ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য, দিতিপ্রিয়া রায়, জীতু কমল। ছবি: ফেসবুক।
বলব কি বলব না— করতে করতে অবশেষে ভালবাসার কথা পরস্পরকে জানিয়েছে আর্য সিংহ রায়-অপর্ণা বসু। তাদের প্রেমের জোয়ারে ভেসেছে অনুরাগীরাও। দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান। কিন্তু প্রেম গাঢ় হওয়ার আগেই বিপত্তি! অপর্ণাকে ভাল লেগেছে আরও এক পুরুষের। সে আর্য সিংহ রায়ের মতো প্রবল প্রতাপশালী নয়। কিন্তু তার নম্রতা, ভদ্রতা মন ছুঁয়ে গিয়েছে অপর্ণার মা-বাবাকে।
তা হলে কি আর্যর কপাল পুড়ল! অপর্ণাকে তার থেকে ছিনিয়ে নিতে আসছে কে?
ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এর সাম্প্রতিক সম্প্রচার বলছে, আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত অপর্ণার বাবাকে সুস্থ করে তুলছেন চিকিৎসক হিন্দোল মিত্র। তিনিই অপর্ণার প্রতি দুর্বল। প্রকাশ্যে নায়িকাকে অনুরোধ জানিয়েছেন, “ডা. মিত্র ডাকটা কেমন যেন অফিসিয়াল। আমায় হিন্দোল বলে ডাকবেন!”
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকে ডা. হিন্দোল মিত্র, অপর্ণা বসু, আর্য সিংহ রায়। ছবি: সংগৃহীত।
আর্য সিংহ রায় টের পেয়েছেন? আনন্দবাজার ডট কম-এর প্রশ্নে প্রথমে থতমত। তার পরেই সপ্রতিভ ‘ডা. হিন্দোল মিত্র’ ওরফে মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য। হেসে ফেলে বলেছেন, “না, এখনও অতটাও এগোয়নি। ভাল লাগছে অপর্ণাকে। এই পর্যন্তই।” ভাললাগার টানেই তিনি নায়িকার বাবার চিকিৎসার দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছেন। “আমিই আপাতত রোজ অপর্ণার বাড়ি গিয়ে ওর বাবার চিকিৎসা করব।”
এ দিকে দর্শক আর্য-অপর্ণার বিয়ে দেখার জন্য মুখিয়ে। আপনি তাদের মাঝখানে এসে পড়লে একটা মার-ও যে বাইরে পড়বে না!
“জানি তো”, ফের সপ্রতিভ জবাব। মৃত্যুঞ্জয়ের কথায়, “এখনও গল্প সে দিকে মোড় নেয়নি। তাই আগাম কিছুই বলতে পারছি না।” তবে সমাজমাধ্যমে তাঁকে ঘিরে নাকি কানাঘুষো শুরু। তিনিই আর্য-অপর্ণার পথে কাঁটা! এ রকমও লিখছেন নাকি কেউ কেউ। যাকে ঘিরে দুই পুরুষের টানাটানি সেই ‘অপর্ণা’ ওরফে দিতিপ্রিয়া রায়ের সঙ্গে নিশ্চয়ই আলাপ হয়েছে? একটু যেন ভাবলেন। ধীরেসুস্থে জানালেন, তিনি কম কথার মানুষ। একসঙ্গে অভিনয় করতে গেলে যেটুকু কথা বলার দরকার সেটুকুই বলেন তিনি।
আর প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আর্য’ বা জীতু কমল? “জীতুদা বেশ মজার। কথা বলে ভাল লেগেছে”, অভিনেতার দ্রুত সংক্ষিপ্ত, সাবধানী জবাব।
আকাশ আট চ্যানেলে ‘খনার কাহিনি’ ধারাবাহিকে মৃত্যুঞ্জয় ভট্টাচার্য। ছবি: সংগৃহীত।
মৃত্যুঞ্জয় পেশায় ইঞ্জিনিয়ার। নেশা অভিনয়। “আমি উত্তরবঙ্গের ছেলে। বাবা বরুণ ভট্টাচার্য উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় মঞ্চাভিনেতা। আমার অভিনয়ের হাতেখড়ি বাবার কাছে। কাজের পাশাপাশি গত ১৫ বছর ধরে মঞ্চে অভিনয় করছি”, বললেন অভিনেতা। এই ধারাবাহিক ছাড়াও আরও একটি ধারাবাহিক ‘খনার কাহিনি’তে খলনায়কের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। “একটি ঐতিহাসিক। একটি সমসাময়িক। একটিতে খলনায়ক, অন্যটিতে ইতিবাচক চরিত্র— এই কারণেই ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’-এ অভিনয় করতে রাজি হয়েছি।” অভিনয়ের পাশাপাশি অফিসেও যেতে হয় মৃত্যুঞ্জয়কে!
অপর্ণা ভবিষ্যতে ডা. মিত্রের না হলে নিশ্চয়ই দাপিয়ে দুষ্টুমি করবেন? ফের হা-হা হাসি। মৃত্যুঞ্জয় সবটাই সময় আর চিত্রনাট্যের উপরে ছেড়ে দিয়েছেন।