Kitchen Chimney

Rupankar Bagchi: অব্যবহৃত চিমনি ফেটে দুর্ঘটনা! রূপঙ্করের রান্নাঘরে দাউদাউ আগুন

অব্যবহৃত চিমনি থেকে ভয়াবহ আগুন। পুড়ে গিয়েছে শৌখিন রান্নাঘরের অনেকটাই। তবে সপরিবারে প্রাণে বেঁচেছেন রূপঙ্কর বাগচী। কী ভাবে অঘটন ঘটল?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২২ ১৪:৩৪
Share:

রূপঙ্করের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ড

অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন রূপঙ্কর বাগচী এবং তাঁর পরিবার। গত পরশু রাত ৮টা নাগাদ দাউদাউ আগুন তাঁদের বহুতল আবাসনের রান্নাঘরে। সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। চৈতালি জানান, নিরাপত্তা রক্ষীদের সহায়তায় অনেক কষ্টে আগুন আয়ত্তে আসে। রান্নাঘরে ক্ষয়ক্ষতি হলেও বাগচী পরিবার নিরাপদেই আছেন। একই সঙ্গে তিনি জনসাধারণকেও সতর্ক করেছেন। আধুনিক সভ্যতা যন্ত্রনির্ভর। সেগুলোর নিয়মিত যত্ন না নিলে যখন তখন বিপদ ঘটতে পারে, বক্তব্য তাঁর।

কী করে ঘটল এত বড় অঘটন? রূপঙ্করের স্ত্রীর কথায়, ‘‘আমাদের দুটো রান্নাঘর। দুটো চিমনিও। একটি রান্নাঘর আধুনিক ভাবে খোলা জায়গায় সাজানো। অন্যটি, একটু পুরনো ধাঁচের। একটি ঘরের মধ্যে। সেখানেই আমাদের রান্নার দিদি নিয়মিত রান্না করেন।’’ কয়েক দিনের ছুটিতে তিনি অনুপস্থিত। শনিবার রাতে হঠাৎই জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীর মেয়ে মহুলের রান্নার ইচ্ছে জাগে। সে আধুনিক রান্নাঘরের চিমনি জ্বেলে রান্নার তোড়জোড় করতে থাকে। এ দিকে দীর্ঘদিন ব্যবহার না করায় চিমনিতে পাখি বাসা বেঁধেছে, জানতেন না বাগচী দম্পতি। মহুলও সে কথা জানত না। চিমনিটি যে জ্বলছে না, সেটিও সে দেখেনি। বিশেষ পদের উপকরণ জোগাড়ে সে ব্যস্ত ছিল।

Advertisement

বেশ কিছু ক্ষণ পরে চিমনির মোটর চালু হয়। তার অল্প সময় পরেই বিস্ফোরণ। আগুন ধরে গিয়েছে চিমনিতে। নিমেষে চিমনির মধ্যে থাকা পাখির বাসাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুকনো খড়, কাঠিতে ঘর ভর্তি। আগুন তত ক্ষণে ছড়িয়ে পড়েছে চারপাশের ল্যামিনেট করা কাঠের ক্যাবিনেটেও! আচমকা অঘটনে কিংকর্তব্যবিমূঢ় সবাই। চৈতালির বক্তব্য, ‘‘মহুলকে সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দিয়েছিলাম। আমাদের পোষ্য সারমেয় সন্তান ননীবালাকে বন্দি করে ফেলেছিলাম একটি ঘরে। রূপঙ্কর সমানে জল ঢালছে। কিন্তু আগুন নেভে কই?’’ গায়কের স্ত্রী বুদ্ধি করে এর পরেই সমস্ত বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেন। অন্ধকার ঘরে তখন শুধুই আগুনের শিখার আলো! বাকি বাসিন্দাদেরও সজাগ করে দেন। ফোনে ডাকেন আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীদের। সবার চেষ্টায় অগ্নি নির্বাপক দিয়ে অবশেষে নেভানো হয় আগুন। সে রাতে তাঁরা বাইরে থেকে খাবার, জল আনিয়ে খেয়েছেন।

আতঙ্কিত মহুল কি রান্না থেকে আপাতত দূরে? হেসে ফেলেছেন চৈতালি। দাবি, ওকে বুঝিয়ে বলা হয়েছে। এখন অনেকটাই ধাতস্থ সে। রবিবার বাড়িতে আলো, জল সব আবার স্বাভাবিক হয়েছে। কিন্তু কারও মন থেকেই আতঙ্কের রেশ এখনও কাটেনি। চৈতালির মতে, ননীবালাও তাঁদের ভারী লক্ষ্মী মেয়ে। এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও সে কিন্তু চুপ করে একটি ঘরে দিন-রাত কাটিয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণের কাছে তাঁর আন্তরিক অনুরোধ, ‘‘পরিবারের সমস্ত যন্ত্র মাঝেমধ্যেই দেখে নেবেন। যেমন গরমের আগে বাতানুকূল যন্ত্র পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। নইলে সেখান থেকেও আগুন লাগার সম্ভাবনা থাকে।’’ তাঁর দাবি, এর আগে আরও এক বার তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরেছিল বাতানুকূল যন্ত্র থেকে। তাঁর মতো ঠেকে যেন কেউ না শেখেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন