তেড়ে এসে তাড়া খেয়ে ফিরে গেল ডাইনো

‘জুরাসিক পার্ক’ এখন ‘জুরাসিক ওয়র্ল্ড’। ডাইনোসরগুলো আকারে-প্রকারে আরও কিম্ভূত। কিন্তু মাংসখোর ডাইনোসরগুলো পোষ মানতে শিখে গিয়েছে (সেটা অবশ্য প্রথম ‘জুরাসিক ওয়র্ল্ড’ থেকেই)! তাই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির নির্মাতারা পূর্ব-নির্মাণ স্রেফ ভুলে মেরে দিয়ে ভাল ডাইনোসর এবং মন্দ ডাইনোসর তৈরি করে তাদের মুখোমুখি লড়িয়ে দিলেন!

Advertisement

অন্তরা মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৮ ০০:০১
Share:

নব্বইয়ের দশকে যাঁরা বড় হয়েছেন, সিটের-নীচে-সেঁধিয়ে-যাওয়ার ছবি বললেই তাঁদের মনে হবে ‘জুরাসিক পার্ক’-এর কথা! কিন্তু তখনকার যে উন্মাদনা বিশ্ব দাপিয়ে কলকাতাতেও আছড়ে পড়েছিল, তার কতটা ধরে রাখতে পেরেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ি?

Advertisement

‘জুরাসিক পার্ক’ এখন ‘জুরাসিক ওয়র্ল্ড’। ডাইনোসরগুলো আকারে-প্রকারে আরও কিম্ভূত। কিন্তু মাংসখোর ডাইনোসরগুলো পোষ মানতে শিখে গিয়েছে (সেটা অবশ্য প্রথম ‘জুরাসিক ওয়র্ল্ড’ থেকেই)! তাই ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির নির্মাতারা পূর্ব-নির্মাণ স্রেফ ভুলে মেরে দিয়ে ভাল ডাইনোসর এবং মন্দ ডাইনোসর তৈরি করে তাদের মুখোমুখি লড়িয়ে দিলেন! এবং ভাল ডাইনোর খারাপ ডাইনোকে আক্রমণের প্রক্রিয়া এতই আকস্মিক ও অনির্দেশ্য যে প্রশ্ন তুলতে ইচ্ছে করে এরা প্রাগৈতিহাসিক জন্তু, নাকি ভাড়াটে সৈনিক? খুদে র‌্যাপ্টারকে দিয়ে কত সহজে ভয়াল ইন্ডোর‌্যাপ্টারের চ্যাপ্টার শেষ করলেন নির্মাতারা!

ডাইনোদের তাণ্ডবের পর প্রযুক্তিনির্ভর অ্যাডভেঞ্চার পার্কটি অবশিষ্ট নেই। ডাইনোসরদের একা ছেড়ে দিয়েছে মার্কিন দুনিয়ার মানুষ। কিন্তু দ্বীপে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। বিলুপ্ত প্রাণীগুলো ফের বিলোপ পাওয়ার মুখে। তাই ডাইনোপ্রেমী মানুষরা সেই দ্বীপে ছুটে যায়... ডাইনোদের বাসা হয় স্যার বেঞ্জামিন লকউডের বাড়ি (বাকিংহ্যাম প্যালেসের চেয়ে কয়েক গুণ বড়, ডাইনোরা এঁটে যেতে পারে দিব্যি)। তবে উদ্বাস্তু ডাইনোদের নিজেদের কাজে লাগাতে চায় দুষ্টু লোকেরা। দুনিয়াজোড়া বিভিন্ন যুদ্ধে তারা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় টি-রেক্স, ইন্ডোর‌্যাপ্টারদের।

Advertisement

দুষ্টু লোকদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে ছবির হিরো ওয়েন (ক্রিস প্র্যাট) এবং হিরোইন ক্লেয়ার (ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড) খুব চেনা পথে ডাইনোদের লেলিয়ে দেয়! দুষ্টু লোকেদের ডাইনোদের হাতে (দাঁতে) শায়েস্তা হওয়া, হঠাৎ এসে ডাইনোদের ‘ধাপ্পা’ দেওয়া, গুলি খাওয়া ডাইনোসরকে ছবির বেশির ভাগ অংশ জুড়ে সুস্থ করা— ক্লিশে অনেক। বেঞ্জামিন লকউডের নাতনিকে নিয়ে এসে প্লট টুইস্টে মানুষের জেনেটিক্স ঢুকিয়ে দিয়েছেন নির্মাতারা। তবে তার জন্য খরচা করেছেন মাত্র একটা সংলাপ!

জুরাসিক ওয়র্ল্ড: ফলেন কিংডম পরিচালনা: জে এ বেয়োনা অভিনয়: ক্রিস প্র্যাট, ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড, ইসাবেলা সার্মন ৫/১০

ক্রিস ও ব্রাইসকে পর্দায় মানিয়েছে ভাল। নবাগতা ইসাবেলা সার্মনকেও ভাল লাগল। ছবির কয়েকটা দৃশ্য যথেষ্ট ভয়াবহ এবং হাঁ-করে দেখার মতো। কিন্তু শেষে তেমন অনুভূতি রইল কই? খুদে বয়সে প্রথম ছবিটা দেখে তো মেঘ ডাকলেও ফিরে তাকাতো সবাই, পিছনে ডাইনো নেই তো? নব্বই দশকের খুদেরা ব়়ড় হয়েছে, তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িটাও একটু প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠতে পারত!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন