সানা, ঋতব্রত, মেঘলা
সানা গঙ্গোপাধ্যায়
পড়াশোনা নিয়ে এমনিতে বেশ সিরিয়াস সৌরভ এবং ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কন্যা। ক্লাস টেনের রেজ়াল্টে সে শতকরা ৯৬ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়েছে। মেয়ের পরীক্ষার ফল নিয়ে ডোনাও বেশ গর্বিত! বলছিলেন, ‘‘ওকে পড়াশোনা নিয়ে খুব চাপ কখনওই দেওয়া হয় না।’’ সানা বড্ড লাজুক। তাই মেয়ের পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বললেন ডোনাই। অর্থনীতি সানার পছন্দের বিষয়। ইকনমিক অ্যাপ্লিকেশন্সে সে পেয়েছে ৯৮। ইলেভেন-টুয়েলভ নিজের স্কুল লোরেটো হাউসেই পড়বে সানা। ভবিষ্যতে অর্থনীতি নিয়ে বিদেশে গিয়ে পড়ার ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে মায়ের মতো নাচ নিয়েও কিন্তু আগ্রহ রয়েছে সানার।
ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়
নাটক, সিনেমার মাঝে পড়াশোনাটাও দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে ঋতব্রত। ফিউচার ফাউন্ডেশন থেকে এ বার আইএসসি দিয়েছে সে। আর্টস বিভাগে নব্বই শতাংশ নম্বর তার। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জিজ্ঞেস করতে জবাব, ‘‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলক সাহিত্য নিয়ে পড়তে চাই।’’ তাঁর নম্বরে উচ্ছ্বসিত মা দীপ্তি মুখোপাধ্যায়ও। বলছিলেন, ‘‘আমার ছেলে কিন্তু অদ্ভুত! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে মন দিয়ে পড়াশোনা করতে পারে। শুটিংয়ের ফাঁকে বেশ পড়াশোনা চালিয়ে নেয়। অথচ শুটিং না থাকলে যখন বাড়িতে থাকে, তখন শুধু ঘুমোয়।’’ ঋতব্রতর মা যখন কথাগুলো বলছিলেন ছেলে তখন ছবির সেটে। এ বছরই ঋতব্রতর ‘পর্ণমোচী’, ‘রংবেরঙের কড়ি’ মুক্তি পেয়েছে। মঞ্চাভিনয়েও কম যায় না সে। নিজের প্রথম ছবি ‘বাম্পার’-এর নির্দেশনাও দিয়েছে ইন্ডাস্ট্রির আদরের ঋক।
মেঘলা দাশগুপ্ত
পরীক্ষার মাঝে দু’দিনের ছুটি থাকলেও তাকে শুটিং ফ্লোরে লাইট-ক্যামেরার মাঝে অ্যাকশনরত দেখা যায়। বিরসা দাশগুপ্তর বড় মেয়ে মেঘলার সিনেমা নিয়ে প্যাশন এতটাই। বাবাও মেয়েকে সেটে দিব্যি ‘খাটিয়ে’ নেন। যেমন আর পাঁচ জন সহকারী পরিচালকের সঙ্গে করে থাকেন। এ বার আইএসসি-তে ৭৮ শতাংশ নম্বর পেয়েছে মেঘলা। ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে পড়ার ইচ্ছে তার, জানালেন বিরসা। মেয়ে প্রেসিডেন্সি কিংবা যাদবপুরে পড়ুক এমনই ইচ্ছে বাবার। পরীক্ষার রেজ়াল্ট বেরোনোর দিনও বাবার সঙ্গে ‘ক্রিসক্রস’-এর সেটে ছিল মেঘলা। কিন্তু ছিপছিপে তন্বী, কাটাকাটা মুখশ্রীর মেঘলা অভিনয় করতে চায় না। ‘‘অভিনয় নিয়ে ওর কোনও আগ্রহ নেই। অভিনয়ে তুখড় আমার ছোট মেয়ে ইদা! বাড়িতে সব সময় অ্যাক্টিং করছে সে,’’ হাসতে হাসতে বললেন গর্বিত বাবা!