মস্তানির চরিত্রে বঙ্গ তনয়া

প্রথম সুযোগও কাকতালীয় ভাবেই আসে মেঘার জীবনে। বন্ধুদের সঙ্গে পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। সেই ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। তার পর থেকেই নানা রকম কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করে।

Advertisement

দীপান্বিতা মুখোপাধ্যায় ঘোষ

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ১২:৪০
Share:

মেঘা।

জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘পেশওয়া বাজিরাও’ বেশ কয়েক বছরের লিপ নিয়েছে। বাজিরাও থেকে মস্তানি সব চরিত্রেই বদল আসছে। মস্তানির চরিত্র করছেন কলকাতারই মেয়ে মেঘা চক্রবর্তী।

Advertisement

তিনি বাংলায় ‘যত হাসি তত রান্না’তে কাজ করেছেন। তবে গত বছর দেড়েক ধরে মেঘা মুম্বইবাসী। সেখানে ‘বড়ি দেবরানি’, ‘খোওয়াবো কি জমিন পর’ করেছেন। বড় ব্রেক বলতে সোনি টিভিতে মস্তানির চরিত্র। শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই জানালেন, তাঁর জীবনে সব সুযোগই অপ্রত্যাশিত ভাবে এসেছে। ‘‘প্রথমে অডিশন দিই। তার পর মক শ্যুটের জন্য ডাকা হয়। সবটাই মস্তানির লুক আর মেকআপে। মক শ্যুটের দিনই ওখানে বসে আমার কনট্র্যাক্ট সই হয়,’’ বলছিলেন মেঘা।

প্রথম সুযোগও কাকতালীয় ভাবেই আসে মেঘার জীবনে। বন্ধুদের সঙ্গে পুজোয় ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন। সেই ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়। তার পর থেকেই নানা রকম কাজের প্রস্তাব আসতে শুরু করে।

Advertisement

তবে প্রথম থেকে মুম্বই গিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা ছিল না মেঘার। কলকাতায় টুকটাক কাজ করছিলেন। ‘বড়ি দেবরানি’র টিম কলকাতায় আসে অভিনেত্রী খুঁজতে। তাদের এক কথায় মেঘাকে পছন্দ হয়ে যায়। তার পরেই অভিনেত্রীর মুম্বই যাত্রা। পদার্থবিদ্যার স্নাতকোত্তর মেঘার কথায়, ‘‘ওঁরা যে দিন জানিয়েছিলেন, সে দিনই আমাকে মুম্বইয়ের ফ্লাইট ধরতে হয়। এতটাই তাড়াহুড়ো করে হয় সবটা।’’ হিন্দিতে প্রথম দিকে সড়গড় ছিলেন না। তবে ধীরে ধীরে শিখে নিয়েছেন।
বা়ড়িতে অভিনয়ের পরিবেশ একেবারেই ছিল না। মা শিক্ষিকা, বাবা অ্যাডভোকেট। কিন্তু পরিবার থেকে সম্পূর্ণ সমর্থন পেয়েছেন মেঘা। বাংলায় কাজ করার ইচ্ছে নেই? বললেন, ‘‘সিনেমায়
ভাল প্রস্তাব পেলে রাজি আছি।
কিন্তু বাংলা ধারাবাহিক করার
ইচ্ছে নেই।’’

মস্তানির চরিত্রের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে আগাম প্রস্তুতির কোনও সুযোগ তিনি পাননি। জানালেন, শ্যুটিংয়ের মাঝেই চলছে তরোয়াল চালানোর প্রশিক্ষণ। ঘোড়া চালানোও শিখছেন শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement