Saif Ali Khan stabbing case

শরিফুলকে চিনিয়ে দিলেন সইফের বাড়ির কর্মীরা! শনাক্তকরণ নিয়ে কী জানাল মুম্বই পুলিশ?

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, শরিফুল যে সে রাতে সইফের অভিজাত আবাসনের দ্বাদশ তলে চুরির উদ্দেশ্যে ঢুকেছিলেন তার অকাট্য প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৪২
Share:

সইফ-কাণ্ডে তদন্তে নতুন তথ্য প্রকাশ করল মুম্বই পুলিশ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শাহজ়াদের শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার মুম্বইয়ের আরথার রোড জেল-এ এই শনাক্তকরণ করা হয়েছে। তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকদের দাবি, শরিফুলই যে সে রাতে সইফের অভিজাত আবাসনের দ্বাদশ তলে চুরির উদ্দেশ্যে ঢুকেছিলেন তার অকাট্য প্রমাণ তাঁদের কাছে রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সঙ্গে তাঁর মুখের মিল ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়েছে ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’-এ। এ দিন সাক্ষীরাও শরিফুলকে সনাক্ত করেছেন।

Advertisement

জানা গিয়েছে, আদালতের নির্দেশ অনুসারে বুধবার আরথার রোড সংশোধনাগারের সিনিয়র জেলরের কার্যালয়ে একজন তহশিলদারের উপস্থিতিতে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সইফ আলি খান ও করিনা কপূর খানের বাড়ির সহায়ক কর্মী আরিয়ামা ফিলিপ এবং জেহ্‌-র দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত জুনু। এই দুই মহিলাই সে রাতে শরিফুলকে দেখেছিলেন জেহ্‌-র ঘরের বাইরে। তাঁদের সামনেই সইফের উপর হামলা চালান শরিফুল।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি, মুম্বই পুলিশ শরিফুলের ‘ফেশিয়াল রিকগনিশন টেস্ট’ করিয়েছে। যাতে বোঝা গিয়েছে, সইফের আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া ব্যক্তি ও ধৃত শরিফুল একই ব্যক্তি। মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক এই পরীক্ষা সফল হওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন।

Advertisement

মুম্বই পুলিশের দাবি, তাঁরা শরিফুলের বিরুদ্ধে নানা প্রমাণ পেয়েছে। বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসে তিনি যে কলকাতার বিভিন্ন স্থানে থেকেছেন তার প্রমাণও মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারি ভোরে মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় ভর্তি করানো হয় বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানকে। জানা যায়, নিজের বাড়িতে চুরি আটকাতে গিয়ে ছুরিকাহত হয়েছেন তিনি। ১৮ জানুয়ারি ঠাণের এক শ্রমিক বসতি থেকে শরিফুলকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। দাবি করা হয়, মাস সাতেক আগে শরিফুল বাংলাদেশ থেকে মেঘালয় সীমান্তে ডাউকি নদী পেরিয়ে ভারতে আসেন। চুরির উদ্দেশ্যেই বান্দ্রার অভিজাত আবাসনে হানা দিয়েছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement