ছোট পরদায় কামব্যাক মডেল-অভিনেতা রজনীশ দুগ্গলের! ‘বাহুবলী টু’-এর রচয়িতা বিজেন্দ্র প্রসাদের টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘আরম্ভ’-এ বরুণদেবের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। রজনীশের চরিত্রর সঙ্গে ‘বাহুবলী টু’-এর অমরেন্দ্র বাহুবলীর মিল আছে।
মডেলিং দিয়ে কেরিয়ার শুরু রজনীশের। কাজ করেছেন হিন্দি ছবিতেও। তার পর রিয়্যালিটি শো ‘খতরো কে খিলাড়ি’-এর খেতাব। এ বার হাতেখড়ি ফিকশনেও।
রজনীশ বলছিলেন, ‘‘গত বছর থেকেই ফ্যান-মেল পাচ্ছিলাম, কেন ফিকশন শো করছি না। ‘আরম্ভ’র চরিত্রটা আমার খুব ভাল লেগেছিল। আন্ডারডগ ক্যারেক্টার। আর একটা প্রধান কারণ, এই শোয়ের লেখক বিজেন্দ্র প্রাসাদ। এ ছাড়া টেলিভিশনে এমন ভিএফএক্স আগে দেখা যায়নি।’’ রজনীশ ফিটনেস নিয়েও খুব ওয়াকিবহাল। তাঁর কথায়, ‘‘একজন যোদ্ধার চরিত্র, তাই মার্শাল আর্ট শিখতেই হয়েছে। এ ছাড়া কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবরার কাছ থেকে বডি ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে অনেক ইনপুট নিয়েছি। তার সঙ্গে তরোয়াল চালানো এবং ঘোড়সওয়ারি তো বাধ্যতামূলক। আগে কিন্তু ঘোড়ার লাগাম থাকত না, ঘোড়ার চুল ধরে সেটাকেই লাগাম বানাতে হতো। এটা একটা নতুন শেখা ছিল।’’ নতুন শো মানে টিআরপির অঙ্কটা মাথায় রাখতেই হবে। সেই প্রসঙ্গে রজনীশ বললেন, ‘‘আমার প্রথম ফিকশন শো। এই বিষয়ে সেই রকম কোনও অভিজ্ঞতা নেই। তবে স্ক্রিপ্ট খুব টানটান।’’ ‘আরম্ভ’ পরিচালনা করছেন গোল্ডি বহেল। শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়ে রজনীশ বললেন, ‘‘মানালিতে যখন শ্যুট করছিলাম, তখন তাপমাত্রা ছিল -১১ ডিগ্রি। ওই ঠান্ডায় কস্টিউম ছাড়া শ্যুট করেছি। যে তরোয়াল নিয়ে আমি লড়াই করছি, সেটার ওজন আট কিলোগ্রাম। রোজ সেটা নিয়ে শ্যুট করাটা খুব কঠিন ছিল।’’ আপনার তো বিশাল ফিমেল ফ্যান ফলোয়িং। সামলান কী ভাবে? ‘‘হ্যাঁ, আমি জানি। কিন্তু আমার কাছে কাজই প্রথম। কাজ না থাকলে আর কীসের ফ্যান।’’ আপনার স্ত্রী এই ব্যাপারে কিছু বলেন? ‘‘আমার সঙ্গে ওর আজকের সম্পর্ক নয়। মডেলিং শুরুর আগে থেকেই একে অপরকে চিনি।’’
ছবিতে কি আর দেখা যাবে না আপনাকে? ‘‘অক্টোবরের পর ছবিতে আবার কাজ করব। ‘উড়ানছু’ বলে একটা ছবি তৈরি হয়ে আছে।’’ অনেক বছর পরে ‘আরম্ভ’-এ একটি বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী তনুজাকে।