Mrityunjoy Bhattacharya Aka Hindol In Chirodini Tumi Je Amar

‘এখনও সময় আছে অপর্ণা, ফিরে এসো! ভালবেসে অতীত ভুলিয়ে দেব’, বিদায় নিয়েও বার্তা দিলেন ‘হিন্দোল’

ক্রমাগত নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় কি মনে-মুখে ছাপ ফেলে? অভিনেতা সে কথা মানতে নারাজ। তাঁর মতে, এই ভূমিকায় তিনি কিছু ক্ষণের জন্য।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:০৮
Share:

মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য কি ‘অপর্ণা’ দিতিপ্রিয়া রায়কে মিস করবেন? ছবি: ফেসবুক।

তিনি অতীত নিয়ে বাঁচেন না, নেতিবাচকতায়ও নয়। তবু পর্দায় তিনি বারবার খলনায়ক, ধূসর চরিত্র! মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য। যতটা তিনি ধারাবাহিক ‘খনার বচন’-এর খলনায়কের জন্য খ্যাত, তার থেকেও বেশি খ্যাতি ‘হিন্দোল’ হয়ে।

Advertisement

‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে পা রেখেই নজর দিয়েছিলেন নায়িকা ‘অর্পণা বসু’র দিকে। অলিখিত দ্বন্দ্বযুদ্ধে নেমেছিলেন নায়ক ‘আর্য সিংহ রায়’-এর বিরুদ্ধে। তাঁদের প্রেমে ‘দেওয়াল’ হয়ে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন নায়িকাকে। দর্শক তাঁর উপরে চটেছিলেন। ধারাবাহিকের বর্তমান পর্ব অনুযায়ী, হিন্দোল পাকাপাকি ভাবেই অপর্ণার জীবন থেকে বিদায় নিয়েছেন। নায়িকা শুধুই নায়কের।

অপর্ণার জন্য মনখারাপ হচ্ছে? খলনায়ক সম্প্রতি এক বার্তা ভাগ করে নিয়েছেন। সেখানে যেন প্রচ্ছন্ন যাতনার ইঙ্গিত!

Advertisement

সবিস্তার জানতে আনন্দবাজার ডট কম কথা বলেছিল তাঁর সঙ্গে। মৃদু হেসে মৃত্যুঞ্জয় বলেছেন, “অবশ্যই অপর্ণার জন্য হিন্দোলের কষ্ট হচ্ছে। সে তো সংলাপেই বলেছিল, ‘জীবনে প্রথম কাউকে ভালবাসলাম। তার কাছেই ঠকতে হল’!” তার পরেই রসিকতায় মেতে ‘অপর্ণা’র উদ্দেশে বার্তা দিলেন, “এখনও সময় আছে। ফিরে এসো অপর্ণা। আমার ভালবাসা দিয়ে তোমার ‘অতীত’ ভুলিয়ে দেব।”

আরও জানালেন, এই ধারাবাহিকে তাঁর অভিনয়ের যোগ শুরু থেকে।

কী রকম? “ধারাবাহিকে ‘নীল’ নামের একটি চরিত্র ছিল। সেটিও ছোট। অপর্ণার প্রতি তারও দুর্বলতা ছিল। ওই চরিত্রটি করার কথা ছিল আমার। ‘খনার বচন’-এর সঙ্গে সময় মিলছিল না। ফলে করতে পারলাম না। ফের ডাক পেলাম ‘হিন্দোল’-এর জন্য। তখন শুনেছিলাম, চরিত্রের দৈর্ঘ্য খুব ছোট নয়।” কিন্তু দর্শকদের যে আপনাকে নাপসন্দ! ওই জন্যই কি চরিত্রে কাঁচি পড়ল? মৃত্যুঞ্জয় সে কথা মানতে রাজি নন। জানালেন, তিনি সময় দিতে পারছিলেন না। অভিনেতা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার, অফিসেও যান। পাশাপাশি, দুটো শিফটে অভিনয়। “ধকল নিতে পারছিলাম না”, বললেন তিনি।

এ-ও বললেন, “শুরুতে দর্শক গালমন্দ করেছেন। এখন আমায় দেখতে না পেয়ে সমাজমাধ্যমে লিখছেন, ‘হিন্দোল’কে আর একটু রাখাই যেতে পারত! এটাই আমি পুরস্কার হিসাবে গ্রহণ করলাম।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement