ছবি: নিজস্ব চিত্র।
সালটা ২০১৬। পর্বতারোহী সুনীতা হাজরার এভারেস্ট জয়ের কাহিনি মনে আছে? এভারেস্ট জয় করে ফেরার পথে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সারা দেহে ফ্রস্টবাইট। সঙ্গীদের কেউ বেঁচে নেই। সুনীতা পেরেছিলেন। তাঁকে যে পারতেই হত...ঘরে অপেক্ষা করছিল ছোট্ট ছেলে আর্যবীর। সে এক হার না মানার গল্প। ২০১৬-য় চার বাঙালি অভিযাত্রীর সেই এভারেস্ট অভিযানের গল্পই বড় পর্দায় নিয়ে আসছেন পরিচালক দেবাদিত্য।
ছবির নাম ‘৮৮৪৮’। এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার। সেই কথা মাথায় রেখেই ছবির এই নামকরণ। সুনীতা হাজরার ভূমিকায় দেখা যাবে অভিনেত্রী চান্দ্রেয়ী ঘোষকে। টিম ৮৮৪৮ আপাতত ওয়ার্কশপের জন্য গিয়েছে কাজাতে। এপ্রিল থেকে শুরু শুটিং। তার আগে রেকি। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে চান্দ্রেয়ী আনন্দবাজার ডিজিটালকে বললেন, “ছবি নিয়ে খুব এক্সসাইটেড। এমন একটা বিষয় নিয়ে ছবি হচ্ছে। নিজে এতটা অ্যাটাচড হয়ে গিয়েছি।” যেতে হয়েছে কঠোর ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে। ডায়েট মেনে চলছে খাওয়াদাওয়া, ব্যায়াম। কিছুটা আবেগপ্রবণ চান্দ্রেয়ী। বললেন, “কী যে অসম্ভব কষ্ট করেন ওঁরা। আমাদের তো শুটিংয়ের স্বার্থে যেটুকু যা হোক করতে হচ্ছে। কিন্তু পর্বতারোহীদের পরিশ্রমটা একেবারে আলাদা।” সুনীতার হার না মেনে ফিরে আসার কাহিনি তাঁর জানা। কিছুটা থ্রিলড অভিনেত্রী।
আর যাকে কেন্দ্র করে ছবিটি, সুনীতা হাজরা? তিনি কী বলছেন? যোগাযোগ করা হয়েছিল তাঁর সঙ্গেও। সুনীতা বললেন, “ভাল লাগছে। লোকে এভারেস্ট সম্পর্কে জানবে। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। লোকে বুঝবে ইচ্ছাটাই আসল। ইচ্ছা থাকলেই সব সম্ভব।” চান্দ্রেয়ীর ব্যাপারেও বেশ আশাবাদী তিনি। বললেন, “ও খুব ভাল করে কাজ করবে”। কিন্তু কোথাও গিয়ে সুনীতার গলায় বিষাদের সুর। গলাটাও ভার… বললেন, “ছবি হচ্ছে। লোকে জানবে সব কিছুই। কিন্তু আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন গোটা অভিযানে তাঁদের আর দেখা হল না।”
সুনীতা বেঁচে ফিরলেও বাকি দুই বাঙালি পর্বতারোহী গৌতম ঘোষ এবং পরেশ নাথের বেঁচে ফেরা হয়নি। এভারেস্টেই হারিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা।