‘মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির আয়ু ফুরিয়েছে’

নতুন ছবি নিয়ে বললেন সুপারস্টার হৃতিক রোশন। ‘ব্যাং ব্যাং’-এর পরে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে একই জ়ঁরে দ্বিতীয় বার কাজ করলেন হৃতিক রোশন।

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:১৫
Share:

হৃতিক

প্র: দুর্গাপুজোর আগেই ‘ওয়র’ মুক্তি পাচ্ছে। পুজোর সময়ে কলকাতায় এসেছেন আগে?

Advertisement

উ: এখনও অবধি সুযোগ হয়নি। আমি কিন্তু ২৫ শতাংশ বাঙালি। আমার দিদা বাঙালি ছিলেন। তাই শহরটার প্রতি আলাদা ভালবাসা রয়েছে। প্রথম ছবি রিলিজ়ের পরে জীবনের প্রথম কনসার্ট এই শহরেই হয়েছিল। সেটা আমার দিদার ইচ্ছে ছিল। অনেক বছর হয়ে গিয়েছে, কলকাতায় যাওয়া হয়নি। ‘ওয়র’-এর জন্য যেতে পারি।

প্র: ‘ব্যাং ব্যাং’-এর পরে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের সঙ্গে একই জ়ঁরে দ্বিতীয় বার কাজ করলেন। এ বারের জার্নিতে নতুনত্ব কী?

Advertisement

উ: এই ছবিতে সিদ্ধার্থ ওর প্রতিভাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এত বড় স্কেলে একটা ছবিকে ভিস্যুয়ালাইজ় করতে সব পরিচালক পারেন না। আমি ওর কাজের স্টাইল পছন্দ করি। ও আমার কাজের ধারাকে সম্মান করে। পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে আমরা খুব সন্তুষ্ট। এত বড় স্কেলে কাজ করেও ছবির সংবেদনশীলতা বজায় রাখতে পারে সিদ্ধার্থ।

প্র: ‘ওয়র’-এর ট্রেলার দেখে রেহান ও হৃদান কি শুধু বাবার জন্য না কি টাইগারের (শ্রফ) জন্যও চিয়ার করেছে?

উ: ছেলেরা আমার সবচেয়ে বড় ফ্যান কি না, জানি না। তবে ওরা টাইগারের খুব বড় অনুরাগী। আমার দুই ছেলেই খুব কড়া সমালোচক। সারা দুনিয়ার বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট দেখে ওরা। এই ট্রেলারকে ওরা দশে দিয়েছে সাড়ে নয়। এখনও অবধি আমার ছবির ক্ষেত্রে সেটা সবচেয়ে বেশি (হাসি)।

প্র: গত কয়েক বছরে বলিউডে ওজনদার নামেরা ব্যর্থ হয়েছেন। অন্য দিকে কনটেন্টের ভরসায় নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা এগিয়ে গিয়েছেন। তারকারা কি তবে ক্রমশ জমি হারাচ্ছেন?

উ: আমার প্রথম ছবি (কহো না পেয়ার হ্যায়) খুব বড় হিট হয়েছিল। তখন কিন্তু আমি কোনও স্টার ছিলাম না। তাই প্রথম ছবি করা থেকেই আমি বুঝেছি, স্টার পাওয়ার বলে কিছু হয় না। কিছু ছবি দর্শক পছন্দ করেন, কিছু ছবি করেন না। আমাকে ভাল ছবি করতে হবে, সেটাই শেষ কথা। কনটেন্টভিত্তিক ছবি চলুক, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর পরিধি আরও বাড়ুক, যাতে অভিনেতা-তারকা সকলেই বিভিন্ন ধরনের চরিত্র করার সুযোগ পান। আর আমার মতে মূলধারার হিন্দি বাণিজ্যিক ছবির আয়ু ফুরিয়েছে। ওই ঘরানা মৃতপ্রায়। ওখানে নতুন কিছু করার নেই।

প্র: বিশ্বের অন্যতম সুদর্শন পুরুষের তকমা কি কোনও চাপ তৈরি করে?

উ: চরিত্র কোন লুক ডিমান্ড করছে, সেটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যে ধরনের লুক সারা বিশ্বে প্রশংসিত—ওয়েস্টার্ন, কুল, কেতাদুরস্ত, স্মার্ট, সেটা তৈরি করতে অনেক খাটতে হয়। ‘ওয়র’-এর জন্য আমাকে সেই লুক আনতেই হত, কারণ এটা একটা এজেন্টের চরিত্র। তবে লুক নিয়ে আমি অবসেসড নই। তার জন্যই ‘কাবিল’ আর ‘সুপার থার্টি’র মতো ছবিতে কাজ করেছি। তবে ব্যক্তিগত স্তরে সিক্স প্যাকস বানাতেও আগ্রহী নই (হাসি)।

প্র: নতুন প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যে আপনার পছন্দের কারা?

উ: টাইগার শ্রফ। হ্যান্ডস ডাউন (হাসি)। ওর সঙ্গে কাজ করার পরে ভালবাসা আরও বেড়ে গিয়েছে। মানুষ হিসেবেও টাইগার খুব ভাল।

প্র: আগামী ছবি ‘সত্তে পে সত্তা’র কাজ কি শুরু হয়ে গিয়েছে?

উ: এটা অফিশিয়াল নয়। তাই এখন কিছু বলতে পারব না। আগামী ছবি কোনটা হবে, তা নিয়ে কথা চলছে।

প্র: আপনার অভিনীত চরিত্রের মধ্যে কোনগুলি সবচেয়ে কাছের?

উ: ‘কোই মিল গয়া’র রোহিত, ‘সুপার থার্টি’র আনন্দ কুমার আর ‘ওয়র’-এর কবীর।

প্র: রাকেশ রোশন (ক্যানসারে আক্রান্ত) কেমন আছেন?

উ: বাবা এখন অনেক ভাল আছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন