Pratyusha Pal

Pallavi Dey Death Mystery: বারবার পল্লবীকে নিষেধ করেছিলাম, মিশিস না ঐন্দ্রিলার সঙ্গে! কেন বলছেন প্রত্যুষা?

সাগ্নিকের সঙ্গে আগেই যোগাযোগ ছিল না তো ঐন্দ্রিলার? তাই কি অভিযুক্তের সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্ক তৈরির পরেই তিনি হাজির? প্রশ্ন পল্লবীর বন্ধুদের

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ১৫:২১
Share:

মিথ্যে বলছেন ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়?

পল্লবী দে-র মৃত্যু নিয়ে এত কাটাছেঁড়া নিতে পারছেন না তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই বন্ধু সায়ক চক্রবর্তী এবং প্রত্যুষা পাল। উভয়েই একাধিক বার মুখ খুলেছেন আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে। পল্লবীর স্মৃতি ভাগ করে নিয়েছেন। দু’জনেরই আন্তরিক চাওয়া, তাঁদের প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুরহস্যের কিনারা হোক। পাশাপাশি, প্রত্যুষার দাবি, নিজেকে বাঁচাতে অজস্র মিথ্যে বলছেন পল্লবীর আর এক বন্ধু ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়।

প্রত্যুষা ঐন্দ্রিলাকে কতটা চেনেন? সাগ্নিকের বিরুদ্ধে তাঁর সাম্প্রতিক অভিযোগ, অভিযুক্ত নাকি তাঁকেও যৌন হেনস্থা করেছিলেন। তখন পুলিশে খবর দিতে তাঁকে নাকি নিষেধ করেছিলেন পল্লবীই! শুনেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘পল্লবী আজ নেই। তাই যে যা পারছে বলে যাচ্ছে। বিশ্বাস করুন, আমার বন্ধু এত খারাপ ছিল না।’’ ধারাবাহিক ‘রেশম ঝাঁপি’তে পল্লবীর সহ-অভিনেত্রীর যুক্তি, কোনও মেয়ে অন্য মেয়ের যৌন হেনস্থা মেনে নিতে পারে না।তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস পল্লবী তো এই ধরনের পদক্ষেপ নিতেই পারতেন না। তিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী ছিলেন। আগে সব কিছু টের পেলে ঠিক সরে আসতেন।

Advertisement

এর পরেই ঐন্দ্রিলার উদ্দেশে তোপ দেগেছেন তিনি। বলেছেন, ‘‘সাগ্নিক যদি এতই খারাপ তা হলে সাম্প্রতিক পার্টিতেও কেন এসেছিল ঐন্দ্রিলা? ওই পার্টিতে ওকে সাগ্নিকের সঙ্গে নাচতেও দেখা গিয়েছে। বিয়ে বাড়ি থেকে ফিরেও পল্লবী-সাগ্নিকের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। সেটাও না থাকতেই পারত। আমার বন্ধুর পরিচারিকা নিজে জানিয়েছেন, পল্লবীর অনুপস্থিতিতে একাধিক বার ঐন্দ্রিলা তার ফ্ল্যাটে এসেছে। সাগ্নিকের উপস্থিতিতেই। ঐন্দ্রিলাকে তখন সাগ্নিক কিছু করেনি?’’
প্রত্যুষার দাবি, তিনি বারবার পল্লবীকে নিষেধ করেছিলেন, তিনি যেন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে না মেশেন।

কেন হঠাৎ ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই পল্লবীকে মিশতে বারণ করেছিলেন তাঁর অভিনেত্রী বান্ধবী? প্রত্যুষা অকপট, ‘‘কোনও একটি অজানা কারণে এক বছরেরও বেশি সময় পল্লবীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না ঐন্দ্রিলার। সেই সময় ওদের সম্পর্ক ভীষণ তেতো হয়ে গিয়েছিল। সাগ্নিকের সঙ্গে আলাপের পরেই হঠাৎ ঐন্দ্রিলাও যোগাযোগ করে পল্লবীর সঙ্গে। ক্ষমা চেয়ে আবার বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। আমার বন্ধুর সঙ্গে কেউ অকারণে খারাপ আচরণ করলে কী করে ভাল বলি তাকে?’’ তাঁর আরও অভিমান, এক দিন তাঁর সঙ্গে গোটা দিন কাটাবেন বলে নাকি পল্লবী আসেননি তাঁর কাছে। বদলে সময় কাটিয়েছেন ঐন্দ্রিলার সঙ্গে। সেই ঘটনা তিনি বন্ধুর ইনস্টাগ্রাম দেখে জানতে পেরে নাকি অনুযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘আমি আর তোর সঙ্গে মিশব না। তুই ঐন্দ্রিলার সঙ্গেই থাক।’’

Advertisement

ঐন্দ্রিলা বুঝেছিলেন, পল্লবী ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছেন। নাম করছেন। তাই পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। পর্দার ‘দুর্গা’ও উদার মনের। তাই আর পুরনো ঝগড়া ধরে রাখেননি। তবে স্মৃতি হাতড়াতে হাতড়াতে প্রত্যুষা শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে দুটো প্রশ্ন রেখেছেন, “নিজেকে বাঁচাতে এত মিথ্যে বলছেন কেন ঐন্দ্রিলা? সব সত্যি জানালেই তো সমস্যা মিটে যায়।সব দেখেশুনে এখন তাঁর এও মনে হচ্ছে, সাগ্নিকের সঙ্গে আগেই ঐন্দ্রিলার কোনও যোগাযোগ ছিল না তো? তাই কি সাগ্নিকের সঙ্গে পল্লবীর সম্পর্ক তৈরি হওয়ার পরেই ঐন্দ্রিলাও জুড়ে বসলেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন