রফতার। —ফাইল চিত্র।
বলিউডে আর পাঁচ জন র্যাপারের ভিড়ে আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন কেরলের রফতার। গত বছরে তাঁর ‘মান্টোয়িয়াত’ (মান্টো) ও ‘অন্ধাধুন’ ছবির টাইটেল ট্র্যাক শ্রোতাদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে। আর পাঁচ জন র্যাপারের চেয়ে রফতার আলাদা তাঁর গানের লিরিকের জন্য, শব্দচয়নের জন্য। ‘‘এটা আমার চয়েস। শিল্পী হিসেবে আমি নিজের একটা গণ্ডি টেনে নিয়েছি। আমার ম্যাচিয়োরিটি, আমার সময় কী ভাবে আমার শিল্পে লাগাব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত,’’ বলছিলেন রফতার। পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘কিন্তু এটাও বুঝতে হবে, শিল্পী হিসেবে আমরা যা-ই করি, সবটাই মার্কেটের চাহিদার ভিত্তিতে। যে শিল্পীদের গানের লিরিক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেই গান বাজারে চলছে। শ্রোতারা শুনছেন। এখন পাঁচ জন শিল্পীর ব্যক্তিত্ব আর পছন্দ পাঁচ রকম বলেই আমরা টিকে আছি।’’
টিকে থাকার আরও একটা লড়াইয়ে সামিল রফতার। ‘রোডিজ়’-এর মেন্টর তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমার কাছে ‘রোডিজ়’ শুধু শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জেতার খেলা নয়। এটা আসলে টিকে থাকার লড়াই। সমাজে বাঁচতে গেলে জীবনে যে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়, তার শিক্ষা পাওয়া যায় এই শোয়ে।’’
রফতারের কথায়, ‘‘যখন আমরা স্কুলে পড়তাম, তখন সিডি খুব চলত। বন্ধুদের কাছ থেকে পাওয়া সেই সব সিডির সুবাদে পাশ্চাত্য সঙ্গীতের সঙ্গে পরিচিত হই। রক মিউজ়িকের সঙ্গে র্যাপ শুনতে শুনতে মনে হল, আমিও ছন্দে গান বাঁধতে পারি। সেই ভাবনা থেকেই লেখালিখি শুরু।’’ বলিউডে র্যাপ মিউজ়িকের দাপট নিয়ে অভিযোগ উঠলেও রফতারের সাফ জবাব, ‘‘যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন বা নিজেরা কম্পোজ় করতে পারেন না, তাঁদের কথা নিয়ে মাথা ঘামাই না। রহমান স্যর, সালিম-সুলেমান ভাই আর বিশাল দাদলানির মতো শিল্পীরা যখন আমাকে ডেকে গান দেন, সেটা আমার কাছে গর্বের।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
দেবের ‘চ্যাম্প’-এ র্যাপ করেছিলেন তিনি। বাংলা গান নিয়ে কী ভাবছেন? ‘‘দেবের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ আছে। তামিল, তেলুগুতেও আমি গান করেছি। বাংলায় ডাকলে নিশ্চয়ই কাজ করব,’’ বললেন তিনি।