গুগল ইন্ডিয়ার অন্যতম কর্তা হলেন নয়ের দশকের সুপারহিট এই নায়িকা।
তিনি গুগল ইন্ডিয়ার এজেন্সি বিজনেসের ইন্ডাস্ট্রি হেড হলেন সম্প্রতি।
অজয় দেবগণ, ববি দেওল, রানি মুখোপাধ্যায়, চন্দ্রচূড় সিংহ, আরশাদ ওয়ার্সি, অনুপম খেরের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
ফিল্মি কেরিয়ার মাঝপথে ছেড়ে দিয়ে পড়াশোনায় মন দিয়েছিলেন তিনি। পারফরমিক্স রেজাল্ট্রিক্সের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন প্রথমে। এর পর ডিজিটাসের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টরও ছিলেন। জেনিথেও কাজ করেছেন চিফ ডিজিটাল অফিসার হিসেবে।
আইআইটি কানপুরে ভর্তি হয়েছিলেন এই মেধাবী ছাত্রী। তার পরই জাতীয় পুরস্কারজয়ী ছবি ‘নাসিম’ এ অভিনয় করেন তিনি।
১৯৯৬ সালের সুপারহিট ফিল্ম ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’। ওই একটি ছবির জন্য চিরকাল বলিউড দর্শক মনে রাখবেন এই নায়িকা এবং যুগল হংসরাজকে।
‘নাসিম’ যেহেতু বাণিজ্যিক ছবি নয়, তাই সে ছবির কথা অনেকেই জানেন না। কিন্তু সে যুগে ‘পাপা ক্যাহতে হ্যায়’ দেখেননি, এমন মানুষ কমই রয়েছেন। ‘পাপা কহতে হ্যায়’ ছবির নায়িকা তিনি। এ বার নিশ্চয়ই চিনতে পারছেন এই নায়িকাকে।
এই নায়িকার নাম ময়ূরী কঙ্গো। এই ছবিটির পরে আরও বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেন ময়ূরী। টেলিভিশনেও অভিনয় করেন দীর্ঘ দিন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল, যাঁরা নিয়মিত হিন্দি টেলিভিশন দেখতেন, তাঁদের অনেকেই হয়তো ‘কাহি কিসি রোজ’, ‘কুসুম’ বা ‘কিটি পার্টি’তে ময়ূরীর অভিনয়ের কথা মনে রেখেছেন।
২০০৩ সালে তাঁর বিয়ে হয় এনআরআই ব্যবসায়ী আদিত্য ধিলোঁর সঙ্গে।
এর পর তিনি মার্কেটিং ও ফিনান্সে এমবিএ করেন নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটির বারুচ কলেজ-জিকলিন স্কুল অব বিজনেস থেকে।
নিউ ইয়র্কের ডিজিটাল এজেন্সি ৩৬০আই তে অ্যাসোসিয়েট মিডিয়া ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতেন তিনি। ২০০৪ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সেখানেই কাজ করতেন। ছেলে হওয়ায় দেশে ফেরন তিনি। গুরুগ্রাম, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এই তিনটি জায়গাতেই কাজের প্রয়োজনে থাকেন।
“অভিনয় করতে গেলে মেধার প্রয়োজন হয়, গ্ল্যামার খুব বেশি দিনের নয়, প্রত্যেকেরই অন্য রকম ভাবনা থাকা উচিত। আমি এটা ভেবেই কঠোর পরিশ্রম করেছি, প্রতিটা মুহূর্তে নিজেকে প্রমাণের চেষ্টা করছি,” একটি সাক্ষাৎকারে সম্প্রতি জানিয়েছেন ময়ূরী।