নন্দনে ফ্রি পাস নেওয়ার ভিড়। ছবি— মেঘদূত রুদ্র।
২৩তম কলকাতা আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের চতুর্থ দিনও ছিল জমজমাট। শুধু নন্দন বা রবীন্দ্র সদন চত্বরই না, কলকাতার অন্য সিনেমা হলগুলিতেও দেশবিদেশের ছবি দেখার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গর্বের বিষয় সপ্তাহের দ্বিতীয় কাজের দিনেও সিনেপ্রেমীরা সময় বের করে নিয়েছিলেন ছবি দেখার জন্য।
আরও পড়ুন, উৎসবে বুধবার এই ছবিগুলো মিস করবেন না
আরও পড়ুন, সরে গেলেন সুজয় ঘোষ
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের নবীনা হলেও রোজ দু’টি করে ছবি দেখানো হচ্ছে। সকাল ১০টা ও ১২টায় দক্ষিণ কলকাতার মানুষেরা নবীনায় সিনেমা দেখতে যাচ্ছেন বলেই জানতে পারলাম।
‘নবীনা’ হলে চলচ্চিত্র উৎসবের গেট। — নিজস্ব চিত্র।
এ দিন দুপুরে চলে গিয়েছিলাম নন্দন-৩-এ। ১২টা থেকে তাইল্যান্ডের পরিচালক পেন-এক-এর একটি ‘টক শো’ ছিল। নিজের জীবন ও চলচ্চিত্র ভাবনা নিয়ে আলোচনা করলেন পরিচালক। শেয়ার করলেন সে দেশে তাঁর ছবি তৈরির অভিজ্ঞতা। এই আলোচনায় সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক মানস ঘোষও।
অধ্যাপক মানস ঘোষ এবং তাইল্যান্ডের পরিচালক পেন-এক। —নিজস্ব চিত্র।
নন্দনে এ দিন দর্শক উপস্থিতির হারও বেশ ভালই ছিল। রবিবারের মতো না হলেও, হেল্প ডেস্ক থেকে ফ্রি পাস নিয়ে ছবি দেখার লাইন পড়েছিল বিরাট। আসলে ছবি শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা আগেই পরের ছবির ফ্রি পাস দেওয়া হচ্ছে। আর সেই সুযোগ মিস করতে রাজি নন কলকাতার সিনেপ্রেমীরা।
ফেস্টিভ্যালে মাঝে মাঝে খুব খারাপ অভিজ্ঞতাও হয়। যেমন আজকে দুপুর তিনটেয় নন্দন-১-এ মরোক্কোর একটি অসাধারণ ছবি চলতে চলতে হঠাত্ সেটি বদলে দেওয়া হল। কোনও ঘোষণা ছাড়াই চলতে শুরু করল রাশিয়ার একটি ছবি। ক্লান্তিকর। বসে থাকতে না পেরে শেষে বেরিয়ে পড়লাম। আমার মতো আরও অনেকেই সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
আসলে এমন ঘটনায় ঘোষণা করে জানানো উচিৎ বলেই মনে করি। কারণ আফটার অল, আমার শহরে আন্তর্জাতিক উৎসব। পান থেকে চুন খসলেও মনটা খচখচ করে।