‘চিরকুমার সভা’-র চতুর্থ অঙ্কে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন “যৌবনের দাহ বৃদ্ধকে পেলেই হুহুঃশব্দে জ্বলে ওঠে— সেইজন্যেই তো ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’ বিপত্তির কারণ”! ডাকসাইটে অভিনেতা জর্জ ক্লুনির ক্ষেত্রেও কি কথাটা খাটে? নইলে তিনি কেন বলছেন, “বিয়ের পর সব কিছু পাল্টে গেছে”?
একেবারে যে খাটে না— এমনটাও কিন্তু নয়! এমনিতে দেখতে গেলে সুন্দরী আমাল আর সুপুরুষ ক্লুনির দাম্পত্য দেখতে দেখতে পার করতে চলল প্রায় এক বছর। লেবানন বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ আইনজীবী আমাল আলামুদ্দিন ও ক্লুনির চার হাত এক হয়েছিল গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে। প্রথম বিবাহবার্ষিকী আসতে আর মাত্র মাস কয়েক বাকি। হলিউডে যেখানে সন্ধ্যেবেলা বিয়ে হয় আর রাতদুপুরে ডিভোর্স— সেখানেও কিন্তু ৫৪ বছরের পাত্র এখনও গদগদ তাঁর ৩৭ বছরের স্ত্রীকে নিয়ে। এমনকী এ কথাও কবুল করেছেন নায়ক— “আমার স্ত্রী এক অসাধারণ মহিলা”।
সে না-হয় বললেন-ই! কে-ই বা সবার সামনে স্ত্রীর নিন্দা করে বিপদে পড়তে চায়? তবে শুধু এটুকু বলেই কিন্তু থেমে থাকছেন না নায়ক। জানিয়েছেন, সুন্দরী আমালের মানুষের প্রতি সমবেদনা তাঁর সব থেকে বড় গুণ বলে মনে করেন তিনি। তা, এখনও পর্যন্ত কম সুন্দরীদের সঙ্গে তো আর সময় কাটাননি নায়ক। এ যাবত্ অভিনেতা হিসেবে তিনটি গোল্ডেন গ্লোব ও একটি অ্যাকাডেমি পুরস্কার জয়ী জর্জ ক্লুনি প্রযোজক, পরিচালক, লেখক ও অ্যাকভিস্ট হিসেবে অনেক নারীকেই দেখেছেন। প্রথমা স্ত্রী অভিনেত্রী টালিয়া বলসমের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পরে বেশ কয়েক জন সুন্দরীদের সঙ্গে সম্পর্কেও জড়িয়েছেন। অবশেষে গাঁটছড়া বেঁধেছেন আমালের সঙ্গে। কাজেই তাঁর কথাটাকে সত্যি বলেই মেনে নেওয়া গেল।
তবে আইনজীবী আমাল যে কেবল মাত্র তাঁর রূপেই ভুলিয়েছেন জর্জ ক্লুনিকে— তা নয়। ক্লুনির দেখা অন্যতম একজন ‘স্মার্ট’ মহিলা হলেন আমাল। তাঁর রসবোধও ক্লুনিকে যথেষ্ট আকৃষ্ট করে। এই সম্পর্ক তাঁর জীবনের সমস্তটাই পাল্টে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জর্জ। তা হলে আর বিপদ কোথায়? এই সম্পূর্ণতায় নেতিবাচক দিক একটাই। সপ্তাহান্তে টেলিভিশন দেখা নিয়ে নিজেদের মধ্যে খুনসুটি। জর্জ খেলা দেখতে ভালোবাসেন। ও দিকে আমাল কিন্তু খেলা দেখতে এক্কেবারেই পছন্দ করেন না। আপাতত সেটা নিয়েই বিপদে পড়েছেন ক্লুনি! খুব সন্তর্পণে আমালকেও তাই খেলার নেশা ধরানোর চেষ্টায় আছেন। দেখা যাক কত দিনে তাঁর প্রচেষ্টায় সফল হন ‘ব্যাটম্যান’ ক্লুনি।