জয়া আহসান। ছবি: ‘এবেলা’র ইউটিউব পেজের সৌজন্যে।
মর্নিং শোজ দ্য ডে।
ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর ক্ষেত্রে অন্তত প্রবাদটা মিলে যায় ১৬ আনা। ‘ফড়িং’ দিয়ে পরিচালনায় হাতেখড়ি। তখনই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন অন্য ধারার গল্প বুনতে ভালবাসেন। সেই ছাপ রেখেছেন তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘ভালবাসার শহর’-এও।
তবে এ বার ছক ভেঙেছেন ইন্দ্রনীল। বদলে ফেলেছেন ফর্ম্যাট। এ বার আরও সাহসী তিনি। মাত্র এক সপ্তাহে তাঁর ছবি ‘ভালবাসার শহর’ ‘ইউটিউব’ ও ‘ভিমিও’-র মাধ্যমে দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। কেমন ফিডব্যাক পাচ্ছেন? ইন্দ্রনীল বললেন, “আমি ভেবেছিলাম দর্শক ধৈর্য হারিয়ে ফেলবেন। বিরক্ত হবেন বলে ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু তা একেবারেই নয়। এমনও দর্শক রয়েছেন যাঁরা সাতদিনে আটবার ছবিটা দেখেছেন। এমন অনেকে আছেন মোবাইলে দেখার পর আরও ভাল ভাবে দেখবেন বলে কম্পিউটারে দেখেছেন।’’ তাঁর বিশ্বাস, ছবির ভিতর সততা থাকলে তাতে দর্শক স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে সাড়া দেবেনই।
জয়া আহসান, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অরুণ মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে গল্প বেঁধেছেন ইন্দ্রনীল। যেখানে ‘শহর’ নিজেই একটা চরিত্র। কিন্তু বড়পর্দায় ছবিটি করলেন না কেন? পরিচালকের সাফ জবাব, “এখনকার প্রযোজকরা সাধারণ ভাবে ড্রইংরুম ড্রামার বাইরে আর কিছু ভাবতে পারছেন না। আমাদের এখানে প্রযোজনা, ডিস্ট্রিবিউসনের যা মান, তাতে ছবিটা আমাকে বড় পর্দায় কেউ করতে দেবেন?’’
আরও পড়ুন, ‘ভালবাসার শহর’ এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
বেশির ভাগ দর্শক প্রাথমিক ভাবে ছোট স্ক্রিনে অর্থাত্ স্মার্টফোনে ছবিটি দেখছেন। মেকিংয়ের সময় সে সব মাথায় রাখতে হয়েছিল? ইন্দ্রনীলের দাবি, ‘‘আমি শর্ট ফর্ম্যাটে রয়েছি বলে একটা ঘরে প্রচুর আলো দিয়ে যদি শুট করি তা হলে বাচ্চাটাকে প্রথমেই ড্রেনে ফেলে দিলাম। অনাবশ্যক ক্লোজ শট নিয়ে থিমটার গলা টিপে মারব কেন?’’
‘ভালোবাসার শহর’ নির্দিষ্ট কোনও শহরের গল্প নয়। এটা আসলে পৃথিবীর যে কোনও শহরের গল্প। একটা শহরের প্রেম, তার সংকীর্ণতা, ধর্ম, বিদ্বেষ, মন কেমন সবই যেন একাকার হয়ে যায়। মাত্র তিরিশ মিনিটের ছবিটি নিয়ে উত্সাহী দর্শকদের একটা বড় অংশ। পেটিএমের মাধ্যমে ভাল আর্থিক সাহায্যও আসছে বলে দাবি পরিচালকের। পরের ছবি কি ফের এই ফর্ম্যাটেই? ইন্দ্রনীলের উত্তর, ‘‘বড়পর্দার সঙ্গে তো আমার কোনও বিরোধ নেই। আমার স্ক্রিপ্ট রেডি। তবে একটাই শর্ত ক্রিয়েটিভ ফ্রিডম দিতে হবে।’’