উপায় নেই। কাজ না থাকার দুশ্চিন্তাও নেই।

অঙ্কুশ

গৌরব এবং অঙ্কুশ

একটা ছবি শেষ। আর পরের ছবি শুরুর অন্তর্বর্তীকালীন বিরতি আমি বেশ উপভোগ করি। বাড়িতে ক’দিন ভালই আরাম করলাম। কাজের ব্যস্ততায় যাঁদের সঙ্গে দেখা হয় না, তাঁদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিলাম। বেড়াতেও যাই। তবে হাতে সময় কতটা আছে, তা বুঝেই বেড়ানোর প্ল্যানিং হয়। এ ছাড়া নিয়মিত ওয়র্কআউট থাকে। ছবির বাইরের ইভেন্টের কাজ ও অন্য টুকটাক কাজ তো চলতেই থাকে।

পার্নো মিত্র

পার্নো

আমাদের তো বাঁধাধরা চাকরি নয়। দেখতে গেলে, বছরের অনেকটা সময়েই ছবির কাজ থাকে না। বিজ্ঞাপন, ইভেন্টের কাজ চলতেই থাকে। আমি হলাম ওয়র্কোহোলিক। তাই এই সময়েও কাজ খুঁজে নিই। ছোটখাটো ট্রিপে চলে যাই। পাহাড়ের অনেকটাই ঘোরা। এ বার তাই পুদুচেরি যাওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। রান্না করতে ভালবাসি। নানা রকম হেলথ ফুড নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করি। বই পড়ি। কাজ না থাকলে দুশ্চিন্তাও হয়। তবে ঘরের অনেক কাজ আমাকে করতে হয়। নিজেকে সেই সবের মধ্যেই ব্যস্ত রাখি।

গৌরব চক্রবর্তী

ছোট পরদায় কাজ করলে তো আর তেমন গ্যাপ থাকে না। কিন্তু সিনেমার দুটো প্রজেক্টের মাঝের সময়টা কাটানো বেশ কষ্টকর। আর সেই সময়ের ব্যবধানটা যদি বেশি হয়, তা হলে ডিপ্রেশনও আসে কখনও। মনে হয়, এই বুঝি আমাকে কেউ রিপ্লেস করে ফেলল! এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমি অনেক বার গিয়েছি। একটা ভাল ছবি করার পর ভেবেছিলাম অনেক অফার আসবে। বাস্তবে তা হয়নি। ভাগ্যিস ‘ব্যোমকেশ’ সিরিয়াল আর ‘ফেকবুক’ নামে একটা ছবির অফার পেয়েছিলাম। বসে থাকার সময়টা কাটাতে সাহায্য করেছিল বন্ধু আর পরিবার। ছবি-টিভি সিরিজ বা বেড়াতে যাওয়া তো আছেই। আমি আর একটা কাজ করতাম। অনেক আত্মজীবনী পড়তাম। তখন মনে হতো, আমি একা নই। আর আস্তে আস্তে মনখারাপটা কেটে যেত।

ছবি: অর্পিতা প্রামাণিক

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন