বলিউডের এই নায়িকাকে বলা হচ্ছে ‘হট অ্যান্ড ইনোসেন্ট’। বলিউডে ডেবিউ হয়েছে বড় ব্যানারেই। তবে প্রথম ছবিতেই অভিনয়ের জন্য ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন তিনি। তবে প্রথম অডিশনে নাকি হকি স্টিক আর দেহরক্ষী নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
এই বলি নায়িকার নাম রাধিকা মদন। একতা কপূরের ‘মেরি আশিকি তুমসে হি’-তে প্রথম দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
একতা বলেছিলেন, দিল্লির এই তরুণীর হাঁটাচলাতে প্রথম দিকে একেবারেই কোনও স্মার্টনেস ছিল না। কিন্তু গ্রুমিং সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী করে তোলে তাঁকে।
ভাগ্যশ্রীর ছেলে অভিমন্যু দাসানির ডেবিউ ফিল্ম ‘মর্দ কো দর্দ নাহি হোতা’-র নায়িকা তিনি। শুটিং শেষেই অফার পান বিশাল ভরদ্বাজের ‘পটাকা’ ছবির।
গোয়া বিমানবন্দরে বসেই স্থানীয় হিন্দিতে চিত্রনাট্যের সংলাপ বলতে দেখে অনেকেই তাঁকে ঠাট্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। কারণ অভিনয় তাঁর প্রাণ, এমনটাই জানিয়েছেন রাধিকা।
বছর তেইশের এই তরুণী রসগোল্লা ও আইসক্রিম খেয়ে ১০ থেকে ১২ কিলোগ্রাম ওজন বাড়িয়েছিলেন ছবির জন্য।
ছবির জন্য দাঁত কালো করেছেন, ত্বকের যত্ন নেননি মুখে বলিরেখার ছাপ আনতে। রোজ ভারী কলসিতে জল বয়ে অনেক দূর পর্যন্ত হাঁটাও অভ্যাস করেছেন তিনি।
ফেসবুক দেখে একতা কপূরের অডিশনে ডাকা হয়েছিল তাঁকে। মহিলাদের বিরক্ত করা হতে পারে, আদৌ অডিশন নয়, এই ধারণা নিয়ে হকি স্টিক নিয়ে অডিশনে গিয়েছিলেন রাধিকা। সঙ্গে দেহরক্ষী হিসাবে নিয়েছিলেন পাড়ার দুই পুরুষ বন্ধুকেও।
করিনা কপূরের সবচেয়ে বড় ফ্যান তিনি, করিনাকে সামনে দেখলেই সংজ্ঞা হারাবেন, এমনটাই বলেন তিনি।
নেটফ্লিক্স, অ্যামাজনের মতো ওয়েবসিরিজে অভিনয় করলে প্রত্যেকের মনের কাছে পৌঁছতে পারবেন বলেও মনে করেন এই বলি নায়িকা। ‘‘দর্শকরা আগের চেয়ে বেশি স্মার্ট। তাই ছবির ‘কনটেন্ট’ আসল হিরো,’’ এমনটাই বলেন রাধিকা।
সহ-অভিনেতা রাজভিত সিংহের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রাধিকা, তাই প্রেমিক ঈশান আর্যর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়, বলি মহলে গুঞ্জন রয়েছে এমনটাই।
তবে কোনও রকম গসিপে বিশ্বাসী নন তিনি। তথাকথিত হিরোইন নয়, সুঅভিনেত্রী হতে চান রাধিকা, কারণ ‘স্টারডম’ ক্ষণস্থায়ী। ‘পটাকা’ ছবিতে অভিনয় করে এই অনুভূতিই হয়েছে তাঁর।