পরিচালক ইমতিয়াজ আলি।
জাপানের হাত ধরে এদেশে এসেছিল বুলেট ট্রেন। আর এ বার সিনেমা। তবে সিনেমা আসবে না। আসবে অর্থ আর সাহায্য। যেতে হবে শুটিং করতে, টোকিয়োতে। দুই দেশের মধ্যে আবার হ্যান্ডসেক হবে। মাধ্যম সিনেমা। সব কীরকম যেন গুলিয়ে যাচ্ছে তাই না ?
পরিচালক ইমতিয়াজ আলি, যিনি ‘যব উই মেট’ করে বলিউডে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি ‘তামাশা’ করেও ভূয়সী প্রশংসা বাক্সবন্দি করেছেন। তাঁরই ভাই আরিফ আলি একটি সিনেমা করতে চলেছেন। ছবির নাম ‘লাভ ইন টোকিও’। ১৯৬৬-এর আশা পারেখ ও জয় মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘লাভ ইন টোকিও’ নয়। এক্কেবারে নতুন সিনেমা, নামটিই কেবল ধার নিয়েছেন আরিফ। ‘লাভ ইন টোকিও’-এর বিষয়বস্তু ক্রস-কালচারল রোমান্স। ছবির প্রযোজক আরিফের দাদা ইমতিয়াজ স্বয়ং এবং জাপানি সংস্থা শোচিকু।
আরও পড়ুন, অনেকদিন বাদে কড়া অ্যাকশন দৃশ্যে বাজিমাত করবেন শাহরুখ
ছবিটির সমগ্র শুটিংই হবে জাপানে। ইমতিয়াজ তাঁর ‘তামাশা’ ছবিতেও একটু আধটু জাপানি ঝলক দেখিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘তামাশার সময় থেকেই জাপানের কালচার আমার মনে দাগ কাটে। শুধু আমার নয়, রণবীর ও দীপিকা ওদের দুজনেরও জাপান বেজায় পছন্দের একটি দেশ। তামাশার সময়ই শোচিকু আমাদের লাইন প্রোডিউসার ছিল। আর তখনই জাপানের কালচারকে নিয়ে সিনেমা করবার ইচ্ছা তৈরি হয়। শোচিকু জাপানের নামজাদা প্রযোজক সংস্থাদের একটি। ওদের সাহায্য পেয়ে আমি উচ্ছ্বসিত।’’
১৯৬৬ র লভ ইন টোকিওর একটি গানে জয় মুখোপাধ্যায় এবং আশা পারেখ।
ভাইকে এই ছবির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে বেশ খোশমেজাজে আছেন ইমতিয়াজ। কেননা তিনি প্রযোজক। ইমতিয়াজের ভাষায় ‘‘আইডিয়াটা মাথায় আসবার সঙ্গে সঙ্গেই আমি আরিফকে শোনাই। তারপর দুজনে মিলেই গল্পটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। দুজনেই আমরা এই চিত্রনাট্য লিখছি। টিভিতে আর নাটকে আমি আরিফের কাজ দেখেছি। ভাই বলে নয়, আমার ওর কাজ যথেষ্টই ভাল লাগে। যদিও ওর প্রথম সিনেমা ‘লেকর হাম দিওয়ানা দিল’, বক্স অফিসের দৌড়ে হাঁপিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই ছবির জন্য আমার একমাত্র চয়েস আরিফ।’’
আরও পড়ুন, হলিউডের পোস্টারের সঙ্গে ‘অদ্ভুত মিল’ রয়েছে এই বলিউড ছবিগুলির পোস্টারের!
ছবির নাম শোচিকু নামের ওই জাপানি সংস্থাই দিয়েছেন। দুই দেশেরই অভিনেতারা অভিনয় করবেন এই ছবিতে। এই বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হবে এই ছবির শুটিং। গত বছর নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর জাপান যাত্রার সময়ই এই সিনেমা নিয়ে আলোচনা হয়। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু এই সময়কে ইন্দো জাপান সম্পর্কের সেরা সময় বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘দেশের প্রথম বুলেট ট্রেন তৈরি করতে জাপানকে তো আমরা পাশে পেয়েইছিলাম, আর এ বার সিনেমা। এই সিনেমার নাম লাভ ইন টোকিও ঠিকই। সঙ্গে এটা আমাদের লাভ ফর টোকিও-ও। এই দুই দেশের সম্পর্ক কেবলই অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকল না। তাঁর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে গেল এই সম্পর্ক।’’