ছবির দৃশ্যে যশ এবং মিমি।
‘গ্যাংস্টার’-এর ট্রেলরেই তো চমকে দিয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই বলছেন এর আগে কোনও ছবিতে নাকি মিমিকে এত সুন্দর দেখায়নি?
থ্যাঙ্ক ইউ। আমিও অনেক কিছু এক্সপেক্ট করছি গ্যাংস্টার থেকে।
কেন?
আসেল রুহি আমার ড্রিম ক্যারেক্টার। প্রচুর শেডস আছে এই চরিত্রে। কথা বলতে ভালবাসে। ফান লাভিং গার্ল।
রুহির সঙ্গে মিমির কি কোনও মিল আছে?
নট ইন টোটাল। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় মিল রয়েছে।
আপনার নায়ক যশ তো একেবারেই নতুন। কতটা কনফিডেন্ট ছিলেন?
যশ খুব ভাল কাজ করেছে। মাইন্ডব্লোয়িং ডাবিং। তবে কোনও এক জনকে দিয়ে তো ফিল্ম হিট করতে পারে না। এটা একটা টিম ওয়ার্ক।
আপনার ওপর কি দায়িত্ব অনেকটা বেশি ছিল?
আমি এ ভাবে ভাবিনি জানেন। আমাদের ছবিতে স্টোরিটাই তো সুপারহিরো।
যশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অসুবিধে হয়নি?
আমি ভেবেছিলাম ইনটিমেট সিনে অসুবিধে হতেও পারে। কিন্তু না। কোনও অসুবিধে হয়নি। আমরা খুব কমর্ফটেবল ছিলাম।
তুরস্কে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন?
দারুণ। তুরস্কের মানুষের হসপিটালিটি এত ভাল…। হ্যাঁ মাঝে মাঝে আলুপোস্ত-ভাত মিস করেছি (মুচকি হাসি)। কিন্তু লোকেশন খুব সুন্দর। আমি তো নিজেকে লাকি মনে করছি এই ছবিতে কাজ করতে পেরে।
ডিরেক্টর নাকি আপনাকে খুব প্যাম্পার করতেন?
বিরসা আমার মুড, মুড সুইং সব বুঝত। সারা ক্ষণ প্যাম্পার করত। আসলে আমার মনে হলে কোনও শট ১০০ বার দিয়ে দেব। আবার মনে না হলে একটাও দেব না। তবে সময় মতো সুইচ অন, অফটাও করতে পারি।
মুড ঠিক করার রেসিপি কী?
(হাসি) চকোলেট, পেস্ট্রি মাস্ট। শুটিংয়েও তো হয়েছে এমন…।
কী হয়েছে? বলুন প্লিজ।
শুটিংয়ের অ্যাকশন সিকোয়েন্সে আমাকে এক জন এমন মেরেছিল, খুব লেগেছিল। সে নতুন, বুঝতে পারেনি। তো অ্যকশন মাস্টার বলল, আর শট দিতে হবে না। আমি বলেছিলাম শট দেব, কিন্তু এখনই চকোলেট ট্রফল চাই। তো বিরসা অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছিল। আমিও শট দিয়েছিলাম (প্রাণখোলা হাসি)।
আরও পড়ুন, ‘আমাকেও রাজ সম্পর্কে লোকে কত কী বলেছে, আমি তো বিশ্বাস করিনি!’
মানে? স্টান্টস আপনি করছিলেন?
হ্যাঁ। আমি সব স্টান্সস নিজেই করেছি তো।
একই দিনে তো ‘জুলফিকর’ও রিলিজ। বক্স অফিসে আপনার সঙ্গে পাওলি বা নুসরতের লড়াই হবে তো?
নুসরত আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। টাচ উড। ওর সঙ্গে কোনও সমস্যা কখনও হবে, এটা আমরা ভাবিই না। আমরা এ সবের ঊর্ধ্বে। আমরা ডিফারেন্ট বন্ডিং শেয়ার করি। বাকি আমি কিছু ভাবি না।
মানে পাওলির সঙ্গে লড়াইটা হবে?
দেখুন সেটা তো আমি জানি না। দর্শক বিচার করবেন। জুলফিকরের ট্রেলরে দেখলাম পাওলি দারুণ কাজ করেছে। ইনফ্যাক্ট সবাই খুব ভাল করেছে। আমি তো ছবিটা দেখব। অপেক্ষা করছি। আমি চাইব দর্শক ওকেও সমান ভাবে পছন্দ করবেন।
আরও পড়ুন, পায়ে ফোস্কা না পড়লে আবার কীসের পুজো!
পুজোয় এতগুলো বাংলা ছবি রিলিজ করবে। ‘গ্যাংস্টার’ কোথায় আলাদা?
আমি তো আগেই বললাম, গ্যাংস্টারের গল্পটাই আলাদা। আমি তো বলব সব ছবি দেখুন। সেটাই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভাল। তবে গ্যাংস্টার একটু বেশি দেখুন (হাসি)। এটুকু বলতে পারি ডিসটিংশন পাওয়ার মতো পরীক্ষা দিয়েছি আমি। এর পর কী হবে জানি না।