সাংবাদিক বৈঠকের ফাঁকে বিনয় ও ঈশান। ছবি: অনির্বাণ সাহা।
প্রথম ছবি ‘বাবার নাম গাঁধীজি’তেই জাত চিনিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ছবি ‘রসগোল্লা’ তৈরি হচ্ছে তাঁর পাকশালায়। এ বার হেডলাইনে এল তাঁর তৃতীয় ছবি ‘চেগু’। যেখানে তিনি নাকি ভি ভি এস লক্ষ্মণ! “আমি আপাতত ভি ভি এস লক্ষ্মণ’’— হাসিমুখে জানালেন ‘বাবার নাম গাঁধীজি’র বাবা। অর্থাত্ পাভেল। এই ছবিতে রোল চেঞ্জ করেছেন পাভেল। প্রথম দু’টি তাঁর পরিচালিত ছবি। আর ‘চেগু’তে তিনি প্রযোজক।
আরও পড়ুন, ‘এই মুহূর্তে আমি সিঙ্গল, প্রেমে পড়তে চাই’
‘চেগু’র গল্প, চিত্রনাট্য, ডায়লগ সবই পাভেলের লেখা। পরিচালনার দায়িত্ব নবমিতার। এটাই তাঁর ডেবিউ ছবি। কিন্তু কেন তিনি ভি ভি এস লক্ষ্মণ? পাভেলের কাছে প্রশ্ন ছিল, নতুন পরিচালক কতটা স্বাধীনতা পাবেন? প্রযোজক কতটা নাক গলাবেন তাঁর কাজে? তখনই পাভেলের সহাস্য জবাব, ‘‘আমি এই ছবির ভি ভি এস লক্ষ্মণ। যদি দরকার হয় থার্ড ডাউন, ফোর্থ ডাউন নামব। যদিও নবমিতার ওপর আমার ভরসা রয়েছে। আসলে গল্পটা তো আমার লেখা, আমার একটা নিজস্ব ভিশন রয়েছে। তাই যদি দরকার মনে করি নেমে পড়ব।’’
আরও পড়ুন, রুক্মিণীর সঙ্গে কম্পিটিশন? কোয়েল বললেন…
‘চেগু’ অর্থাত্ ১৩ বছরের ঈশান বর্মণ এ ছবির নায়ক। চে গেভারার এই খুদে ভক্তর জার্নি বড়পর্দায় দেখবেন দর্শক। তার স্ট্রাগল, জীবনের ওঠাপড়া ফ্রেমবন্দি হবে। খুদে অভিনেতারও এটা ডেবিউ ফিল্ম। ঈশানকে কোথায় খুঁজে পেলেন পাভেল? সেই পরিচিত হাসিমুখে জবাব এল, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমি কেমন ছেলেধরা হয়ে গিয়েছি। হা হা হা…। আমরা অডিশন নিয়েছিলাম। সেখানে এসেছিল ও। দূরে বসে ওর দিদার সঙ্গে কথা বলছিল। সেটা দেখেই পছন্দ হয়ে যায়।’’ রবিবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করে ‘চেগু’ অর্থাত্ ঈশানের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছেন পাভেল। সেখানেই ঈশান বলল, ‘‘আমি এই ছবিতে ১৩ বছরের একটা ছেলে। আর বিনয় পাঠক দুষ্টু লোক।’’
ছবির দুই অভিনেত্রী সুদীপ্তা ও এনা। ছবি: অনির্বাণ সাহা।
নামটা ঠিকই পড়লেন, বিনয় পাঠক। তাঁকে এই প্রথম বাংলা ছবিতে দেখবেন দর্শক। চিত্রনাট্যের প্রশংসা করে তিনি বললেন, ‘‘যখন প্রথম স্ক্রিপ্ট পেয়েছিলাম, আমি সরাসরি জানতে চেয়েছিলাম, হু আর ইউ? এমন একটা স্ক্রিপ্ট লিখেছ! আমি এ ছবির মূল অ্যান্টাগোনিস্ট। লছমন। যে চেগুর জীবনটা নরকে পরিণত করে। চেগু তখন একটা বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সেটাই দেখবেন আপনারা।’’
আরও পড়ুন, দ্বিতীয় ‘সন্তানের’ জন্মের আগে আকাশে উড়লেন দেব
‘চেগু’র মায়ের ভূমিকায় এই ছবিকে সমৃদ্ধ করবে সুদীপ্তা চক্রবর্তীর অভিনয়। তাঁর কথায়, ‘‘গরীব ঘরের ডিভোর্সী মহিলার চরিত্রে রয়েছি আমি। সন্তানকে মানুষ করার জন্য প্রচুর স্ট্রাগল রয়েছে। তারই ছেলে চেগু। ওর একটা চারিত্রিক উত্তরণ হবে ছবিতে। যেখানে মায়ের একটা বড় অবদান থাকবে। এখনকার যুগে দাঁড়িয়ে কেউ যে এমন একটা স্ক্রিপ্ট লেখার সাহস দেখাতে পারে, সেটাই আমার দারুণ লেগেছিল।’’ এই ছবিতে রয়েছেন এনা সাহাও। তিনি বললেন, ‘‘এই ছবিতে আমার চরিত্রটা একটু তার কাটা টাইপের। বাস্তবের আমার সঙ্গে অনেক মিল রয়েছে।’’
আরও পড়ুন, রুক্মিণী নার্ভাস হলে কে হেল্প করত জানেন?
আগমী ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে ছবির শুটিং। কলকাতার অলিগলি, খিদিরপুর, আনোয়ার শাহের বস্তি জুড়ে চলবে শুটিং। পাভেল জানালেন, আগামী বছর প্রথমে কয়েকটি ফেস্টিভ্যালে ছবিটি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তার পর মুক্তি পাবে ‘চেগু’।
ভিডিও: অনির্বাণ সাহা।