এসে পৌঁছলেন রজনীকান্ত

তাঁর জন্য লোহার ব্যারিকেড, রশি দিয়ে গেটের সামনে আলাদা রাস্তা তৈরি করতে হয় পুলিশকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৮ ০২:৫০
Share:

প্রতীকী ছবি

সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রথম ভিড় জমতে শুরু করে বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে। খবর রটে যায় ‘থালাইভা’ নাকি সকাল ১১টা’র চার্টাড বিমানে আসছেন। বিমানবন্দরের উৎসুক কয়েকশ গাড়ির চালক থেকে কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সাড়ে ১১টায় খবর আসে, দুপুর ২টায় কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরা পৌঁছবেন। রোজকার দিনের মত স্বাভাবিক ছন্দে ফেরে বিমানবন্দর চত্বর। কিন্তু দেড়টা বাজতেই ফের পরিস্থিতি বদলে যায়। যাত্রীদের একাংশও বিমান থেকে নেমে হাতে, পিঠে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। কলকাতায় বিমান রানওয়ের মাটি ছুঁতেই শুরু হয়ে যায় ধাক্কাধাক্কি। সবাই একবার অন্তত দেখতে চায় ‘থালাইভা’কে। তাঁর জন্য লোহার ব্যারিকেড, রশি দিয়ে গেটের সামনে আলাদা রাস্তা তৈরি করতে হয় পুলিশকে।

Advertisement

বিমানবন্দরের গেটের সামনে পর্য়ন্ত নিয়ে আসা হয় একটা বিলাসবহুল গাড়ি। তারপর প্রায় আধঘণ্টার অপেক্ষা। তুমুল চিৎকার, হাততালির মধ্যে বিমানবন্দরের বাইরে আসেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। কেউ মোবাইলে ছবি তোলার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়েন। অনেকে নিজস্বী তোলার চেষ্টা করেন, কেউ কেউ আবার বেড়া টপকে আবদার ছুঁড়ে দেন অটোগ্রাফের। ভক্তদের সামলাতে পরিস্থিতি সামলাতে সিআইএসএফ জওয়ান থেকে কমিশনারেটের পুলিশ অফিসারেরা হিমসিম খান।

ধবধবে প্রিন্স কলারের সাদা কুর্তা, জিন্স, স্নিকার আর চোখে খয়েরি ফ্রেমের চশমা। হাতজোড় করে হাসিমুখে গেটের বাইরে এসে ভিড় দেখে হাতও নাড়েন। রজনীকান্ত বলেন, ‘‘প্রথমবার দার্জিলিঙে এলাম। ভাল লাগছে। নতুন ছবির শুটিং করব। বিখ্যাত এলাকা এটা।’’ তামিল সুপারস্টারের সঙ্গে আসা কয়েকজন সহকারি বিমানবন্দরে বাইরে এসে বলেন, ‘‘আরে এতো চেন্নাই বিমানবন্দর মনে হচ্ছে! স্যারের ফ্যান দেশের সর্বত্র।’’

Advertisement

কয়েক হাজার মানুষের ভিড়, ধাক্কাধাক্কির মধ্যে নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে গাড়িতে তুলে দেন। পুলিশ পাইলট, নিরাপত্তারক্ষী-সহ গোটা ১০ দশেক গাড়ির কনভয় রওনা হয়ে যায় কার্শিয়াঙের উপকন্ঠে উদ্দেশ্যে। ‘থালাইভা’র গাড়ির চালক কুনাল প্রধান সোনাদার ছেলে। পুলিশ পাহারায় গাড়ি ঠান্ডা করতে আধঘন্টা ধরে এসি চালিয়ে ভিতরে বসে ছিলেন। তিনি বললেন, ‘‘ওঁনার গাড়ি চালানোর সুযোগ পাব কোনওদিন ভাবিনি। উনি তো অবলীলায় গাড়ি, ট্রেন, প্লেন, হেলিকপ্টার সবই দেখি ছবিতে চালান। একটা নিজস্বী চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন