‘আমার আর অভিনেত্রী হওয়া হল না’

পুলিশ সূত্রের খবর, টলিউডে মডেলিং ও অভিনয়ের সূত্রে বছর দুয়েক আগে থেকে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার অশোকনগরে ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতে শুরু করেন মৌমিতা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৭
Share:

মৌমিতা সাহা

এক অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হল। শুক্রবার, রিজেন্ট পার্কের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের নাম মৌমিতা সাহা (২৩)। বাড়ি ব্যান্ডেলে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, টলিউডে মডেলিং ও অভিনয়ের সূত্রে বছর দুয়েক আগে থেকে রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার অশোকনগরে ভাড়া বাড়িতে একাই থাকতে শুরু করেন মৌমিতা। শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মৌমিতার পরিজনেরা তাঁর মোবাইলে যোগাযোগ করতে না পারায় রাতে বাড়ির মালিককে জানান। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ অনেক ডাকাডাকির পরেও মৌমিতা দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের সাহায্যে বাড়িওয়ালা দরজা ভাঙেন। ভিতরে গলায় ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মৌমিতাকে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, একটি সুইসাইড নোট মিলেছে। তাতে লেখা ছিল, ‘‘আমার আর অভিনেত্রী হওয়া হল না।’’ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরেই ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
গত বছর ৮ ফেব্রুয়ারি ই এম বাইপাস লাগোয়া একটি আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় অভিনেত্রী বিতস্তা সাহার ঝুলন্ত দেহ। বিতস্তার ফেসবুক পোস্ট থেকে জানা গিয়েছিল, কাজ না পেয়ে অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। ২০১৫ সালের ৯ এপ্রিল বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল দিশা গঙ্গোপাধ্যায় নামে আরও এক অভিনেত্রীর দেহ। সে ক্ষেত্রেও তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন দিশা।

Advertisement

আরও পড়ুন: গ্ল্যামারের নীচে হতাশার অন্ধকার! কিছু মৃত্যুর ঘটনা

কিন্তু উঠতি অভিনেত্রীরা কেন বারবার আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন?

মনোবিদ নীলাঞ্জনা সান্যালের কথায়, ‘‘উঠতি বয়সের অভিনেত্রীরা অল্প বয়সের মধ্যেই পৃথিবীটাকে রঙিন হিসাবে দেখতে শুরু করেন। তাঁদের স্বপ্নটা বড় হলেও কঠোর বাস্তবে পৌঁছতে হিমসিম খাওয়ার জন্যই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘বাস্তবকে মানার মতো ধৈর্যশীল মানসিকতার অভাব থেকেই এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটছে।’’ মনোবিদ জয়রঞ্জন রামের ব্যাখ্যা, ‘‘সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়েরা অভিনয় জগতে প্রবেশের ক্ষেত্রে পরিবারের সমর্থন সচরাচর পান না। একটা সময়ের পরে সাফল্য না এলে অবসাদেও ভুগতে থাকেন। সেখান থেকেই তাঁরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন