ইরফান খান। ছবি: ইনস্টাগ্রামের সৌজন্যে।
ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা ইরফান খান। ‘নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার’ বাসা বেঁধেছে তাঁর শরীরে। লন্ডনে চিকিত্সা চলছে তাঁর। এখনও ছ’টি কেমোথেরাপি নিতে হবে বলে নিজেই জানিয়েছেন ইরফান।
সম্প্রতি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ইরফান জানিয়েছেন, চিকিত্সার শুরুতে তিনি অসহিষ্ণু ছিলেন। কিন্তু ধীরে ধীরে তিনি চিকিত্সা পদ্ধতি বুঝতে শুরু করেন। চিকিত্সকদের সঙ্গে সহযোগিতা শুরু করেন।
ইরফানের কথায়, ‘‘সমস্যাটা তৈরি হচ্ছিল তখন, যখন লোকে আলোচনা করছিল, আমি এই রোগ থেকে আদৌ বেরিয়ে আসতে পারব তো? কিন্তু এটা তো আমার হাতে নেই। প্রকৃতি যেটা চাইবে সেটাই হবে। আমার হাতে যেটুকু আছে, সেটা নিয়ে আমি ভাবতে পারি। আমি ৩০ বছর মেডিটেশন করেছি। ফলে এটা আমি ভালই পারি।’’
আরও পড়ুন, ৩০৮টি ব্যর্থ সম্পর্কের পর সঞ্জয়ের জীবনে কে এসেছিলেন?
ইরফানের অসুস্থতার কথা প্রকাশ্যে আসার পর চিকিত্সকরাও জানিয়েছিলেন, ‘নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার’ শরীরের যে কোনও জায়গায় হতে পারে। তবে মূলত অন্ত্র, ফুসফুস, অগ্ন্যাশয় ও এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ডগুলোতে হয়। এন্ডোক্রিন গ্ল্যান্ড ও স্নায়ুতন্ত্র থেকে এই ধরনের টিউমার তৈরি হয়। স্নায়ু বিশেষজ্ঞ তৃষিত রায় জানিয়েছিলেন, টিউমারগুলো থেকে ‘সেরোটনিন’ নামে এক ধরনের হরমোন নিঃসৃত হয়, যার ফলে রোগীর শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন, আচমকা রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, অস্বাভাবিক মাত্রায় বুক ধড়ফড়, হট-ফ্লাশ। শরীরের ঠিক কোন জায়গায় টিউমারটি হয়েছে, তার উপরেও নির্ভর করে উপসর্গ ঠিক কী হবে। যেমন অন্ত্রে হলে ডায়েরিয়ার মতো রোগ হতে পারে। তবে ইরফানের ঠিক কোন ধরনের নিউরোএন্ডোক্রিন টিউমার হয়েছে তা জানা না থাকায়, এ নিয়ে বিশদ বলতে রাজি হননি চিকিৎসকেরা।