রেগে আগুন কঙ্গনা। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনেত্রীর পাশাপাশি তিনি এখন রাজনীতিবিদ। গত বছর হিমাচল প্রদেশের মন্ডী লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হওয়ার পরে তিনি বিজেপির সাংসদ। রাজনীতিতে আসার আগেও তিনি নানা বিষয়ে মতামত রাখতেন। সাংসদ হওয়ার পরে তাঁর মতামতের গুরুত্ব বেড়েছে। ভারত এবং পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। তবে অভিনেত্রী মনে করেন, যুদ্ধে মানুষের মৃত্যু হবে না। অজ্ঞানতাই মৃত্যুর আসল কারণ। হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য করলেন সাংসদ- অভিনেত্রী?
নতুন প্রজন্মের একদল ছেলেমেয়ের অজ্ঞানতায় বেজায় চটেছেন কঙ্গনা। দেশের রাষ্ট্রপতির নাম জানতে চাওয়া হয় কয়েক জন তরুণীর কাছে। এক তরুণী অবগতই নন দেশের রাষ্ট্রপতি একজন মহিলা। আর একজন অতি কষ্টে মনে করে বলেন, “ম্রুনালি বোধহয়। আমি জানি। মুরুনুও হতে পারে।” আর এক তরুণী বলেন, “আমার মনে হয় রামনাথ কোবিন্দ।” এখানেই শেষ নয়। চতুর্থ জন উত্তরে বলে ওঠেন, “জওহরলাল নেহরু। তিনিই তো প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।” সমাজমাধ্যমে এই ভিডিয়ো দেখে মেজাজ হারান কঙ্গনা। সেই ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাগ করে নিয়ে তিনি লেখেন, “যুদ্ধ আমাদের মারতে পারবে না। কিন্তু এই প্রজন্মের ফড়িংদের মাথার কোষগুলিই আমাদের মেরে ফেলবে।” কঙ্গনার এই বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন অনেকেই।
কঙ্গনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। ছবি: আনন্দবাজার ডট কম।
উল্লেখ্য, কঙ্গনাকে শেষ দেখা গিয়েছে ‘ইমার্জেন্সি’ ছবিতে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এই ছবির পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকারও তিনি। তবে এ বার বলিউড ছেড়ে হলিউডে যাওয়াও পাকা হয়ে গিয়েছে কঙ্গনার। একটি ভৌতিক ছবির প্রধান চরিত্রে সুযোগ পেয়েছেন বলিউডের ‘কুইন’। ছবির নাম ‘বি দ্য ইভিল’। এই ছবিতে কঙ্গনা ছাড়াও রয়েছেন হলিউডের অভিনেতা টাইলার পোজ়ে, সিলভারস্টার স্ট্যালোনের কন্যা স্কারলেট রোজ় স্ট্যালোন।