সত্যি ঘটনার আধারে

ছবির পিছনের গল্প নিয়ে ‘ককপিট’-এর পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ছবির পিছনের গল্প নিয়ে ‘ককপিট’-এর পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়

Advertisement

মধুমন্তী পৈত চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:০০
Share:

ছবির শ্যুটিংয়ে

ফ্লাইট টেক অফ করতে আর কয়েক দিনের অপেক্ষা। ছবির প্রোমোশনে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছেন পাইলট। ছবির প্রযোজকও যে তিনিই! আজ মধ্যগগনে মিউজিক লঞ্চ হবে দেব-রুক্মিণীর ‘ককপিট’-এর। তার আগে ছবির পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় শোনালেন সত্যিকারের কোন কোন বিমান দুর্ঘটনা এই ছবির অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। সঙ্গে শ্যুটিংয়ের খুঁটিনাটি গল্প।

Advertisement

পরিচালক প্রথমে বললেন, দুর্ঘটনায় পড়া ২০১০-এর এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস ফ্লাইট ৮১২-এর ঘটনা। দুবাই থেকে ম্যাঙ্গালোরগামী বিমানটি অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়ে খাদে পড়ে যায়। বিমানে ছিলেন ১৬০ জন যাত্রী আর ৬ জন বিমানকর্মী। যাঁদের মধ্যে মাত্র আট জন যাত্রী প্রাণে বেঁচে যান। দ্বিতীয় ঘটনাটি ১৯৮২ সালের। সেটিও ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উচ্চতা নির্ণয়ে কিছু ত্রুটি হয়েছিল। যার জেরেই মুম্বই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি ভেঙে মারা যান যাত্রী ও কর্মী মিলিয়ে মোট ১৭ জন।

মাঝ আকাশে বিমান বিপর্যয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় দুর্ঘটনাটি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। চরখি দাদরির বিমান-সংঘর্ষ। সৌদি আরব এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের একটি বিমান যাচ্ছিল দাহরানের উদ্দেশে। আর কাজাখস্তান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আসছিল দিল্লি অভিমুখে। নয়া দিল্লির পশ্চিমে চরখি দাদরি নামে একটি গ্রামের উপরে ভেঙে পড়ে বিমান দু’টি। নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। দুর্ঘটনার বিস্তৃতির দিক থেকে দেখলে চরখি-দাদরির পরেই যে বিমান দুর্ঘটনার কথা বলা হয়, তা হল ১৯৭৮-এর ১ জানুয়ারির ঘটনা। এয়ার ইন্ডিয়া ফ্লাইট ৮৫৫ ভেঙে পড়েছিল বান্দ্রার উপকূলে। বিমানের ২১৩ জন আরোহীই
মারা যান।

Advertisement

পরিচালকের কথায়, ‘‘এই চারটি বিমান দুর্ঘটনার নির্যাস নিয়ে বোনা হয়েছে ‘ককপিট’-এর গল্প। তবে ছবিতে যে লভ স্টোরি দেখানো হয়েছে, তা পুরোপুরি কাল্পনিক।’’

এই ছবিতে বিমান সম্পর্কিত বিষয়ে গবেষণার কাজে সাহায্য করেছেন অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন রঞ্জন নন্দী। বায়ুসেনায় কাজ করার পরে তিনি একটি বেসরকারি বিমান সংস্থায় যোগ দেন। ছবির নায়ক দেব তাঁর কাছে প্রায় মাস দুয়েকের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শুধু গবেষণার কাজে নয়, ছবির চিত্রনাট্যেও একটি বড় অবদান রয়েছে ক্যাপ্টেন রঞ্জনের।’’

এই ছবির শ্যুটিং হয়েছে
তিনটি বিমানবন্দরে— কলকাতা, অন্ডাল আর মুম্বই বিমানবন্দরের টার্মিনাল টু-এ।

শ্যুটিং করতে গিয়ে কোনও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা? পরিচালকের কথায়, ‘‘বিমানবন্দরের এয়ারসাইডের দিকটিতে সাধারণ যাত্রী হিসেবে যাওয়া যায় না।
তবে এই ছবিটির দৌলতে সেটা অনেক কাছ থেকে দেখার-বোঝার সুযোগ পেয়েছি।’’

টেকনিক্যাল বিষয় থাকলেও, ছবির মূল সুর গাঁথা হয়েছে বিমান দুর্ঘটনার মুখে পড়া মানুষের অসহায় মুহূর্তকে কেন্দ্র করে, বললেন পরিচালক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন