(বাঁ দিকে) করিনা কপূর, দিয়া মির্জা (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দিয়া মির্জ়া এবং করিনা কপূর সমসাময়িক অভিনেত্রী। প্রায় একই সময়ে তাঁদের অভিনয়ের কেরিয়ার শুরু। যদিও কপূর পরিবারের আভিজাত্য প্রথম থেকেই ছিল করিনার সঙ্গে। দিয়ার সঙ্গে ছিল সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার সাফল্য।
এখন দু’জনেই অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন। স্বামী-সন্তানদের নিয়ে সংসার করছেন। যদিও এক সময় পোশাক এবং জাতীয় পতাকা নিয়ে বিবাদ বাধে দুই নায়িকার। দিয়ার উপর চিৎকার করেন করিনা।
২০০০ সালে তাঁরা লখনউয়ে গিয়েছিলেন একটি অনুষ্ঠানে। দিয়া, করিনা ছাড়াও সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন উর্মিলা মাতণ্ডকর, নম্রতা শিরোদকর-সহ অন্য অভিনেত্রীরা। সেই অনুষ্ঠানে সকলকে এক ধরনের পোশাক পরার নির্দেশ দেওয়া হয়। নায়িকারা পরবেন সুতির সালোয়ার-কামিজ, সঙ্গে থাকবে জাতীয় পতাকা। কিন্তু নারাজ করিনা। তিনি কিছুতেই সেই সালোয়ার পরবেন না, জাতীয় পতকাও নেবেন না। বরং ভারী গয়নার সঙ্গে পরতে চেয়েছিলেন লেহঙ্গা চোলি।
করিনার এমন ব্যবহার অসন্তোষ সৃষ্টি করে অন্যদের মধ্যে। তখন দিয়া নাকি নম্রতাকে উপদেশ দেন, করিনার পোশাক পরে বেরিয়ে যাওয়ার। আচমকাই করিনা ফিরে এসে চিৎকার করতে থাকেন। দিয়ার কথায়, ‘‘করিনা আমার উপর উন্মত্তের মতো চিৎকার করে বলতে থাকে। বলে, ‘তুমি নম্রতাকে উপদেশ দেওয়ার কে?’ আমি সেই ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যাই।”
কিন্তু কিছু ক্ষণ পর করিনাই কথা বলতে আসেন দিয়ার সঙ্গে, যেন কিছুই হয়নি। সেই প্রসঙ্গে দিয়া মন্তব্য করেন, ‘‘তার পর বুঝলাম করিনা আসলে যুক্তিহীন,অসম্ভব উচ্চস্বরে কথা বলা একটা মানুষ।’’