আতঙ্কে রয়েছেন সলমন খান! ছবি: সংগৃহীত।
গত বছর এপ্রিলে সলমন খানের বান্দ্রার গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের জানলার দেওয়াল লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল দুই বন্দুকবাজ। যদিও অভিযোগ, ঘটনার নেপথ্য ছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। বছর দুয়েক ধরে বার বার অভিনেতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যংয়ের মাথা। তার পর থেকেই আঁটসাঁট করা হয়েছে সলমনের নিরাপত্তা। ‘ওয়াই ক্যাটেগরি’র নিরাপত্তায় সর্ব ক্ষণ থাকতে হয় তাঁকে। সারা ক্ষণ বুলেটপ্রুফ গাড়িতে ঘোরেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও সর্ব ক্ষণ পাশে থাকেন মহারাষ্ট্র রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল। সলমনের নিরাপত্তার চিন্তায় কপালে ভাঁজ তাঁর পরিবার-পরিজনেরও। সম্প্রতি তাঁর খোলা বারান্দায় লাগানো হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ। এত সুরক্ষার মাঝে থাকতে থাকতে তিনি ক্লান্ত, নিজেই স্বীকার করেছেন সলমন। তবে সেই সুরক্ষাবলয় ভেঙে সলমনের বাড়িতে লুকিয়ে ঢুকে পড়লেন এক যুবক।
গত ২০ মে সকালে অভিনেতার আবাসনে ঢুকে পড়েন বছর তেইশের এক অনুরাগী। ভোর তখন ৭:১৫। জিতেন্দ্রকুমার সিংহ নামক এক যুবক সলমনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। জানা গিয়েছে, তিনি ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা। তিনি সলমনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলে গেটের পাশে মোতায়েন পুলিশকর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন। তার পর খানিক ক্ষণ নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান ওই যুবক। তাঁকে আটক করে বাইরে বার করে দেওয়া হলেও নাছোড় তিনি। বাড়ির ভিতরে ঢুকবেনই। ওই আবাসানের এক বাসিন্দার গাড়ির পিছনে চেপে ফের ঢোকার চেষ্টা করলেও দ্বিতীয় বারও ধরা পড়ে যান। ওই ব্যক্তি আপাতত বান্দ্রার থানার হেফাজতে রয়েছেন জোর করে অনুপ্রেবশের অভিযোগে। ওই একই দিনে ফের একই ঘটনা! এক বছর বত্রিশের মহিলা অনুরাগী সলমনের বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করেন। নাম ইশা ছাবড়া। পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনিও। প্রশ্ন, এমন কড়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও কী ভাবে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটছে সলমনের আবাসনে?