বন্যার্তদের পাশে স্বরূপ বিশ্বাস, পিয়া সেনগুপ্ত, ফিরদৌসল হাসান। ছবি: ফেসবুক।
উত্তরবঙ্গ বন্যাপীড়িত, দক্ষিণবঙ্গ উৎসবে মত্ত! দুর্জনদের অপব্যাখ্যা নাকি এরকমই? ঠিক তখনই বন্যাত্রাণের জন্য একের পর এক তহবিল গড়ছে বাংলা বিনোদন দুনিয়া। মঙ্গলবার ‘দেবী চৌধুরাণী’র বিশেষ প্রদর্শনে এ কথা একযোগে প্রথম ঘোষণা করেন প্রসেনজিৎ-দেব। প্রত্যেকের দাবি, হামেশাই উত্তরবঙ্গে ছবি, ধারাবাহিক, সিরিজ়ের শুটিং হয়। টলিউড কৃতজ্ঞ উত্তরবঙ্গের কাছে।
বুধবার আনন্দবাজার ডট কম-এর মাধ্যমে ইম্পা সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত ঘোষণা করলেন, “অভিনেতাদের তরফ থেকে ফান্ড গঠন করেছেন বুম্বাদা-দেব। আমরা ফান্ড গঠন করব টেকনিশিয়ানদের তরফ থেকে। সেই অনুযায়ী আমাদের সংগঠন সমস্ত সদস্য এবং ফেডারেশন অর্থ সংগ্রহ করবে গিল্ডের তরফ থেকে। সেই অর্থ জমা পড়বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ত্রাণ তহবিলে।” খবর, ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন প্রযোজক ফিরদৌসল হাসানও। ইম্পার মাধ্যমে ত্রাণের অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রযোজকেরাও। সেই তালিকায় অন্যতম সমীরণ দাস।
পিয়া জানিয়েছেন, এই তহবিলে একটা নির্দিষ্ট অর্থদানের অনুরোধ জানানো হবে জি বাংলা, স্টার জলসা, সান বাংলা-সহ সমস্ত বাংলা চ্যানেলকে।
ইম্পার সদস্যদের এ কথা জানাতেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত। প্রত্যেকে তাঁদের সাধ্যমতো ত্রাণের অর্থ দিতে ইচ্ছুক, জানিয়েছেন পিয়া। তাঁর কথায়, “সদস্যদের জানানোমাত্র প্রত্যেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দান করতে আগ্রহী। বৃহস্পতিবার বার এক্জিকিউটিভ সদস্যদের বৈঠক। তহবিল গঠনের কথা সেখানে উত্থাপনের পর আমরা অর্থ সংগ্রহ শুরু করব।” একই পথে সম্ভবত হাঁটবে ফেডারেশনও। দুটো সংগঠন আলাদা ভাবে অর্থ সংগ্রহ করবে। তাতে যোগ করা হবে চ্যানেলের দেওয়া অর্থ। মোট অর্থ এর পর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ফিরদৌসুলও তাঁর ভাবনা ভাগ করে নিয়েছেন। বলেছেন, “টিম ‘যত কাণ্ড কলকাতাতেই’ ত্রাণ পাঠানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। সেই অনুযায়ী, আমরা অর্থ বা ত্রাণসামগ্রী সরাসরি উত্তরবঙ্গে বন্যাপীড়িতদের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারি। কিংবা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমেও ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারি। এখনও এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিইনি।”