বাংলা ছবিতে ‘মেসি’

রিঙ্গোর পরিচালনায়। লিখছেন অদিতি ভাদুড়িপরিচালক রিঙ্গোর আগামী ছবি ‘মেসি’র অনুপ্রেরণাও তিনি। পরিচালকের কথায় ঠিক মেসি নয়, মেসি-চেতনা। পাড়া ফুটবল নিয়ে এই ছবি ড্রইংরুমের কিক পয়েন্ট হবেই— আশা তাঁর। কিন্তু হঠাৎ মেসি-ই কেন?

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০১
Share:

৫ ফুট ৭ ইঞ্চির এই ফুটবলার যখন ১০ নম্বর জার্সি গায়ে বার্সেলোনা ক্লাব ফুটবলে প্রতিপক্ষকে গোল দেন বা বিশ্বকাপ ফুটবলে নিজের দেশ আর্জেন্তিনাকে ফাইনালে তুলেও শেষ মুহূর্তে বিধ্বস্ত হন, তখনও সবার চোখ তাঁর দিকেই।

Advertisement

লিওনেল মেসি।

পরিচালক রিঙ্গোর আগামী ছবি ‘মেসি’র অনুপ্রেরণাও তিনি। পরিচালকের কথায় ঠিক মেসি নয়, মেসি-চেতনা। পাড়া ফুটবল নিয়ে এই ছবি ড্রইংরুমের কিক পয়েন্ট হবেই— আশা তাঁর। কিন্তু হঠাৎ মেসি-ই কেন? ‘‘মারাদোনাকে তো আর এই প্রজন্ম খেলতে দেখেনি। আর মেসি-ও লেজেন্ড। অনুপ্রেরণা। মেসি মাঠের এক প্রান্ত থেকে গোলের দিকে বল পায়ে ছুটে যেতে যেতেও জানেন ওঁর বাড়ানো পাস-টা কোন প্লেয়ারের পায়ে যাবে,’’ উত্তর পরিচালকের।

Advertisement

স্পোর্টস নিয়ে পরের পর ছবি। কিছু দিন আগে ‘ওপেনটি বায়োস্কোপ’-এও উঠে এসেছিল পাড়া ফুটবল। এই ছবিতে নতুন কী পাবে ফুটবলপ্রেমী বাঙালি দর্শক?

পরিচালক তুলনায় যেতে নারাজ। বললেন গল্পটা মধ্যবিত্ত এক ফুটবল পরিবারের গল্প। যে পরিবারের বাবা দারুণ স্ট্রিট ফুটবল খেলতেন এমন এক সময় যখন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচের কমেন্ট্রি করছেন অজয় বসু, মোহনবাগান ক্লাবে খেলছেন বিদেশ বসুর মতো ফুটবলার। এই বাবা চেয়েছিলেন গলির ফুটবলকে মাঠের উচ্চতায় নিয়ে যেতে। কিন্তু তাঁকে বলা হয়েছিল রাস্তার খেলা রাস্তাতেই মানায়। ফুটবল নিয়ে তাঁর স্বপ্নের ইতি সেখানেই। বাবার ‘ব্ল্যাক বুক’-এ জমা হতে থাকে ফুটবল নিয়ে নানা ট্যাকটিকস্। ছবিতে ছোট ফুটবলারের চরিত্রে ঋদ্ধি সেন। আর বড় ফুটবলার চরিত্রে সৌমিত্র-দৌহিত্র রণদীপ বসু। বাবার চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার। পটুকুমার চরিত্রে শুভাশিস মুখোপাধ্যায়ের কথাও ভেবে রেখেছেন পরিচালক। সে নিজের স্পোর্টস চ্যানেল খুলতে চায়। আর সব কিছুর মধ্যে ব্যবসার ধান্দা খোঁজে। দু’নম্বরি করে কী করে আরও কিছু উপরি আয় করা যায়, সেটাই ওর লক্ষ। আদ্যন্ত কমেডিতে মোড়া এই চরিত্র শুভাশিস দারুণ ফুটিয়ে তুলবেন, বিশ্বাস পরিচালকের।

ছবিতে এমনকী রাখা হচ্ছে অজয় বসুর কমেন্ট্রিও। চিত্রনাট্য পদ্মনাভ দাশগুপ্ত এবং পরিচালকের নিজের। সুর দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায়ের। ছবির ডিওপি, সম্পাদনা, আবহসঙ্গীত সবটাই পরিচালকের নিজের। আর ফুটবলের বিশেষ পরামর্শে অনিলাভ চট্টোপাধ্যায়-কল্যাণ চৌবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ফ্লোরে যাচ্ছে ‘মেসি’। আঠারো দিনেই শ্যুট শেষ করে ফেলার পরিকল্পনা। ম্যাকনেল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড-এর তরফে প্রদীপ চুড়িওয়ালের প্রযোজনায় এই ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা আগামী ফেব্রুয়ারিতেই।

মেরি কম, মিলখা সিংহদের ভিড়ে এগারো জনের দাপুটে শট কি ক্ষয়াটে মধ্যবিত্ত পরিবারকে বাঁচার নতুন ‘কিক’ দিতে পারবে?

পরিচালকের চ্যালেঞ্জ এখন সেটাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন