গৌতম
একে সুদর্শন, তায় আবার ছোট পরদায় একের পর এক হিট... কিন্তু গৌতম রোডের লক্ষ্য আর টেলিভিশন নয়। তাই পা়ড়ি বড় পরদায়। অবশ্য এর আগে ছবিতে কাজ করলেও তেমন ভাবে আলোচিত হয়নি সে কাজ। তাই গৌতম ফের ভাগ্য পরীক্ষা করছেন ‘অকসর টু’-এর মাধ্যমে।
‘সরস্বতীচন্দ্র’, ‘মহাকুম্ভ: এক রহস্য, এক কহানি’, ‘সূর্যপুত্র কর্ণ’র মতো সফল ধারাবাহিকে কাজ করেছেন চুটিয়ে। টিভিতে নিজের জায়গাটা যখন এতটাই পাকা, তার পরও বড় পরদায় নিজেকে প্রমাণ করার ঝুঁকিটা নিলেন কেন? গৌতম বললেন, ‘‘যখন ‘সূর্যপুত্র কর্ণ’ করছিলাম, তখনই পরিচালক অনন্ত মহাদেবন ফোন করেছিলেন। ‘অকসর টু’-এ আমার চরিত্রটা পড়ে শোনান। একজন হ্যান্ডসাম, স্মার্ট ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কারের চরিত্র। অনেক শেড। টিভিতেও আমি নিজের চরিত্র দেখেই সাইন করেছি। ছবির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি।’’
স্বাভাবিক ভাবেই প্রসঙ্গে ওঠে ‘অকসর টু’-এ প্রদর্শিত যৌনতা নিয়ে। টিভি থেকে সরাসরি বোল্ড সিন! অফার নেওয়ার আগে দ্বিতীয় বার ভাবেননি? ‘‘প্রোমো দেখে ছবির রিভিউ করবেন না। সিচুয়েশনাল সেন্স্যুয়াস গান রয়েছে ঠিকই। সেটাই সব নয়। কিছু ফ্যান জারিনের সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য দেখে অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। ওঁদের বুঝিয়েছি। আমি নিজেও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সহজ হতে পারি না,’’ বলছেন গৌতম।
টিভি, বড় পরদা— দুটো মাধ্যমে কাজ করলে পার্থক্যটা সহজেই সামনে আসে। গৌতম মনে করেন, একটা পর্যায়ের পরে টিভিতে নিজের দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হয়। সেখানে অভিনেতাদের ভুল শুধরে দেওয়ার লোক কম। রাতারাতি শোয়ের গল্প বদলে যাওয়াও অস্বাভাবিক নয়। টিভি অভিনেতাকে যে কোনও রকম পরিস্থিতি সামলানোর জন্য তৈরি করে দেয়। গৌতম বলেন, ‘‘ফিল্মের সেটে অনেক কিছু শিখছি। এখানে কাজের ডিটেলিং বেশি। আমি নিজেকে এখনও নিউকামার ভাবি।’’
কাজ প্রশংসিত না হলে খারাপ লাগত গৌতমের। তবে কাজের প্রতি সৎ থাকার প্রচেষ্টা এই খারাপ লাগা কমিয়ে দিয়েছে অনেক। স্ট্রাগলের পরে তাই গৌতম এখন কনফিডেন্ট।
ফিটনেস ফ্রিক গৌতম নাকি রীতিমতো মিনি জিম নিয়ে সেটে যান? ‘‘ফিটনেস আমার প্যাশন। এখন ভেজিটেরিয়ান হয়ে গিয়েছি। সেটে একটা জিম থাকা পছন্দ করি। সঙ্গে হেলদি ডায়েট মাস্ট। আর জিম করার সময় যেন অবশ্যই ট্রেনার থাকেন,’’ হাসতে হাসতে বললেন গৌতম। ‘অকসর টু’র জন্য কমিয়েছেন ছ’কিলো ওজন। তাঁর কাছে অবশ্য চরিত্রের প্রয়োজনে ওজন বাড়ানো-কমানো সহজ। বরং নাচটাই বেশি কঠিন!
টিভিই তাঁকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। তাই টিভিকে ভুলতে চান না গৌতম। কিন্তু একই চরিত্র করতেও রাজি নন তিনি। দিনের শেষে পরিবারই তাঁর কাছে শেষ কথা। সেরে ফেলেছেন পঙ্খুরি অবস্থির সঙ্গে এনগেজমেন্টও। গৌতমের কাছে মায়ের কথা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। ছবিতে গৌতমের বোল্ড লুক দেখেও মা ঘাবড়ে যাননি। ‘‘মাকে যা দেখিয়েছি, তাতে তাঁর আপত্তি নেই। খারাপ লাগলে মা সরাসরি বলে দেন,’’ হেসে জানালেন গৌতম।
শ্রাবন্তী চক্রবর্তী, মুম্বই