রাত্তির বারোটায় কেক কাটা আর বৌয়ের হাত থেকে জন্মদিনের সেরা উপহার অ্যামাজন কিন্ডল হাতে পেয়ে ৩৪ বসন্ত পেরিয়ে বিয়ের পরের প্রথম জন্মদিনে ফুরফুরে মেজাজে অনুপম। আগের মতো সাক্ষাৎকারের জন্য কোনও কফি শপ নয়, লেক গার্ডেন্সে নিজের গোছানো সংসারে দুধওয়ালা আর গ্যাস বিলের ঝামেলা মেটাতে মেটাতে জন্মদিনের আড্ডা দিলেন অনুপম রায়।
কলকাতার সংসারও সামলাচ্ছেন আবার অমিতাভ –শাহরুখের সঙ্গেও কাজ করছেন। এটা সম্ভব হচ্ছে কী করে?
‘পিকু’র মিউজিক শুনে অমিতজির ভাল লেগেছিল। আর এ বার যশরাজের অফিস থেকে যখন আচমকা ফোনটা এল তখন বলা হল ‘ফ্যান’য়ের জন্য গান গাইতে হবে। তবে প্রোডাকশন অফিস থেকে ওঁরা জানাননি যে কী গান গাইতে হবে বা কার লেখা? হিন্দি না বাংলা? মুম্বই গিয়ে রেকর্ডিং হল।
শাহরুখ কী বললেন?
শাহরুখের সঙ্গে কথা হয়নি। অনেক রাতে মুম্বইতে গান রেকর্ড করা হল। আমি আর রেকর্ডিস্ট ছাড়া আর কেউ ছিল না। ওখানে গিয়ে শুনলাম বাংলাতেই গান গাইতে হবে। আর গানটা লিখেছেন প্রিয় চট্টোপাধ্যায়। তখন বুঝতে পারি ‘ফ্যান’য়ের বাংলা কনটেন্টটা পুশ করার জন্যই আমাকে দিয়ে এই গান গাওয়ানো হচ্ছে। পরিচালক পরে জানিয়েছিলেন ওঁরা গান শুনে খুশি।
মুম্বইয়ে নাকি নতুন ছবিতে সই করেছেন?
হ্যাঁ, কিন্তু খুব ডিটেলে কিছু এখন বলা বারণ। খুব শিগগিরই আমি মুম্বই যাব।
পরিচালকের নামটা বলুন।
সুনয়না ভাটনগর। ইমতিয়াজ আলির ফার্স্ট অ্যাসিসটেন্ট। এটা ওর প্রথম ছবি। দারুণ কাস্টিং। লিরিক লিখেছেন ইরশাদ কামিল। একটা গান অ্যাপ্রুভডও হয়ে গিয়েছে।
কাস্টিং দারুণ বলতে?
এটা বলা বারণ এখন।
জন্মদিনে বলেই ফেলুন। কেউ কিছু বলবে না।
মনীষা কৈরালা কাম ব্যাক করছেন এই ছবিতে। খুব এক্সাইটেড লাগছে।
এখনও হিন্দি লিখতে চান না। মুম্বইতে কাজ করতে অসুবিধে হচ্ছে না?
দেখুন আমি যতটা হিন্দি জানি তা নিয়ে এখনও গান লেখা যাবে না। মুম্বইতে সুর করছি, গাইছি সেগুলো হিন্দি কম জেনেই তো। নতুন ছবিতে নতুন পরিচালক হলেও স্ক্রিপ্ট খুব ভাল। দেখুন আমারও মুম্বইতে কাজ দরকার। আমি জানি গানগুলোর খুব ভাল পিকচারাইজেশন হবে। ‘বেক মাই কেক’ প্রোডাকশনের প্রথম ছবি।
লোপামুদ্রা মিত্র থেকে শ্রীকান্ত আচার্য, রাঘব থেকে রূপঙ্কর মুম্বই গিয়ে গান গাওয়ার ক্ষেত্রে কেউ সফল হননি। টলিউডেও মুম্বই শিফ্ট করার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সৃজিত, সুমন মুখোপাধ্যায়, স্বস্তিকা—কিন্তু আপনি দিব্যি কলকাতায় থেকেও মুম্বইতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আপনার পি আর স্ট্র্যাটেজিটা একটু বলবেন?
সিনিয়রদের সঙ্গে কী হয়েছে আমি জানি না। তাই এ নিয়ে কিছু বলব না। তবে বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না, আমার কোনও স্ট্র্যাটেজি নেই কিন্তু। দেখুন সৃজিত আমার বন্ধু ছিল, কিন্তু আমি জানতাম না সৃজিত ছবি বানাবে। সেখানে আবার আমিই গান গাইব। এটা তো হলই। তার পর একের পর এক ছবি। ‘বাইশে শ্রাবণ’ ‘হেমলক সোসাইটি’। সৃজিতই সুযোগ দিয়েছিল। এ বার ‘হেমলক’য়ে ‘আমার মতে তোর মতো কেউ নেই’ গানটা সুজিতদার খুব ভাল লেগেছিল। কলকাতায় একটা পার্টিতে ওঁর সঙ্গে দেখা। প্রথমে বললেন ‘ওপেনটি’র জন্য গান গাইতে হবে। তার পর বাড়িতে ডাকলেন। ‘পিকু’ নিয়ে আলোচনা হল। এ ভাবেই কিন্তু একের পর এক কাজ এসেছে। যশরাজ প্রোডাকশন থেকে হঠাৎই ‘ফ্যান’য়ের জন্য ফোন এল। এর জন্য আমাকে আলাদা কোনও এফর্ট দিতে হয়নি কিন্তু।
সুজিত সরকার না থাকলে অনুপম রায়ের মুম্বইয়ে রান করা এত সহজ হত?
না হত না। ‘পিকু’ আমায় বিশাল একটা পরিচিতি দিয়েছে। ভাবুন তো মুম্বইয়ের মতো ইন্ডাস্ট্রিতে যেখানে একটা ছবিতে পাঁচটা মিউজিক ডিরেক্টর কাজ করেন, কার কোনটা গান সেটাই লোকে বুঝে উঠতে পারে না, সেখানে সুজিত সরকারের মতো পরিচালক আমাকে পুরো ছবির সুর করার দায়িত্ব দিয়েছেন—এটা যে কতখানি পাওয়া...
তবুও শিফ্ট করবেন না আপনি মুম্বইতে?
এই মুহূর্তে শিফ্ট করছি না মুম্বইতে। তবে আমি ওপেন টু অফারস। দেখুন মুম্বই গিয়ে প্রতি মাসে একটা ছবি করব এমন একটা অ্যাম্বিশন আমার নেই কিন্তু।
সৃজিত কি খুব কাজপাগল? তাই মুম্বই চলে গিয়েছেন?
সৃজিতও কিন্তু মুম্বই-কলকাতা করছে। এই তো ‘জুলফিকর’য়ের কাজ হল। এই সাক্ষাৎকারে আমি শুধু আমার অনুভূতির কথাই বলব। কে কী করছে, ভাবছে সেটা বলার জায়গায় আমি নেই কিন্তু। এটা অনেকেই জানেন না যে সুজিতদাও কলকাতা থেকেই কাজ করেন। ওর পরিবার কিন্তু কলকাতায় থাকে। কলকাতা ছাড়লে আমার লাইভ শো সাফার করবে। আর কোন স্টেটে এত ভাল লাইভ শো হয় বলুন তো? আর আমি তো প্রতি সপ্তাহেই মুম্বই যাচ্ছি। যত দিন পারব এ ভাবেই চালাব। অনেক অনেক কাজ পেলে তবেই শিফ্ট করে যাব।
আপনি খুব কম্পিটিটিভ?
হ্যাঁ, অবশ্যই। ভাল গান হলে মানুষের কাছে সেটা পৌঁছবেই।
আপনি তো এবার তৃণমূলের জন্য গান লিখে, গানে গানেই মানুষকে আগামী পাঁচ বছরে আরও ভাল দিন আনার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন?
এটা আসলে বিজ্ঞাপনের কাজের মতো একটা ফরমায়েসি গান।
শ্রীজাত গান লিখছেন তৃণমূলের জন্য?
শ্রীজাতদারটা শ্রীজাতদা বলবেন, আমি আমারটা বলি।
আপনি সব প্রশ্নেই এই রকম গা বাঁচিয়ে কথা বলবেন....
কারও সম্পর্কে কমেন্ট করব, মিডিয়ায় তা নিয়ে তর্কাতর্কি হবে। আমি বিতর্কিত গায়ক হয়ে থাকতে চাই না প্লিজ।
আপনি বেশ সেফ খেলতে পারেন...
আমি বরং আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই?
বেশ দিন।
ডেরেককে (ও’ব্রায়েন) আমি খুব ভালবাসি। সেই ছোটবেলা থেকে ওর কুইজ দেখে মুগ্ধ আমি। ওর জন্যই এই কাজ করেছি।
রাজনৈতিক চাপ ছিল না সত্যি?
তৃণমূলের গান হিসেবে কিন্তু লেখা শুরু হয়নি। ডেরেক একটা পুরনো গানই বেছে নেয়। অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরীর ছবি ‘দেবী’র গান। গানটা হল ‘মন মাটি মাটি’। ডেরেক বলে এই জায়গায় ‘মা মাটি মানুষ’ দারুণ ফিট করছে। এ ভাবেই একটা গান তৈরি হয়ে যায়। পার্টির সঙ্গে আমার কোনও লেনদেন হয়নি। আমাকে কিন্তু এই গানের ভিডিয়োটায় অ্যাপিয়ার করতে বলা হয়েছিল। আমি সেটা করিনি। রাজনীতি করলে ফ্যানেদের হারাব। এমনিতেই গানের পরিস্থিতি এখন খুব একটা ভাল নয়।
কেন?
গান এমন একটা শিল্প যার কোনও রেভিনিউ মডেল নেই আমাদের কাছে। গান গেয়ে টাকা আসবে কী করে তা আমাদেরও জানা নেই কিন্তু।
লোপামুদ্রা যেমন আনন্দplus য়ের সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন শিল্পীরা সবাই খুব হিংসুটে। সবাই এক ছাদের তলায় এসে মিউজিক কোম্পানি খুলতে পারত যদি...
দেখুন আর্টিস্ট মাত্রেই একা।
তাই বলে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির প্রতি শিল্পীর কোনও দায়বদ্ধতা থাকবে না?
একটা অ্যালবামে পাঁচটা শিল্পী গান গাইলে কার কী লাভ হবে? কারও যদি প্রচুর অর্থ থাকে, চায় বাংলা গানের উন্নতি হোক, তারা টাকা ঢালুক। বাংলা সংস্কৃতির শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রয়োজন আজ। গানের বিক্রি বন্ধ হয়ে গিয়ে সমস্যা হয়েছে। শিল্পী আর শ্রোতা আজও আছে কিন্তু। যে দেশে লোকে খেতেই পায় না, সে দেশে গান শুনবে কী? গানকে প্রোফেশন করাও খুব রিস্কি। আমরা সেই রিস্কটা নিয়েছি। এখন ছবির জন্যই গান চলে।
কিন্তু আপনার গান সিনেমার গান নয়, অনুপমের গান হিসেবে জনপ্রিয়। যেমন ‘আমাকে আমার মতো থাকতে দাও’...
বাংলার মানুষ গান খুব ভালবাসে। দেখবেন অর্ধেক সিরিয়ালে ব্রেকের আগেও গান, পরেও গান। ‘সারেগামাপা’ লোকে পাগলের মতো দেখে। গানই কিন্তু মার্কেট। অথচ বাংলায় একটা গানের শো আমরা ভাল করে করতে পারি না। আজও জানি না রেডিয়োতে গান বাজলে হিট হয়? নাকি হিট গান রেডিওয়োয় বাজে?
২০১৬তে প্রসেনজিৎ থেকে দেব সকলের গলায় আপনার গান। আপনি একমাত্র মিউজিক ডিরেক্টর যিনি শিবপ্রসাদ-নন্দিতা, সৃজিত, আবার কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করেছেন...
সামনেই আসছে শিবু-নন্দিতার ‘প্রাক্তন’। খুব জনপ্রিয় হবে কিন্তু গানগুলো। শিবুদা খুব খুঁতখুতে। কিন্তু ‘বেলাশেষে’তে যখন ‘ও ভাবে কেন’ গানটা ব্যবহার করল শুনতে দারুণ লেগেছে। ভাবুন তো সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ওপর আমার গলা যাচ্ছে....উফফ! এটা কিক দেয় আমায়।
‘অটোগ্রাফ’ থেকে ‘জুলফিকর’—কতটা বদলাতে দেখলেন বন্ধু সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে?
সৃজিতের সঙ্গে আজও ঝগড়া হয়। তবে এখন গানের ক্ষেত্রে ও আমাকে অনেক স্পেস দেয়। আসলে সৃজিত ওর ছবির সব বিষয়ে ভীষণ ইনভলভড। আগেও ‘অটোগ্রাফ’য়ের রেকর্ডিংয়ের সময়ও সৃজিত যেমন থাকত, আজও জুলফিকরের রেকর্ডিংয়ের সময় ও ছিল। শুধু তাই নয়, যখন কোনও ছবির এডিট হয় ও আমাকেও ডেকে নেয়। বলে, ‘তোর ছবির গানগুলো দেখে যা।’ আমার মতামতকেও গুরুত্ব দেয়। বললাম ‘জুলফিকর’ নচিদাকে দিয়ে গাওয়াই। ও রাজি হয়ে গেল। তবে এখানে একটা কথা বলতে ইচ্ছে করছে। বলি?
বলুন না...
আমার ইচ্ছে এখন সৃজিতদা সফ্ট রোম্যান্টিক ছবি করুক। আমি তা হলে একটু প্রেমের গান তৈরি করতে পারব!
আপনি তো কেবল নিজের গানের কথাই বলছেন। আপনি কি খুব স্বার্থপর?
আরে নিজের গান নিয়ে আমি খুবই পোজেসিভ। কী করব? এত যত্ন করে গান বানাই।
(আড্ডায় চলে এলেন অনুপমের স্ত্রী পিয়া। ট্রেতে সাজানো পেস্ট্রি আর কোক। নতুন সংসার থেকে গান চর্চা। জোর কদমে চলছে তাঁর।)
‘ধূমকেতু’ করতে গিয়ে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে কাজ করলেন। কেমন লাগল?
হেভিওয়েট ছবি... দেবকে নিয়েও আমার প্রথম কাজ। কৌশিকদার কিন্তু একটু অন্য রকম গান ভাল লাগে। খুব সেনসেটিভ ডিরেক্টর। ছবিতে রোম্যান্স আছে। আর আছে সব হারিয়ে ফেলার জায়গা। তবে ফিল্মের কাজ করতে করতে পর পর হয়তো তিনটেই নস্টালজিয়া নিয়ে গান হয়ে যাচ্ছে। এটা একটু একঘেয়ে। তবে কোন গানটা সৃজিতের পছন্দ হবে, কোনটা কৌশিকদার হবে, এটা এখন বুঝতে পারি। এ ছাড়াও আরও কতগুলো ছবি আসছে (কর গুনে বলতে শুরু করলেন)। ব্ল্যাক কফি, ‘চল কুন্তল’, ‘চলচ্চিত্র সার্কাস’ ‘অরণি তখন’। আর আছে কমলেশ্বরদার ছবি। ইচ্ছে আছে প্রাইভেট অ্যালবামও করার।
আবার প্রাইভেট অ্যালবাম?
ধরেই নিচ্ছি এটা আমার ফ্যানেরা শুনবে। এটা বেচে অর্থ আসবে না। তাই এই রকম একটা জায়গায় এক্সপেরিমেন্ট করা যাবে। ছবির জন্য আমার গান একই ধরনের হয়ে যাচ্ছে।
আমরা জানি অনুপম মানে স্কুল বাসের গন্ধ, চুরমুরের নস্টালজিয়া। পিয়াকে বিয়ে করার পর ২০১৬য় এই চুরমুরের গন্ধটা কি বদলে গিয়েছে?
(লাজুক হাসি) জানেন পিয়ার সঙ্গে ঠিক যেমন মনে মনে থাকতে চেয়েছিলাম ঠিক তেমনই আছি। ওর সঙ্গে থাকতে খুব ভাল লাগছে।
পিয়াকে দিয়ে গাওয়াবেন কখনও?
দেখি। ভবিষ্যৎ বলবে। আসলে এখন খুবই স্টিরিও টাইপ জায়গায় কাজ হচ্ছে। দেবের গলায় গান মানেই অরিজিৎ সিংহ। আর আমি যেহেতু সুর করছি আমারও একটা গান থাকবে।
শোনা যায় আপনি সব চেয়ে ভাল গানটা নিজেই গান, কাউকে গাইতে দেন না।
এটা খুব বাজে কথা। রূপম, রূপঙ্কর কত হিট গান গেয়েছে আমার ছবিতে। অরিজিৎকে দিয়েও গাইয়েছি। আমি তো জানি ওঁদের দিয়ে গাওয়ালেই গান হিট। যেটা বলছিলাম, এখন ঋতুপর্ণার লিপে গান মানেই শ্রেয়া ঘোষাল। কোনও অল্টারনেটিভ নেই। যদিও ইমন চক্রবর্তীকে গাইয়েছি ‘প্রাক্তন’য়ে। আবার ‘চতুষ্কোণ’য়ে যেমন লগ্নজিতা।
একটা গানেই তা হলে স্টার হওয়া যায়?
একটা গানে কেবল রেকগনিশন পাওয়া যায়। স্টার হওয়া যায় না। আজ অবধি কোনও শিল্পী মিডিয়ায় সাক্ষাৎকার দিয়ে, অনেক টাকা রোজগার করে, প্রচুর পুরস্কার পেয়ে কখনও বিখ্যাত হয়নি। আমরা কি কেউ জানতে চাই মান্না দে সারাজীবনে কত টাকা রোজগার করেছেন? বহু দিন ধরে থাকাটাই আসল। ‘আমাকে আমার মতো’ করেই কি আমি শুধু থেকে গিয়েছিলাম? ‘২২শে শ্রাবণ’, ‘হেমলক’.... গান বানানো কিন্তু সিভি তৈরির মতোই। একের পর এক ধাপ সিঁড়ি বেয়ে ওঠা।
সেই কারণেই ফেসবুকে ‘টপ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ বলে সিঁড়ি ওঠার ছবি পোস্ট করেছিলেন?
ওঠা-পড়া দুটোই থাকবে। আপাতত পাঁচ বছরে পাঁচ ধাপ হল।
বাড়িটা আসলে ক’ তলা?
বত্রিশ তলা বোধ হয়...দুঃস্বপ্ন আসে। সিঁড়ি উঠতে গিয়ে নতুন কাজ করার খিদেটা যেন মরে না যায়।
এই নতুন বসন্ত আজও কি আপনার কাছে দামি?
বসন্ত এখন পরিণত। অল্প বয়েসের অদ্ভুত প্রেমটা বদলে গিয়েছে... অন্য রকম ভালবাসা আসছে... আবার কবিতা লিখতে ইচ্ছে করছে...