ছবির একটি দৃশ্য
নবাগতা পরিচালক পারমিতা মুন্সির পরিচালনায় শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘গুহামানব’ এ বার ছবির পরদায়। প্রায় বছর পনেরো আগে আনন্দবাজার পুজোসংখ্যায় যখন উপন্যাসটি বেরিয়েছিল, তখন পারমিতা কলেজে পড়েন। কিন্তু এ কাহিনির সম্পর্কের সূক্ষ্মতা, টানাপড়েন এমন ভাবে তাঁর মন ছুঁয়েছিল যে, তখনই ভিসুয়ালাইজ করেছিলেন গল্পটা। তার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ, স্ক্রিপ্ট লেখা, শর্টফিল্ম তৈরি... অতঃপর সুযোগ আসে পরিচালনার। তখন একবারেই ‘গুহামানব’-এর কথা মাথায় আসে পারমিতার। ‘‘ছবির রাইট কিনতে গিয়ে একটা ইন্টারেস্টিং কথা জানতে পারলাম জানেন! ঋতুপর্ণ ঘোষ নাকি এই গল্পটা নিয়ে ছবি করতে চেয়েছিলেন, তব্বু ও অমিতাভ বচ্চন প্রধান ভূমিকায়,’’ বললেন পরিচালক। এ গল্প আসলে অসমবয়সি দু’টি মানুষের অসম সম্পর্কের মেরুকরণ। গল্পটি রিটায়ার্ড কর্নেল বটকৃষ্ণ রায় ও তার পুত্রবধূ পিঙ্কিকে নিয়ে। স্বপ্নে দেখা এক গুহামানবকে নিয়ে পিঙ্কির মধ্যে ইরোটিক ফ্যান্টাসি তৈরি হয়। প্রতি রাতেই যা পিঙ্কিকে তাড়া করে। সে ঠিক চিনে উঠতে পারে না মানুষটাকে। পিঙ্কির স্বামী আইপিএস অফিসার হলেও বাবার ব্যক্তিত্বের আড়ালে চাপা পড়ে যায়। শ্বশুর ও পুত্রবধূর ভূমিকায় চিরঞ্জিৎ ও কাঞ্চনা মৈত্র। এ হেন চরিত্রে কোনও গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী নন, কাঞ্চনাকে বেছেছেন পারমিতা। কারণ তিনি জানেন, কাঞ্চনার মধ্যে তথাকথিত গ্ল্যামার না থাকলেও, চরিত্রটার মধ্যে যে দ্বন্দ্ব, অসহায়তা রয়েছে, তার অভিনয় সহজেই ফুটিয়ে তুলতে পারবেন তিনি। ছবিটি মুক্তি পাবে অক্টোবরে।