দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পেরেছে, এমন শোয়ের সংখ্যা খুব কম। ‘কউন বনেগা ক্রোড়পতি’ এমন একটা শো, যা আসমুদ্রহিমাচলকে টেলিভিশনের সামনে বসে থাকতে বাধ্য করেছিল। যার কৃতিত্বের সিংহভাগ হয়তো ‘কেবিসি’র সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চনের। কিন্তু বিনয়ী অভিনেতা নিজেকে কৃতিত্ব দিতে রাজি নন।
তাঁর কথায়, ‘‘সিনেমায় এক জন সংলাপ লেখেন, এক জন মেকআপ করেন। আর এক জন আমাকে নির্দেশনা দেন। কিন্তু ‘কেবিসি’ করার সময়ে কোনও বাধানিষেধ থাকে না। হ্যাঁ, একটা টেলিপ্রম্পটার থাকে। সেটা কিছু বিশেষ নির্দেশের জন্য। বাকিটা আমার আর হটসিটে যিনি বসেন তাঁর উপর নির্ভর করে। শোয়ে আমার ভূমিকা নেহাতই এক জন হোস্টের। এই শো সফল হয়েছে প্রতিযোগীদের আবেগ এবং তাঁদের প্রতিভার জন্য।’’
এটা ‘কেবিসি’র দশম সিজ়ন। টানা ১৮ বছর ধরে দর্শককে আকর্ষণ করা কম কথা নয়। অমিতাভ ছাড়াও শাহরুখ খান শোয়ের সঞ্চালনা করেছেন একটি সিজ়নে। কিন্তু অমিতাভের জনপ্রিয়তাকে কেউ ছুঁতে পারেননি। অমিতাভ এই শোয়ে শুদ্ধ হিন্দিতে কথা বলেন। যা ‘কেবিসি’র একটা ইউএসপি-ও বটে। কিন্তু নতুন প্রজন্মের অভিনেতারা হিন্দিতে মোটেও সড়গড় নন। বিষয়টা সম্পর্কে অমিতাভ সহমত। বললেন, ‘‘হ্যাঁ ঠিক কথা। আমার কাছে কেউ রোমান হিন্দিতে লেখা স্ক্রিপ্ট নিয়ে এলে, আমি সেটা পড়ি না। যতক্ষণ না দেবনাগরী ভাষায় স্ক্রিপ্ট আসবে, আমি পড়ব না।’’ তাঁর পরিবারের সদস্যরা আলাদা প্রদেশের। কোন ভাষার প্রাধান্য তাঁর বাড়িতে? ‘‘আমরা সব ভাষাকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। জয়া বাংলার, তাই বাংলা বলে। ঐশ্বর্যা দক্ষিণ ভারতের, তাই সেখানকার ভাষা বলে। আর হিন্দি আর পঞ্জাবি তো আছেই।’’
নতুন সিজ়নে অতিথি তালিকায় কোন কোন সেলেব থাকবেন, তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে। আলিয়া ভট্ট, রণবীর কপূর, দীপিকা পাড়ুকোনের সঙ্গে সম্প্রতি কাজ করেছেন তিনি। এঁদের কাউকে কি দেখা যাবে হটসিটে? বিষয়টা এড়িয়ে গিয়ে মজা করে অমিতাভ বললেন, ‘‘এঁদের সঙ্গে কাজ করতে আমার ভয় লাগে। মনে হয় আমাকেই খেয়ে নেবেন!’’ রাজকুমার রাও, কার্তিক আরিয়ান, বরুন ধওয়নের কাজ ভাল লাগে তাঁর। বলছিলেন, ‘‘এঁরা সবাই খুব প্রতিভাবান অভিনেতা। এঁদের কাজ ভাল লাগলে, আমি ওঁদের প্রশংসাপত্র পাঠাই। এগুলো করতেও আমার ভাল লাগে।’’
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ‘কেবিসি’। শুরু হচ্ছে বিনোদনের সিটে দর্শককে লক করে দেওয়ার খেলা।