ফের বিবেককে খোঁচা জনের। ছবি: সংগৃহীত।
বিবেক অগ্নিহোত্রীকে ফের একহাত নিলেন জন আব্রাহাম। সম্প্রতি পরিচালকের ছবি ‘দ্য বেঙ্গল ফাইল্স’ নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এর মধ্যেই জন দাবি করলেন, বেশ কিছু ছবি রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তৈরি হচ্ছে ঠিকই। কিন্তু সেগুলি দায়িত্ব ও যত্ন সহকারে তৈরি না হওয়ায় ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে সমাজে।
কর্মজীবনের শুরুর দিকে ‘জিস্ম’, ‘দোস্তানা’, ‘ধুম’-এর মতো ছবি করেছিলেন জন। কিন্তু একটা সময়ের পরে বদল আসে তাঁর ছবি নির্বাচনের ধরনে। বেশ কিছু দেশাত্মবোধক ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। তার মধ্যে রয়েছে ‘মাদ্রাজ় কাফে’, ‘পরমাণু’। কিছু দিন আগে মুক্তি পেয়েছে তাঁর ছবি ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’। দেশাত্মবোধক ও রাজনৈতিক ছবি হলেও যথেষ্ট দায়িত্ব সহকারে ছবিগুলি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জন।
জনের মতে, কোনও ছবি দেশাত্মবোধক মানেই তাকে গলা ফাটিয়ে দেশপ্রেম বোঝাতে হবে, তার কোনও মানে নেই। তিনি বলেছেন, “দায়িত্বশীল ভাবেও দেশাত্ববোধক ছবি তৈরি হতে পারে। এর জন্য চিৎকার চেঁচামেচির প্রয়োজন তো নেই।” এর পরেই ‘দ্য ডিপ্লোম্যাট’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে আনেন তিনি। তাঁর দাবি, এই ছবি রাজনৈতিক ও দেশাত্মবোধক হয়েও একপেশে বার্তা দেয় না। ইতিহাসকে অবিকৃত ভাবে তুলে ধরে কেবল। তাঁর কথায়, “আমার ছবি বলে বলছি না। কিন্তু এই ছবি উগ্র দেশপ্রেমের প্রচার করে না। দেশের প্রতি ভালবাসা প্রকাশের জন্য বুক চাপড়ানোর কোনও দরকার পড়ে না। বরং দেশপ্রেম শান্ত ভাবে নীরবে বোঝাতে হয়।”
জন আগেও জানিয়েছিলেন, তিনি কখনওই ‘ছাওয়া’ বা ‘কাশ্মীর ফাইল্স’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করবেন না। বিবেক অগ্নিহোত্রী এই প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়েছিলেন অভিনেতাকে। জনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেছিলেন, “ও তো মোটরবাইক চালানোর জন্য আর প্রোটিন খেয়ে পেশি দেখানোর জন্য জনপ্রিয়। ওগুলোতেই বরং ও মন দিক। ভাল হবে। অভিনয়টা ও না করলেই ভাল।”